রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাস

"শরৎ আসে যায়, মেঘের ফাকে নীল ... এই শহরটায় অতিথী গাঙচিল"

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কর্মবিরতির ঈদ (~শুভেচ্ছা-সহ~)

নিজেদের ‘অতিমানব’ মতান্তরে ‘অমানুষ’ প্রমাণ করতেই বোধহয় টানা ১৯ দিন অফিস করতে হলো, শুক্রবার সহ! উদ্দেশ্য খুব সরল সোজা। ঈদের সময় টানা বাড়তি সময়ের ছুটির ‘বোঝা’ টানা। ছুটি এখন একটা ‘বোঝা’ বটে! লম্বা ছুটি পেলে কর্মজীবীদের বেশির ভাগেরই নাকি এ রকম মনে হয়! কার্যদিবসের একরাশ বিরক্তি, ক্লান্তি আর অধৈর্যের লাগাম ছিঁড়ে যখন আমার কলিগ তথা বন্ধু আরিফ যখন অজান্তেই জোর গলায় হামদ খানি গেয়ে ওঠে, “দে পানাহ দে, ইয়া ইলাহি!” – সেটি ধর্মীয় গুণাগুণ গৌণ হয়ে যায়! ছেলেটা খাটাখাটনি করতে পারে খুব। ব্যবস্থাপক ও মালিক মহলে ওর প্রশস্তি চুঁইয়ে পড়ে অন্যদের স্বাভাবিক কাজের নিপূণতার উপরও – “আরিফের মত হও।” অফিসের সারাটা সময়ের পর বাসায় ফিরে নিজের ইচ্ছায় রাত তিনটা পর্যন্ত অফিসের কাজ করে আবার সকাল নয়টায় অফিসে ফেরে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও চরম উদাসীন। ‘বাসায় ফেরা’র চেয়ে ‘অফিসে ফেরা’র প্রবাদটাই বেশি ভালো খাটে ওর জন্য। ছেলেটা প্রাণবন্ত, খুবই বন্ধুবৎসল আর পরোপকারী। সবাই ওকে পছন্দ করি। তাই প্রায়ই ওকে বলি, “দোস্ত, নিজের যত্ন নে!” হেসে বলে, কাজ করতে ভালো লাগে, নেশার মত লাগে। ঈদের আগের সপ্তাহে, একদিন সকালে মুখটা দেখেই ওর শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করতে পারি, “কী হইছে? শরীর খুব খারাপ?” বরাবরের মতই হেসে জবাব দেয়, “পেটে ব্যাথা, সেহরীর পর কয়েকবার বমি করছি!”

“তাইলে অফিসে আইছিস কেন? বাসায় যা, ঘুমা।” নিজের যত্ন নেবার কথা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিই।

“এই ডিজাইনটা আজকেই দিতে হবে। স্যার কইছে।” ও আত্মরক্ষা করে।

“যা ভাগ। ” মেজাজ খারাপটা চরমে ওঠে।

একটু পরেই শরীর খুব খারাপ করছে বলে ও বাসায় ফিরে যায়। ব্যাচেলর মানুষ। এটাকে বাসা না বলে মেস বাড়ি বলা-ই উত্তম। সবাই অফিসে থাকায় দিনের বেলা ফাঁকা পড়ে থাকে। মেডিক্যাল পরিভাষায় কী বলে জানিনা, আমরা আমজনতা যেটা জানি, বিকালে খবর পাই, অবহেলায় ওর ‘এপেন্ডিসাইটিস ব্লাস্ট’ করেছে! এমনিতে ‘এপেন্ডিসাইটিস’ এর ব্যাথা নিরাময় ছোট্ট একটা অপারেশনের মাধ্যমেই করা যায়। কিন্তু সেটি ব্লাস্ট করলে তার ফলাফল মারাত্বক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি মৃত্যুও!

নাহ, ও মরেনি। প্রতিদিন এত বেশি মানুষ অপঘাতে মরে যে, এখন এসবে আর গায়ের একটা লোমও উন্থিত হয়না। আর, এক্ষেত্রে? ও তো মরেইনি। যদিও অন্ত্র, ফুসফুস আর কিডনীর ভয়াবহ জটিলতার আশঙ্কা নিয়ে হাসপাতালের বেডে ‘কর্মহীন’ সময় কাটাচ্ছে!

ঈদ-টা এবার হাসপাতালেই কাটবে ওর! অফিসের ম্যানেজমেন্ট উপদেশ দিয়েছে, অবস্থা বেশি খারাপ হলে ব্যাঙ্কক নিয়ে যেতে। খরচটা অবশ্য আরিফ-কেই বহন করতে হবে!

*** বাঙ্গালী অলস বলে তার দূর্নাম রয়েছে, প্রমাণ-ও যথেচ্ছ দেয়া যায় হয়তো। কিন্তু, আমাদের মধ্যেও এরকম ‘কাজপাগলা’ লোক আছে। নিজেদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পূঙ্খানুপুঙ্খ পালন করাই এক অর্থে মানবিকতা। সঠিক পথে চলা। কিন্তু নিজের উপর বাড়তি চাপ দিয়ে অসুস্থতা ডেকে আনা তো মারাত্বক ক্ষতির কারণ তো বটেই। সুদুরপ্রসারী ভাবনায়, ক্ষতিটা অফিসেরও, সমাজেরও। তাই, নিজের ও নিজেদের নিরাপত্তা-ই সবচে’ আগে!

****


‘দাড়ি স্বাধীনতায়’ বিশ্বাসী হয়ে অফিস ডিকোরামের থোড়াই কেয়ার করে রোজার শুরু থেকে কয়েকদিন ইচ্ছেমত চললাম! সবার মধ্যে ইতিউতি- তালেবান না দেবদাস? সবাইকেই নিরাশ করি। আসল কথা হলো, শাওয়ার রুমের আর্দ্র পরিবেশের একঘেয়ে পরিবেশে থাকা শেভিং ফোমের ক্যানে মরিচা-বিদ্রোহে সব চুঁইয়ে পড়ে শেষ! আলসের একশেষ আমি। নতুন কেনা হয়নি।
বিকালে তাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম- 'ঈদ' !!! ~ শেভিং ফোম নাই - স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেছে - মোবাইলের ব্যালান্স তলানীতে- বিকাল সাড়ে তিনটায় ঘুম ভেঙ্গে... এবার একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা যাক!-- 'মোবারক' সাহেব কই?

গা ঝাড়া দিয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি, পাকাচুলো মুরুব্বীরা-ও সালাম দেয় আমাকে দেখে। বুঝলাম, মুন্ডনকাল সমাগত! দলাই-মলাইয়ের ও!

হ্যাপি ঈদ!

হ্যাপি ব্লগিং!

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০০৯

শিষ্টতার গল্প

সকাল থেকে চলে আসা শিক্ষায় দান-গ্রহণের পর গুরু-শিষ্য দু’জনেই ক্লান্ত। ঘরের বাইরে বেরিয়েই গনগনে রোদ মাথার উপর। গাছের ছায়া বসে গুরুর ইচ্ছা জাগে ডাবের পানি পান করবার।

- বাবা, আমি তৃষ্ণার্ত। তুমি গাছে উঠে আমার জন্য ডাব পেড়ে আনো।
- গুরু, আমার বেয়াদবী মাফ করবেন। এটা আমি করতে পারবো না।
- আমার আদেশ পালনে তোমার বেয়াদবী কোথায়?
- গাছে ঊঠলে আমি উপরে আর আপনি নিচে থাকবেন। গুরুর উপরে শিষ্য থাকবে, এটা হতেই পারেনা। নির্ভেজাল বেয়াদবী!
- তাই? ঠিক আছে, গাছে আমিই উঠছি। তুমি বাড়ির ভেতর থেকে একটা দা নিয়ে এসো।

গুরু গাছ থেকে ডাব পেড়ে আনলেন। ইতোমধ্যে শিষ্য দা নিয়ে হাজির।

- নাও, এবার ডাবগুলো কেটে ফেলো।
- গুরু, এতো বেয়াদবী আমাকে দিয়ে হবেনা!
- মানে? এতে আবার বেয়াদবী কিসের?
- আপনার সামনে ‘কোপাকুপি’ করাটা কী ঠিক?
- আচ্ছা, ঠিক আছে। আমিই কাটছি।

আপ্রাণ কসরত করে ডাব কেটে, নিজে একটা নিয়ে, শিষ্যের দিকে আরেকটি ডাব এগিয়ে দিলেন গুরু।

- নাও, খাও।
- আদেশ না মেনে আপনার সঙ্গে আজ অনেক বেয়াদবী করছি। আর বেয়াদবী করবোনা। এখুনি খেয়ে নিচ্ছি।

ঢক! ঢক!! ঢক!!! :D

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০০৯

ফাটকাবাজির অণু-কথোপকথন...

ক’দিন আগের মোহাম্মদপুর। সারারাতের বৃষ্টিবিধৌত সকাল। অফিসে যাওয়ার জোর প্রস্তুতির সময়ে রাস্তায়।

-- এই সিএনজিওয়ালা ভাই, যাবা?
-- কই?
-- বনানী।
-- যামুনা।
-- ক্যান?
-- ঐ দিক পানি উঠছে। ইঞ্জিন নষ্ট হইয়া যাইবো।
-- আরে চলো। বাড়ায়া দিমুনে।
-- তাইলে ২৫০ টাকা দিয়েন।
-- ঠিকাছে। তবে এতোক্ষণে পানি নাইম্যা যাবার কথা। ওইখানে যাইয়া যদি দেখি পানি নাইমা গেছে, তাইল কত নিবা?
-- তাইলে যামুনা!

:-&

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০০৯

অতঃপর ... আবারও বি.সি.এস এর শামুক!

সরকারী বিজ্ঞান কলেজ এক আজব জায়গা। অন্ততঃ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে! বিগত ২৮-তম এর লিখিত’র সিটপ্ল্যান অনুযায়ী রুমে প্রবেশ মাত্রই চোখের সামনে সাদা ইউনিফর্ম বিস্ফোরণে মূর্ছা যাই। এইচ.এস.সি এর কচিকাঁচারা আগে থেকেই ওখানে বসে! একই জায়গায় ওদের সিট! ওরা আমাদের কোলে বসে একসঙ্গেই পরীক্ষা দেবে কিনা, কর্তৃপক্ষের এ আয়োজনের ভাবনাও মনে এলো! :-/

সারা কলেজ দৌড়ে, কোথাও ‘তাল’ ধারণের জায়গা না পেয়ে অবশেষে এক স্যারকে বলি, “মহামহিম! দয়াপরবশ হউন, আপনার কামরায় এই অধমের স্থান সংকুলান করুন!” তিনি ইচ্ছে করলেন- কৃতার্থ হলাম।

বিজ্ঞানের ন্যাড়া বলেই কি বিজ্ঞান কলেজের বেলতলায় যেতে হবে বারেবার? কে জানে! দেশে এত মতবাদ, এত দল-উপদল- খালি প্রভেদ-বিভেদ! সিটপ্ল্যানেও জোড় বিজ়োড়ের দেশভাগ! বিশ্বদরবারে নিজ স্থান খুঁজে পাওয়া দায় আবারো! রাখিস মা আমারে রসে বশে!

পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন ভালো কথা নয়! পাশের জনকে বাজাইলাম, সাহায্য পাবার সুযোগ পেতে পারি কী? ভদ্রমহিলা কৃষিবিদ। বললেন, ‘সৎ’ ভাবে সাহায্য করলে তো ভালোই!

সদ্য ব্রাশ করা ভাঙ্গা দাঁত দেখিয়ে দিই- হক কথা! 'সৎ' ভাবে অসদুপায়ের দোষত্রুটি ক্ষমার্হ! :P

প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই মন খারাপ! X( অন্তত ৭৫ না পেলে এই পরীক্ষায় আশার গুড়ে কিং ব্রান্ড সিমেন্ট! এত্তো সহজ! ইউনিভার্সিটির দুঃসহ স্মৃতি মনে পড়ে যায় এক লহমায়! বিভিন্ন কুইজে প্রশ্ন সহজ হলে, মন বাজাতো কৃষ্ণের বিরহী বাঁশি--- সহজ কিংবা কঠিন- কিছুই তো পারিনা। বরং, প্রশ্নের কঠিন দাওয়াই এলে বেশ ভালো লাগে- অন্তত আমার মত ‘না-পারা’র দলটা একটু ভারী হয়ে ওঠে বৈকি! ১০০ কেজি ‘অপমান’ তখন ৩ জনের ভিতর ভাগ না হয়ে ১৫ জনের উপর পড়ে! গায়ে ওটার ‘চাপ’ কম লাগে!

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, আনন্দের সাথে শিক্ষালাভ করতে! পরীক্ষার খাতায় নিজের পরিচয় দেখলে কার না আনন্দ লাগে! :D

প্রশ্ন ৪৩ : ‘জনৈক’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ -

(ক) জন+ইক
(খ) জন+ এক
(গ) জনৈ+এক
(ঘ) জন+ঈক

কেউ কোন দিন আমাকে কিছু উৎসর্গ করলোনা। ‘পিএসসি’ই বুঝলো আমারে! আহা!

“এতো সুখ সইবো কেমন করে-
সুখেও কান্না আসে দু’চোখ ভরে!” :((

পুনশ্চঃ পুরো ‘বিসিএস’ নিয়োগ কার্যক্রম এমনই শ্লথগতির যে, ‘শামুক’ ও এ ব্যাপারে লজ্জা পেতে পারে!

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০০৯

গ্রেট কম্বিনেশন, (নো) কনফিউশন!

গ্রেট কম্বিনেশন অংশঃ



দু’দিন ধরেই অফিসে একটা অদ্ভুত কম্বিনেশনের নাস্তা দেয়া হচ্ছে বিকেলে। মোসুমী ফলের সুযোগ্য প্রতিনিধি আমের সঙ্গে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মুড়ি! দু’টোই একইবাটিতে আসে। মুড়ির উপর কাটা আমের টুকরোগুলো ভাসতে থাকে যেন যেন কনক্রিট মিক্সারের উপর কতক খোয়া!

সেটিও না হয় মেনে নেয়া গেলো। তাই বলে মুড়ি খাবার জন্য ‘আন্তর্জাতিক’ কাঁটাচামচ? স্ট্যাটাস মেইনটেইন কেস? :-*

সবজায়গাতেই কী একই অবস্থা?

আগের অফিসটাতে প্রায়ই খোরাকি হিসাবে আসতো ডিম সিদ্ধ উইথ বম্বে চানাচুর! X(




(নো) কনফিউশন অংশঃ

পাঁচ-পঞ্চাশ মানে আসলে কত?/:)

দু’দিন আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট দিয়েছিলাম। নানা ব্যাটসম্যানের নানারকম স্টাইল থুক্কু নানা মুনির নানা মত! জবাব গুলো শোনা যাক....

ক. ৫৫
খ. ৫৫০
গ. ২৫০ (৫০X৫=২৫০)
ঘ. ৫০৫০৫০৫০৫০ (এক ‘শ্রদ্ধেয়া’ এই জবাবটি দিয়েছেন। লজিকের খাতিরে এটিও রাখতে হলো!)

নিশ্চয় এতক্ষণে মনস্থির করে ফেলেছেন? তাহলে একটু অনুবাদক হওয়া যাক।



এবার বলুন, পাঁচ-পঞ্চাশ অর্থাৎ Five-Fifty মানে কত?

স্যাম্পল

চেহারা সুরতে তেমন একটা মনোহারী নই। গড়পড়তার চেয়েও বেশ খানেকটা নিচে! কিম্ভুতকিমাকার বললেও মানিয়ে যায়! ভাগ্যিস, বাংলা সিনেমার কোন ‘বিশিষ্ট’ পরিচালকের সামনে কখনও পড়িনি! তাহলে, একালের ভিলেনেরা বেকার হয়ে পড়তো! কী দরকার অন্য কারো পেটে লাথি দেবার! :P ভারী অন্যায়, ভারী অন্যায়!!

তবে, পৃথিবীর সব মা’এর চোখেই তার সন্তান সবচেয়ে সুদর্শন! তার কথা তাই কখনও মেনে নিই। কখনও আপত্তি করি! মায়ের চোখে ছানি পড়েছিলো। অপারেশন করিয়েছি। মা এখন দুনিয়াটাকে দেখে একেবারে তকতকে পরিষ্কার। “বাবা, তোর চেহারাটা এমন মলিন লাগছে কেন?”

জবাবে শুধু হেসে উঠি! মুচকি হাসি। সময়ে সময়ে একই প্রশ্নে হাসির দমক ফোটে আমার মুখে-চোখে।

মনে পড়ে, ইউনিভার্সিটিতে বন্ধুদের চোখ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মন ফোটারও মৌসুম এলো। একবন্ধু সারারাত একমেয়ের সঙ্গে কথা বলতো। যেটিকে বুয়েটিয় পরিভাষায় বলে, ‘ফোন ফাইট’! কিন্তু, দেখা করার ব্যাপারে চিরন্তন গড়িমসী তার।

“কারণ কী, ভ্রাতা?” সপ্রশ্ন দৃষ্টি দেই ওর দিকে।
“জানিনা”।এরপর, একটু ভেবে, “যদি আমাকে পছন্দ না করে?”
“ঠিক আছে, আমি সঙ্গে যাবো! আমার পাশে যে থাকবে তাকেই সুন্দর লাগবে! তবে আমাকে কিন্তু খাওয়াতে হবে!” :)


এবং খাবারটা সুস্বাদু ছিলো!

এটাকেই বুঝি ফেসভ্যালু বলে!? B-)

আরেক বন্ধুর অনেক দিনের ‘ইটিশ-পিটিশ’! প্রায় এক হালি বছর ‘ওয়ার্ম-আপ’ ম্যাচ খেলার পর তারা নিজ নিজ পরিবারে মাঠে নামলো তারা!

কিন্তু ছেলে হলো ‘বর্ণবাদী’ বৈষম্যের শিকার! :((
“এতো বাজে চেহারার ছেলের সঙ্গে আমাদের মেয়ের বিয়ে হতেই পারেনা!” :-*

এই নিয়ে তাদের ‘প্রিপেইড’ দাম্পত্য জীবনে আজ দূর্যোগের ঘনঘটা!

স্বান্তনা দিতে ইচ্ছে করেনা! বরং, উলটা রাগ দেখাই!
“তোরই তো ভুল!”

আশ্চর্য হয়ে তাকায় আমার দিকে!
“সঙ্গে আমার ছবিটাও দিতে পারতি তোর ‘ইয়ে’ কে! আমার ছবিটাই নাহয় দেখাতো প্রথমে এবং অবধারিতভাবে একই কথা শুনতো!”
“এতো বাজে চেহারার ছেলের সঙ্গে আমাদের মেয়ের বিয়ে হতেই পারেনা!”

তখনই, চট করে তোর ছবিটা দেখিয়ে বলতো, “এই নাও আসল ছবি! ওটা তো ছিলো স্যাম্পল!”:-/

তুলনামূলক তত্ত্ব বিচারে তোর তো কেল্লা ফতে হতোই!

এই রকম বিটকেলে ব্যাখ্যা শুনে বন্ধুবর দুঃখেও হেসে ওঠে!:D

[আশা করছি, বন্ধুটি এই লেখাটি পড়ছেনা! আর, ওদের জন্য শুভকামনা, যেন এই সাময়িক খরা ওরা কাটিয়ে উঠতে পারে, খুব শিগগির!] :)