শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০০৮

চিঠি!



মৌ,

আমি তোমার ব্যাপারে অনেক শুনেছি। আমি জানি তুমি অনেক ভালো মেয়ে। আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে আগ্রহী। তোমাকে খুজতে এসে না পেয়ে চলে গেলাম। তবে আমি আশাবাদী তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করবে। কথা দিচ্ছি আমি তোমাকে বন্ধুত্বের নতুন এক জগত দেখাবো। তুমি তোমার নম্বর হতে আমার মোবাইলে একটা কল করো অথবা এস,এম,এস (sms) পাঠিও।

বাকি সব আমি দেখবো।

তোমার সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করি।

FM-98.06

Q.M.

T & D.

D.C.

Phone: 01717-???290

* ভয় পাবার কিছু নেই। আমি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা। বরং উপরে উঠার সিড়ি দেখিয়ে দেব। (কথা দিলাম)

****

আহারে! এরকম একটা চিঠি পেলে অনেক মেয়েরই হৃদয়টা দুলে ওঠার কথা...

কিংবা ...

রাগে-ঘৃণায় শরীরটা রি-রি করে ওঠতেও পারে অন্য মেয়েদের!

কিন্তু ব্যাপারটা সেটা নয়!

চিঠিটা এসেছে আমার দরজার নিচে...বিনাখামে!

অফিস শেষে বাসায় ফিরে হালকা নাস্তা সেরে মাত্র দিনের কাগজটা হাতে নিয়েছি! এমন সময় মামী চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, চিঠিটা পেয়েছি দরজার নিচে। দেখতো কি?

আর চিঠি খুলেই যা পেলাম সেটাই প্রথমে ছাপিয়ে দিলাম!

চিঠিটা পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করছি। মনোযোগের ব্যাঘাত মামীই ঘটালেন। হাতের লেখাটা তোমার সংগে মিল আছে!... স্বরটা নামিয়ে মামী বললেন...!

কিন্তু সেই নিচুগলার ভিতরও অন্যরকম সন্দেহের গন্ধ পেলাম, মানে?

না মানে, ইয়ে... তোমার ব্যাগ থেকে অসাবধানে পড়ে গেছে ভেবে চিঠিটা যত্ন করে তুলে রেখেছি! তোমার কাজের জিনিষ! মামী জানে আমার এক স্বল্পপরিচিতার নাম মৌ। সেখান থেকেই তিনি অনেক কিছু ভেবে নিয়েছেন! কিন্তু এখানে যে, আমি একজন নিখাদ দর্শকমাত্র, এটা বোঝাতে সেই সন্ধ্যায় আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে!

কিন্তু সেটা অন্য কাহিনী।

*** মেয়েটার নাম আসলে মৌ নয়, অন্য আরেকটি নাম! আমাদের ৩৬০ এর একজনের নামের সংগে একদম মিলে যায়, সেজন্যই নামটা পালটে দিলাম! ইচ্ছে করেই!

*** চিঠিটা সম্ভবত পাশের ফ্লাট এর মেয়েটার। মামীর কাছেই শোনা, তার অধিকারে নাকি অনেকগুলো নাম... অনেকগুলো পাসপোর্ট কাছে থাকার মত!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন