গানটা কয়েকবার টানা শুনলাম। মাঝে মাঝে কোন কারণের তোয়াক্কা ছাড়াই যে কোন গানে মিশে যেতে ভালো লাগে। গান শুনলে, তার কথামালা ভালো লাগলে নেটে খুঁজতে ভালো লাগে। না পেলে নিজেই লিখে ফেলার চেষ্টা করি। ভালো লাগে।
When u attack Black people, they call it racism. When u attack Jewish people, they call it anti-semetism. When u attack women, they call it sexism. When u attack homosexuality, they call it intolerance. When u attack a religious sect, they call it hate.
But when u attack the Prophet SAWS) they call it freedom of speech!
What a joke!
---------------
ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাস মেসেজে এই কথাগুলো দেখছি আজ। কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে লেখা ছিলো, 'ড্র মুহাম্মাদ ডে' এক ফেসবুকের অ্যাকটিভ গ্রুপের কথা। তার আক্ষেপ ছিলো, ফেসবুক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে মৌন প্রতিবাদ করবে কিনা। পাকিস্তানী গর্দভদের মত 'জানালা বন্ধ করে ভ্রমটারে রুখি' টাইপের এর নয়। যারা ফেসবুক আর ইউটিউবই বন্ধ করে দিয়েছে, শুনি মিডিয়ায়।
গ্রুপটাতে ঢুকেছিলাম, 'ফ্রিডম অব স্পিচের' ধূঁয়া তুলে যা- তা বলার প্রতিযোগিতা!
আজ দেখা এই স্ট্যাটাস মেসেজটা তাই ভবিষ্যতে এই সব অযৌক্তিক আক্রমণ সামালের জন্য তুলে রাখলাম!
ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে, ছুটে ছুটে চলা ...... আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া পুরনো দিনের গল্প বলা ...... সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।
ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।
----------------------------
কিছু কিছু গান খুব বেশি ভালো লাগে। যেমন এটা। কতবার টানা শুনেছি যে তার হিসাবের ইয়ত্তা নেই। কেন এত ভালো লাগে? কেন? কেন? কাউকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ভালোবাসা কত প্রকার? বলেছিলো, যত মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঠিক তত প্রকার। কথাটা মনে গেঁথে গেছে! আমার ভালোবাসার মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কড়ে আঙ্গুলে গুনলে খুব বেশি দূর এগোনো যাবেনা। তবুও, তাদের কাছে চাহিদা অনেক বেশি। আবার অনেক কম।
ভালোবাসা পেতে ভালো লাগে। আবার সেটাই মাঝে মাঝে ভালো লাগেনা- যখন সেটাকে অহেতুক বাড়তি মনে হয়। কাছের মানুষদের আঁকড়ে ধরে রাখতে ভালো লাগে। আবার ছেড়ে দিতেও। যেন আবার ফিরে আসবার অপেক্ষায়।
এই গানের কয়েকটা চরণ প্রায়ই গুনগুন করি। কথোপকথনে আনি প্রায়ই।
ফিরে ফিরে আসে ফি বছর। এবার সবচেয়ে আলাদা। এখনও পর্যন্ত।
ফেসবুকের বার্থডে উইশের খাতায় সেটি লুকোনো থাকে অন্যদের কাছে থেকে। কেন থাকে জানিনা। তারপর কেউ যদি মনে করে করে উইশ- খুব বেশি ভালো লাগে। মনির ভাই করলেন। উনি কিভাবে জন্মদিন জানলেন সেটি আমার কাছে রহস্য বটে। সিফ করেছে, করেছে মলি!
করেছে কেউ!
তবে, সারপ্রাইজ দিয়েছে প্রজ্ঞা!
চয়ন কিংবা ব্লগের উম্মে হাবিবা ওরফে নীল-দর্পণ কে শুভেচ্ছা জানালাম। সোহাগ কখনও মিস করেনা। এবার করবে? কর্পোরেট চাপে ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। ছোটমামা করবে। বৃষ্টি বিকেলেই জানিয়ে রেখেছে। ওর আব্বু অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে না থাকলে বারোটার পর করতো। এবার সাদিয়া মিস করলো শুরুটা। যোগাযোগের নিয়মিততা না থাকলে এরকম হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। সাদিয়া করলে কবীর করতো!
আচ্ছা, কে করতো আর কে করতো, এই হিসাব করে নীচুতার পরিচয় দিচ্ছিনা তো? নাকি কেবলই তাৎক্ষণিক চিন্তা? এতক্ষণে মা ঘুমিয়ে গেছে। মা-কে কখনই আমার জন্মদিন নিয়ে সেভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখিনি।
ধুম করে ব্লগের লে-আউটখানি পালটে ফেললাম। অনেক এলিমেন্টস দিয়ে সাজানো ব্লগটিকে নিয়ে এলাম সিম্পলভাবে। জানিনা, কতদিন এভাবে রাখতে পারি। পরিবর্তন – পরিবর্ধন- পরিমার্জন! প্রথম আলো পত্রিকার “বদলে দাও, বদলে যাও” স্লোগানের চেয়ে বিডিনিউজ২৪ এর “সবকিছু বদলাতে নেই” স্লোগানটা-ই বেশি টানে।
কিছু জিনিষ পালটে ফেললাম। কিছু তো রয়েই গেলো।
ব্লগস্পটে বাংলা লেখার ফন্ট ঠিক করা খুব ঝামেলার এখনও। কিংবা পদ্ধতিটা আমার জানা নেই। সব লেখার ফন্ট একইরকম করতে হবে।
১১-০৫-২০১০
আপডেটঃ
নেটের অল্প স্পিডে কালো ব্যকগ্রাউন্ড আসতে সময় নিচ্ছে! :( ভ্রিন্দা -১২ ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। ইশ, আগের কত ব্লগ- একেকটা একেকরকম ফরম্যাটিং! :(
পড়ন্ত দুপুরে, অফিসের ঠিক এই মুহুর্তটা কেমন যেন লাগছে!
অফিসে, অথচ, গান বাজছে--- “দিল হুম হুম কারে”... লতার কণ্ঠে ভূপেনের সেই বিখ্যাত “মেঘ থম থম করে, আলো নেই” গানের হিন্দী সংস্করণ।
ডেস্কটপে খোলা অটোক্যাড-যার মধ্যে জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং এর কারসাজী। মাথা খাটছে সেখানে, চোখ সেখানে অভিযাত্রী, ড্রয়িং এর গলিঘুপচিতে খুঁজছে ভুল। প্রায়ই খুঁজে পাচ্ছে, হাতকড়া পরাচ্ছে, না পারলে সেই ভুল-ই অন্যের হাতে ধরা পড়ে আমাকেই ধরা খাইয়ে দেবে। সাধু সাবধান!
আরও খোলা, স্টাড-প্রো ২০০৭। ক্রাকড। কী অবলীলায় ডাকাতি করা সফটওয়ারগুলো ব্যবহার করি। আচ্ছা, শেষবিচারের দিন এদের মালিকরা যদি মামলা ঠুকে আমার নামে? জরিমানা দেবো কোত্থেকে? উকিল পাবো কোথায়? আগে এটা নিয়ে প্রায়ই ভাবতাম। আর, খোলা মোজিলা ফায়ারফক্স। কী করছি সেখানে? সে আর বলতে। নেটে গান খোঁজা, খানেকক্ষণ ফেসবুক আবার স্রেফ অহেতুক গুগুলিং!
আর ওদিকে বাইরে অবাক রোদ ভেজা তপ্ত দুপুর। মিস করছি।