অনুভব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অনুভব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১১

দু'টি অণু ভাবনা ২৪০১১১

১.
"কিছু কিছু মানুষের মনস্তাত্বিক পরিপক্কতায় সত্যিকারের হিংসে বোধ করি। যেন তারা আগেই একটা খসড়া জীবন কাটিয়ে এসেছে! আর এখন যেন ফাইনাল পরীক্ষায় পূর্ণ প্রস্তুত।"
২.
"নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপারেতে সর্বসুখ আমারো বিশ্বাস।
নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
কহে, যাহা সুখ কিছু সকলই ওপারে।"

...পারাপার না করিয়া নদীর মাঝে চরে দাঁড়াইয়া থাকা মধ্যপন্থা হিসাবে খারাপ নয় বলিয়া বোধ হয়। চর না থাকিলে পানিতেই ডুব!

শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১১

জুমা শেষে

প্রত্যেক জুমা'র নামাজের শেষে মোনাজাতে আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।

সবাই হাত তুলে জগতের সব নিপীড়িত মানুষ বিশেষত মুসলিমদের জন্য দু'আ করি। নিজেদের ভালোর জন্য দু'আ করি। অনেক নির্দিষ্ট দু'আও করি। কিন্তু, আসলে দেখা যায় কিছুই হয়না।

ইমামের সুরে একটাও কি মুমিন মুসলমানও 'আমীন' বলেনা? মুমিনের দু'আ নাকি কবুল হয়! নাকি এই দু'আ জমা থাকে সৃষ্টিকর্তার ব্যাঙ্কে- যেখান থেকে পরে সুদে-আসলে ফেরত দেয়া হবে?

কি জানি- কঠিন অসুখে আমার পা কেটে ফেলতে হবে- এমন অবস্থায় যে টাকার দরকার। পরে পা কেটে ফেলার পর মহামূল্যবান পেডিকিউর ক্রিমের টাকা পেলে কি হবে?

শাস্ত্রে বলে, তোমাদের জন্য কি মঙ্গল, আর কি অমঙ্গল, তা তোমা অপেক্ষা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।

আমার বিপথে যাওয়াতে কি মঙ্গল নিহিত?

সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১০

সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০১০

Run

Why should I run. Or Why should not?
Just let me know.
Then, I am capable of doing many things or allowing many things passed by easily.

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

I-S

No one can make you inferior without your consent.

or

The most superior is the most humble.


কেন বারেবারে ভুলে যাই এই স্বতঃসিদ্ধ কথাগুলো?
কেন কেন কেন!

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

অছন্দিত গদ্য - ১

নানার মৃত্যুটা বেশ আকস্মিক ছিলো। শক্ত সমর্থ মানুষটা যখন বিনা নোটিশে কোন রোগ ভোগ না করে, কোন অ্যাক্সিডেন্ট না করেই অন্য জগতে চলে গেলো, তখন খানেকটা আশ্চর্যই হয়েছিলাম। শোকবোধ ততটা ছিলোনা। তখন পড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শুরুর বছরে।

সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরবার কথা ভাবছি। এমন সময় টেলিফোনে শুনি – তিনি নেই। নাহ, কাঁদিনি! ঘটনার বিহবলতা নাড়া দিয়েছিলো বটে। তখন রামপুরাতে ঢাকার বাসায় আব্বা থাকতো। আমাদের ফ্যামিলিতে যখন তখন চোখের পানি ফেলা ফ্যাশনের মত। আমি পারিনা তবু। মনে হয়, অশ্রু ফোটার অনেক দাম। সময় অসময়ে ব্যবহার করতে নেই।

বাসায় ফিরতেই আব্বা আমাকে দেখে কয়েক দফা দমকে কেঁদে নিলেন। হালকা হলেন আবারও। আমি পারলাম না। কাঁদতে পারলাম না।

শুনলাম, নানাবাড়িতে বড়মামা ছাড়া সবাই উপস্থিত। সে যে কোথায় থাকে কেউ জানেনা। অফিসের কাজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া নিত্যকার কাজ তখন। বাসায় কেন খোঁজ দাওনা? – এই প্রশ্নের জবাবে বলতো, ফোন না করা মানেই বুঝবে, ভালো আছি!

বাসে করে যখন কুষ্টিয়াতে ফিরি গভীর রাত তখন। আরিচা ফেরিঘাটে কোত্থেকে যেন বড়মামা এসে হাজির। খবর সেও পেয়েছে কিভাবে যেন! তার চোখেও পানি নেই। হৃদয়ে তো ছিলোই!

নানাবাড়ি যখন পৌছে যাই, গভীর রাত তখনও। সকাল হয়নি। সারা বাড়ি তখনও জাগা। প্রায় প্রত্যেকেরই পছন্দের মানুষটার জন্য শোক সবার শরীরে, চোখে! মা আমাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। মায়ের কান্না আমি সইতে পারিনা। কেঁদে ফেললাম! নানার জন্য শোকে নয়!

পরদিনের জানাযা হলো তার। তাকে যখন মাটিতে শুইয়ে চাটাই দিয়ে আড়াল করে ফেলা হলো, তখনই দমকে থাকা কান্না উথলে উঠলো মনে। চোখের শ্রাবণ ধারা জানান দিলো –প্রিয় এক বন্ধুকে চিরতরে হারালাম!

বন্ধু হারাবার শোক আসলেই অনেক বড়!

আবার এক বন্ধুকে হারাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবার মৃত্যু নয়। নিয়তি।

হয়তো!

হয়তো না!