রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০০৯

♫ ♫ ♫ "ভালোবাসা তারপর"- অর্ণব

কষ্টগুলো শিকড় ছড়িয়ে
ঐ ভয়ানক একা চাঁদটার সাথে
স্বপ্নের আলোতে
যাবো বলে
যখন চোখ ভিজে যায় রাতে।

ভালবাসা তারপর দিতে পারে
গত বর্ষার সুবাস,
বহুদিন আগে তারাদের আলো
শূন্য আঁধার আকাশ।

প্রখর রোদে পোড়া পিঠ
আগুনের কুন্ডে শেঁকা হাত
শিশির ছোঁয়ায় পাবে হাসি
অন্ধকারে কেটে যাবে রাত।

দুপুরে...

শরীরের অবস্থা মেঘলা দিনের মত। না ঝরঝরে বৃষ্টি না টকটকে রোদ! পুরাপুরি সুস্থ্যও হচ্ছিনা আবার শয্যাশায়ীও নয়! বিরক্তিকর!

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০০৯

অমলকান্তি ও নিঃসঙ্গতা

১.

অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল !
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরূলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।

আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে,
চা খায়, এটা ওটা গল্প করে, তারপর বলে, উঠি তা হলে'।
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ, সকলেরই ইচ্ছাপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি - রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।।

২.

অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত শোভা, অত স্বাধীনতা!
চেয়েছিল আরো কিছু কম,

আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!

অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!

একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

৩.

কখনোই কবিতাখোর ছিলাম না! বরং ছন্দে মেলানো সরসরে ছড়া পড়তেই ভালো লাগে বেশি। তবুও, হঠাৎ অছন্দিত দুয়েকটি কবিতা খুব বেশি ভালো লেগে যায়! একসঙ্গে সংরক্ষণের তাগিদে শেয়ার করলাম।



প্রথমটির রচয়িতা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

শিরোনাম ‘অমলকান্তি’।

দ্বিতীয়টির আবুল হাসান।

'নিঃসঙ্গতা'।

অবিন্যস্ত পত্র-১


জানো বুবু? এখন এখানে কয়টা বাজে?
রাত দু'টো বত্রিশ
আকাশে অনেক তারা
চাঁদও ঝুলেছে পাশে
চোখে ঘুম
শরীরে ক্লান্তি
স্মৃতিকোষে ধূলোর আস্তর।
তবুও ঘুমাতে ইচ্ছা করছেনা
রাত জাগার আনন্দ
কাল সকালে অফিস
"ন'টায় অফিস যাবার তাড়া
মাথার চুলগুলো সব খাড়া"
আজ যেমন ছিলো
যদিও আজ বিলম্ব ছিলো
ইচ্ছে করেই
মাঝে মাঝেই
এমনিতেই
অফিসে দেরীতে ঢুকি
জীবনের জন্য চাকরী
চাকরীর জন্য জীবন নয়!
এটি বিশ্বাস করি এখনও
জানিনা কতদিন পারবো
প্রতিটি মানুষই অন্যরকম
আমি না হয় তাই ভিন্ন!

ফুলটাকে আমার দারুণ
পছন্দ হলো
একরকমের গ্লাডিওলাস?
হতে পারে
গুগুল মামা যখন দু'হাত ভরে দেয়
শুধু আবদার করতে হয়!
যা হয়ে যা!
হয়ে যায়!

কী লিখি!
আর
ভালো থেকো।
সঙ্গে থেকো, বুবু।
সত্যিকারেই!


তবে তাই হোক!

“ছোট ছোট সুখের
শ্যাওলা দিয়ে ঢাকি
কষ্টের বিশাল দেয়াল।”

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০০৯

পথিক

যেই জন চলে যায়
সময় সিন্ধুর বুকে তার অন্তর্ধান
নিতান্ত রুটিন মাত্র যে যাবে সে যাবে
জন্ম মানে মৃত্যুদণ্ড
আজ কাল কিংবা পরে কার্যকর হবে
বন্ধুর মৃত্যুর জন্য শোক কেন তবে!

-------------------------------------
আহমেদ ছফা
-------------------------------------
বন্ধু অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের প্রয়ানপীড়িত ছফা এই কবিতা-টি লিখেছিলেন, সেদিনই। এটি এতটা-ই ছুঁয়ে গেলো যে, সংকলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম!
-------------------------------------
তথ্যসুত্রঃ http://arts.bdnews24.com/?p=2485

হাসতে হাসতে মরে গেলাম!

১.

এই ব্লগে ‘হা হা প গে’ নামে একটা টার্ম প্রচলিত যার অর্থ কম বেশি হয়তো সবারই জানা! আরও আছে এ ধরণের। যেমন, “হা হা পে ...” ইয়ে আর কি! আচ্ছা? হাসতে হাসতে মরে গেলাম। নেই? আছে। বাস্তবেও আছে। নেটে খোঁচাখুঁচি করেও তা পেলাম।

২.

প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক ক্রায়সিপাস খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে তার গাধাকে ওয়াইন খেতে দেন এবং মাতলামোর ফলশ্রুতিতে সেটি-কে ডুমুর খেতে দেখে হাসতে হাসতে মারা যান! :-/

আরাগনের প্রথম মার্টিন বদহজম ও অনিয়ন্ত্রিত হাসির কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনা খ্রিস্টাব্দ ১৪১০ এর। :|

পিয়েট্রো আরেটিনো ১৫৫৬ সালে দেহ রাখেন। কারণ, বেশি হাসতে গিয়ে তার দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

বার্মার রাজা নন্দ বায়িন ১৫৯৯ সালে ইতালীর এক সওদাগরের কাছ থেকে একটা অদ্ভুত খবর শুনে হাসতে হাসতে মারা যান! খবরটা ছিলো, “ভেনিস একটা স্বাধীন রাস্ট্র, আর সেখান কোন রাজা নেই!” :-*

দ্বিতীয় চার্লস এর সিংহাসন আরোহনের খবর পেয়ে স্কটিশ অভিজাত টমাস আরকুহার্ট হাসতে হাসতেই ইহলীলা সাঙ্গ করেন!

আগের লোকজন নিদারুণ বোকা ছিলো? তাই না?

এ যুগেও পিছিয়ে নেই! দেখা যাক।

১৯৭৫ সালে আলেক্স মিচেল জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল দেখে টানা ২৫ মিনিট হেসে অক্কা পান!

১৯৮৯ সালে ডেনমার্কের ওলে বেন্‌টজেন এর ‘আ ফিস কল্ড ওয়ান্ডা’ দেখতে গিয়ে হার্ট এটাক হয়। এ সময় তার হার্টবিট পৌছে প্রতি মিনিটে ২৫০ থেকে ৫০০! /:)

কে জানে আরও আছে হয়তো উদাহরণ। এত অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম! /:)

(এখানে ব্যবহৃত সকল তথ্যসুত্র উইকিপিডিয়া’র। অন্যগুলো ব্যবহারের ধৈর্য হলোনা! )

৩.

ইদানীং কেন জানি মৃত্যু নিয়ে বেশ পড়াশুনা করতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু সময় পাচ্ছিনা।

"জীবন আমার এত ভালবাসি বলে, হয়েছে প্রত্যয় ... মৃত্যুরে এমনি ভালবাসিব নিশ্চয়!" - - - - কবিগুরু


৪.
একটা অদ্ভুত ছবি পেলাম নেটে। দেখতে পারেন- (দূর্বল হৃদয়ের না হলে)

http://en.wikipedia.org/wiki/Thich_Quang_Duc

১৯৬৩ সালে ভিয়েতনাম সরকার কর্তৃক প্রিস্টদের উপর দমননীতি’র প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। শোনা যায়, সেই সময় উনি একটুও নড়েন নি বা কোন শব্দও করেন নি! :|

৫.
ছোটবেলায় নিজ দায়িত্বে মুখস্ত করা একটি ছড়া--

“সেজ মামী এসে বলে
শোনরে অটল,
কাল রাতে মামা তোর
তুলেছে পটল।

অটু বলে, তার তরে
কাঁদো কেন মামী?
দাও গিয়ে বাজারেতে
বেচে আসি আমি।

বুঝিনা পটল কেন
তোলে মামা রাতে,
সাপ খোপ কামড়িয়ে
দিতে পারে হাতে!”

ছড়াটি কার মনে নেই! :((

৬.

তবুও, বাঁচতে হলে হাসতে হবে!