মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০০৮

সাম্প্রতিক ব্যক্তিগত কড়চা




বয়স হয়েছে। রাখঢাক করে না বললে, বিয়ের বয়স হয়েছে। অন্তত পাড়াপ্রতিবেশি- আত্মীয় স্বজনের এই পোক্ত ধারণা। কারও বাড়ি বেড়াতে গেলে খালা-নানীস্থানীয় মাতৃকুলের টিকা টিপ্পনীতে অস্থির হয়ে যাই। কবে বিয়ে করবি রে বাপ?। ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি দিন এতিম থাকাটা ভালো দেখায়না!

তবে নিজের ধারণাটা অন্য, এই তো সেদিন ফিডার ছাড়লাম। মায়ের কোল থেকে নেমে মাত্রই হাঁটা শিখেছি।

নজরুল সঙ্গীতের প্রতি আমার অপরিসীম আগ্রহ-অনুরাগ। নিজে গাইতে পারিনা। তাই একটু ভালো গলায় কেউ গাইলে, সেটা শুনে সমগ্ররজনী বিনিদ্র কাটিয়ে দিতে পারি। এরই মাঝে অনলাইনে এক আপুর সংগে পরিচয় হলো। একথা সেকথা শেষে তার অযাচিত কৌতুহল পূরণে উগড়ে দিলাম, আমার ফিল-ইন-দ্য-ব্লাংক পোস্টে যিনি আসবেন তাকে নজরুলের গান জানতেই হবে! তিনি সবই গাইতে পারেন এফ.এম রেডিও এর মত। অল ডে, অল হিটস। কিন্তু নজরুলের গান গাওয়ার অনুরোধে তিনি আমার কাছে সসম্মানে মাফ চেয়ে নেন। গলার তারটা নাকি ছিঁড়ে যায় এতে! আমিও তাই বারেবারে তাকে নজরুল সঙ্গীত-ই গাইতে বলি। আর কাচুমাচু গলায় ক্ষমাপ্রার্থনা শুনতে কার না ভালো লাগে!

যাইহোক, বিয়ের চাপাচাপিতে একটা পছন্দ দিতেই হলো। সোনার বরণ কন্যা তোমার, দীঘল কালো চুল... এই ধরণের কিছু না। শরীরের সব অঙগ-প্রত্যঙগ জায়গা মত থাকলেই চলবে। ফুটনোট দিলাম, ডাক্তার হলে মন্দ হয়না। যাক, তাদের কিছুদিন খোঁজাখুঁজির নিমিত্তে দিনকয়েক আরামে কাটিয়ে দিতে পারবো। রাস্তাঘাটে হরহামেশা ডানাকাটা পরী দেখা গেলেও, বিয়ের সময় যে গলাকাটা ও পাওয়া যায়না, সেটা মামার বিয়ে দিতে গিয়েই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কিন্তু পেয়ারা-দোস্ত সিফ বললো, হায়, হায় করছো কী? ডাক্তার তো কমন স্পেসিমেন! খুব সহজেই খুঁজে পাবে তোমার গলায় ফাঁস দেবার জন্য। ফাঁপড়ে পড়ি। ঘটনা সত্য, আসামী নির্দোষ। কিন্তু কথায় আছে না? বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয়। ও-ই আবার সাহায্যের হাত বাড়ায়, পছন্দটা মডিফাই করে ফেলো। সবাইকে বলো, ডাক্তার দিয়ে এখন আর হবেনা। এখন হাইটেক যুগ। বিয়ে করলে Astronaut ই সই। এবং অবশ্যই বাঙালী! আমার অন্ধকারের ভিতর হঠাত করে ফ্লাডলাইট এসে পড়ে! এমন পাত্রী আর ইহজগতে খুঁজে পাবেনা কেউ! আমি ও সিকিউরড্‌! সিফাতকে ফাইভ স্টার হোটেলে খাওয়াতে ইচ্ছা করে। কিন্তু মানিব্যাগটা নিক্তিতে ওজন করে ব্যাপারটা স্থগিত রাখা হলো Astronaut পাত্রী না পাওয়া পর্যন্ত!

ভালোই ছিলাম। কিন্তু দিনের ঠান্ডাজ্বরে নিজের পর্যন্ত মতিভ্রম হলো। কিছুতেই সম্মন্ধীয় জ্বর ছাড়েনা। আবার ডাক্তার থিওরীতেই ব্যাক করার বাস্তবসম্মত চিন্তাভাবনা। আগে জীবন, পরে মহাকাশ ভ্রমন! স্বভাবশিল্পী আপুকে সব কিছুই খুলে বললাম আবার, দেখি কোন সদুপদেশ জোটে কিনা!

সব শুনে তিনি আওড়ালেন, ভাই, তুমি একটা জোস কাজ করতে পারো, একটা Actress বিবাহ করো। তার মধ্যেই সব পাবে! একই অংগে বধুরূপে বহুরুপ!

প্রত্যেক মানুষই চমতকার চিন্তা করতে পারে।

আইডিয়াটা মন্দ নয়!

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০০৮

দিকান্তরে ও আরেকটি প্রলাপ!




বাংলায় দশ দিক।

উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম-ঈশান-নৈঋত-অগ্নি-বায়ু!

আর ঊর্ধ্ব-অধঃ!

ইংরেজীতেও কমবেশি তাই।

আচ্ছা, কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে না? যারা এইসব দিক এর তকমা লাগিয়ে দিগ্বিজয় করছে?

নর্থসাউথ কিংবা ইস্টওয়েস্ট!

কিংবা কেউ কেউ একাই একদিকের মালিক।

নর্দার্ন!

কিংবা কিছু ব্যাংক আছে, যেগুলোর নাম আড়াআড়িভাবে দিকদর্শন ফলো করে!

সাউথইস্ট!

তাই আর দেরি কেন? অন্য দিকগুলো ফুরিয়ে যাবার আগেই সংগ্রহ করি। আছেন কোন ভাই? দিলদরিয়া কোন বোন? খুলে ফেলি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।

আপ-ডাউন ইউনিভার্সিটি

কিংবা ঝকমারী কোন ব্যাংক!

অধঃপতিত ব্যাংক লিমিটেড!

***

পত্রিকা খুললেই বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানীর চটকদার সব বিজ্ঞাপনের জমিদারীএটা করলে এটা লাভএই অফার লুফে নিন এখনিনাহলে পস্তাবেনআরো কত কী! সবচেয়ে বিরক্ত লাগে ওয়েলকাম টিউনের বিজ্ঞাপনযে আপনাকে ফোন করবে সে শুনবে গান! অপ্রয়োজনীয় প্রয়োজনের চূড়ান্ত হাতছানিকালে কালে আর কত কী হবে? কিন্তু দুঃখের কথা এই যে, আমি নিজেও ক’দিন সেটার গ্রাহক বনেছিলামসবকিছুই একটু চেখে দেখতে ইচ্ছে করে যে! কিন্তু বিরক্ত ধরে গেল অচিরেইতাই সসম্মানে বিদায় করে দিয়েছি শিল্পীকেআহা! আমাকে কেউ ফোন করলেই বেচারাকে বেলা-অবেলায় গলা সাধতে হতোবিশ্রাম পেয়ে খুশি হয়েছে বোধহয় খুব

কিন্তু আবার ওয়েলকাম টিউন সেট করার শখ জেগেছে মনে!

টিউন কি দেবো সেটাও ঠিক করে ফেলেছি এখন প্রোভাইডারেরা সাপোর্ট দিলেই হয় আর কি!

নাম না জানা সেই আপার গলায় একটা কথা বেশ ভালো লাগে, “দুঃখিতএই মুহুর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়অনুগ্রহ করে একটু পর আবার চেষ্টা করুনধন্যবাদ

কেমন হয় বলুন তো?

***

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০০৮

সম্পূর্ণ পারসোনাল ব্লগ


সামনে পৌরসভা নির্বাচন। যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের ঢাক-ঢোল নিজেরাই পেটাচ্ছেন। নিজের কাজ নাকি নিজেকেই করতে হয়, অন্যের উপর ভরসা করতে নেই! আরেকটা Social Friendship site থেকে বিদায় নিতে ইচ্ছে করছে... ভাবছি, খুব শীঘ্রই ওই প্রোফাইলটা ডিলিট করে দেবো। অথচ ওখানে পাওয়া টেস্টিমোনিয়াল গুলোকে রাখতে ইচ্ছা করছে খুব! তাই এখানে কপি পেস্ট করে দিলাম। যেন কালে গর্ভে হারিয়ে না যায় এগুলো। এটাকেও বোধহয় বলে, নিজের ঢাক নিজেই পেটানো।

এই ব্লগটা তাই খুব বেশি পার্সোনাল।

***

Person A

“Duniyar shukh mone hoi inar hat e”

Person B (1)

“he is so much innocent.......cute.......adorable.......caring........etc ....etc....likhte gele ses hobe na ...............always be with me my dear bro..... ............tui ato valo keno re bhaia????”

Person B (2)

“se amar boro bhaia............. ...ai prethibir sobtheke lokkhi bhaia....”

Person C

“arafat khub e ekta valo sele. oi din take ami ghum theke tule ash pash theke pola pan deke ene onek jhamela kore auto cad theke print korailam...se kissu mone kore nai ! tahole dekhen se kotto valo...”

Person D

“soft heart is his soft corner......”

Person E

“I have actually learnt geography from him. He has a pack of qualities but no intention to be in the lime light, a very rare virtue for all time.He is a man of strong principle & astonisingly capable of being happy with small things of everyday life.”

Person G

“ARAFAT....hmmmm..........let me think.......

he has fascinated me at first meeting.......and still fascinating me.................

only one thing i can tell abt ARAFAT is that the space given here isn't enough to describe him.......”

Person H

“my all time sessional group mate :)...a kind hearted person having awesome humor!-A free happy soul indeed!wishing ur best-keep smiling :)”

Person F

“Kind-Hearted and Hospitable, Cheerful and Well liked; moreover, Sleepy Environmental Engineer, who's proud to be called as mirror cracking material! [beauty is in the eye of beholder!!!;)], but at the same time waiting for an invisible angel as a gf!!!!! Sure, the angel will be visible in the near future, provided the testimonial is accepted, ha ha ha;)!!!”

***

* Pre-defined অনেক টেস্টিমোনিয়াল ও পাওয়া যায় সেখানে। সেগুলো সযত্নে বাদ দিলাম।

* হয়ত কোন একদিন এখানকার প্রোফাইলটাও মুছে দিতে হবে। তখন কি হবে?

* পৌরসভা নির্বাচনে নামার কোন ইচ্ছাই নেই আমার!

* ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০০৮

চিঠি!



মৌ,

আমি তোমার ব্যাপারে অনেক শুনেছি। আমি জানি তুমি অনেক ভালো মেয়ে। আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে আগ্রহী। তোমাকে খুজতে এসে না পেয়ে চলে গেলাম। তবে আমি আশাবাদী তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করবে। কথা দিচ্ছি আমি তোমাকে বন্ধুত্বের নতুন এক জগত দেখাবো। তুমি তোমার নম্বর হতে আমার মোবাইলে একটা কল করো অথবা এস,এম,এস (sms) পাঠিও।

বাকি সব আমি দেখবো।

তোমার সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করি।

FM-98.06

Q.M.

T & D.

D.C.

Phone: 01717-???290

* ভয় পাবার কিছু নেই। আমি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা। বরং উপরে উঠার সিড়ি দেখিয়ে দেব। (কথা দিলাম)

****

আহারে! এরকম একটা চিঠি পেলে অনেক মেয়েরই হৃদয়টা দুলে ওঠার কথা...

কিংবা ...

রাগে-ঘৃণায় শরীরটা রি-রি করে ওঠতেও পারে অন্য মেয়েদের!

কিন্তু ব্যাপারটা সেটা নয়!

চিঠিটা এসেছে আমার দরজার নিচে...বিনাখামে!

অফিস শেষে বাসায় ফিরে হালকা নাস্তা সেরে মাত্র দিনের কাগজটা হাতে নিয়েছি! এমন সময় মামী চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, চিঠিটা পেয়েছি দরজার নিচে। দেখতো কি?

আর চিঠি খুলেই যা পেলাম সেটাই প্রথমে ছাপিয়ে দিলাম!

চিঠিটা পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করছি। মনোযোগের ব্যাঘাত মামীই ঘটালেন। হাতের লেখাটা তোমার সংগে মিল আছে!... স্বরটা নামিয়ে মামী বললেন...!

কিন্তু সেই নিচুগলার ভিতরও অন্যরকম সন্দেহের গন্ধ পেলাম, মানে?

না মানে, ইয়ে... তোমার ব্যাগ থেকে অসাবধানে পড়ে গেছে ভেবে চিঠিটা যত্ন করে তুলে রেখেছি! তোমার কাজের জিনিষ! মামী জানে আমার এক স্বল্পপরিচিতার নাম মৌ। সেখান থেকেই তিনি অনেক কিছু ভেবে নিয়েছেন! কিন্তু এখানে যে, আমি একজন নিখাদ দর্শকমাত্র, এটা বোঝাতে সেই সন্ধ্যায় আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে!

কিন্তু সেটা অন্য কাহিনী।

*** মেয়েটার নাম আসলে মৌ নয়, অন্য আরেকটি নাম! আমাদের ৩৬০ এর একজনের নামের সংগে একদম মিলে যায়, সেজন্যই নামটা পালটে দিলাম! ইচ্ছে করেই!

*** চিঠিটা সম্ভবত পাশের ফ্লাট এর মেয়েটার। মামীর কাছেই শোনা, তার অধিকারে নাকি অনেকগুলো নাম... অনেকগুলো পাসপোর্ট কাছে থাকার মত!

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০০৮

Entry for June 12, 2008

গতকাল সন্ধ্যার মরা আলোয়,

শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে দিয়ে

হেঁটে আসার সময়,

সুবাসে মাতোয়ারা ব্যক্তিটি আমিই ছিলাম, এরকম নিরস মানুষও

অজানা গন্তব্যের আশায় কিংবা আশঙ্কায়

নেচে উঠে। আত্মার আত্মীয়া খোঁজে, মনে মনে!

কিন্তু দুকদম বাড়তি এগিয়েই

আবার...

অফিস শেষে ঘরে ফেরা অসহ্য গরমে অতীষ্ট-বিরক্ত,

ঘর্মাক্ত শরীরে-পোষাকে

সেই ছা-পোষা নিপাট ভদ্রলোক!

সেটাও আমি।

যার চিন্তাগুলো আবার আবর্তন করে বৈষয়িক ভাবনায়!

-----------------------------------------------------------------------------

গতকাল শাহবাগ পুষ্পবিপণীর সামনে দিয়ে টিএসসি যাবার পথে, হঠাত করেই অনুভুতিটা হারিয়ে গিয়েছিলো। মনের গহীনে ভেসে ওঠা দুটি সরল বাক্যকে অবিন্যস্ত ভাবে ভেঙ্গেই লিখে ফেললাম! ভঙ্গুর এই শব্দসমষ্টিকেই অনেকেই নাকি গদ্যকবিতা বলেন। তবে এটি কবিতা নয়, প্রলাপ মাত্র! অনেক দিন কিছু লেখা হয়নাতো!

কিন্তু লেখাটা কী অদ্ভুত রকম বিচ্ছিরি হয়ে গেলো!

নেগেটিভ!



সকালে উঠেই মেজাজটা খিঁচড়ে গেলো!

যাবেই বা না কেন? সকাল সকাল অফিস যাবো বলে এলার্ম দিয়েছিলাম সকাল সাতটা পাঁচ এ! কিন্তু যন্ত্রধ্বণি বাজার পর বিছানায় এপাশ ওপাশ করে গড়িমসি করতে গিয়ে ১০ মিনিট লেট! আর সকালের ১০ মিনিট লেট মানে রাস্তায় আরো দুজায়গায় বাড়তি জ্যামে আটকে পড়া! অফিসে দস্তুরমত ৩০ মিনিট লেটফলশ্রুতিতে মাসিক মাইনেতে নেগেটিভ!

দিনটাই খারাপঅফিসে গিয়েই বসের ঝাড়ি ! কার মুখ দেখে যে উঠেছিলাম আজ? ও! মনে পড়েছে, হতভাগাটা আমিই ... আধবোঁজা চোখে রাজ্যের আলিস্যি নিয়ে বাথরুমের আয়নায় নিজেকেই দেখেছিলাম প্রথম! অকারণ ঝাড়ি খেলে মেজাজের পঞ্চমী আরো উপরে ওঠে! আর তাতেই ইন্সট্যান্ট ডাইরেক্ট একশন! মাথা ব্যাথা! কাজে অসংগতিআবার ঝাড়িআবার মাথাব্যাথার উচ্চাংগের আরোহন! অচ্ছেদ্য দূষ্টচক্র! ফলাফল আরো নেগেটিভ!

অনিবার্য কারণে অফিসে যাই ছেঁড়া স্যান্ডেল পরে আর বাজারে পায়চারী করি ব্রান্ড-শু পরে! ছেঁড়া স্যান্ডেলে পৈত্রিক প্রাণটা বেঘোরে নেগেটিভ হতে পারে, এই ভেবে একখানা নতুন চপ্পল কেনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি কদিন ধরেই! সন্ধ্যার সময় রামপুরা বাজারে নেমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে পাশের দোকানে গিয়ে নিজেকেই জুতোবো... সেই নিষ্পাপ ইচ্ছেটাও পুরণ হয়নাপ্রচন্ড গরমে এটিএম-বুথটারও ডি-হাইড্রেশন ঘটে! প্রতিদিন বিকালে হাসফাস করে জ্ঞান হারায় ওটা! আর আমি আসি সন্ধ্যায়! টাকা তোলাও হয়না আর চপল-পায়ে-চাপা হয়না! বাসায় গেলেও ইলেক্টিসিটি নেইদিনটাই নেগেটিভ!

ভগ্নহৃদয়ে রাস্তার ওপার থেকে এপার আসার সময় দানবীয় ট্রাকটাকে জ্যমিতিক এঙ্গেলে সাইড দিতে যাচ্ছি ... এমন সময়... সুললিত কন্ঠের এসএমএস ধ্বণি! ফ্রি এসএমএস এর ফ্রি শুভাকাংখা... শুভ সন্ধ্যা! বিশেষায়িত এমন একটা দিনের শেষে এসএমএসটা বিদ্রুপাত্মক হিসাবেই ধরা দিলো! হয়তো প্রেরকের ইচ্ছাটা ছিলো পজিটিভ! কিন্তু হাইপারটেনশনে নিজেকে আর সামলানো দূষ্কর হলো! কল-ব্যাক করলামফলাফল ততক্ষণাত... ব্যালান্স নেগেটিভ!

ও! একটা কথা বলা হয়নিআগের দিন কোয়ান্টামে স্বেচ্ছায় ব্লাড ডোনেট করে এসেছিলামএ নিয়ে হলো মাত্র আটবার! কাজটা একদম নিঃস্বার্থ ভাবেই করিএমনকি কাকে দিচ্ছি সেটাও জানতে ইচ্ছে করেনাকোয়ান্টামে ব্লাড দেবার একটা মস্ত সুবিধা আছে! ওরা দুয়েকদিনের মধ্যেই ব্লাড এর পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয়! আজ দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে আসা ব্লাড রিপোর্টেও নেগেটিভ!

এইচ-আই-ভি নেগেটিভ!

*** এটা কয়েকদিন আগের পূর্ণদিনের স্বল্পদৈর্ঘ চিত্র মাত্র! ব্যস্ততা আর লোডশেডিং ... উভয়ই আমার উপর প্রভাব বিস্তার করায় একটু দেরী হলো!

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০০৮

বৈ-সা-বি ও অন্যান্য



বাংলা নববর্ষের সঙ্গে সঙ্গেই পার্বত্য অঞ্চলে শুরু হয়বৈ-সা-বিউতসব। ত্রিপুরাদেরবৈসুক’, মারমাদেরসাংগ্রাইআর চাকমাদেরবিঝু’ ... এই ত্রয়ের আদ্যাক্ষর মিলনেইবৈ-সা-বি

বুয়েট-জীবনের ক্লাসমেট আর বর্তমানের কলিগবাফরুমারমা সম্প্রদায়ের লোক। আমাদের অফিসে ছুটিছাঁটা নেহাত কম, তাই ও ছুটি জমিয়ে রেখেছিলো ... এ সময় টানা অনেক দিনের ছুটি নেবে বলে। কদিন ধরেই তার উতফুল্লভাবের সীমানা আকাশছোঁয়া ... কথায় কথায়, “ইয়ো ম্যান” !

সাংগ্রাইএর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলোপানি খেলাঅর্থাৎ জলের মধ্যে না নেমেই জলকেলী! প্রায় প্রতিটি তরুণ মারমা হৃদয়ই উথাল-পাথাল করে এই সময়টুকু জন্য! তরুণ-তরুণীরা সোল্লাসে পরস্পরের দিকে পানি ছুঁড়েদিশাহারাহয়!অনেক কিছুরইসূচনা হয় এই অনুষ্ঠান থেকে!

কিন্তু আমাদের বাফরু একটা পাড় হতভাগা! বেচারা চোখে দেখে একটু কম!

তাই প্রতিবারই কোনসুন্দরীযে ওর গায়ে পানি মেরে পার পেয়ে যায়, ও বুঝতেই পারেনা! আবার চশমা পরলেও আরেক সমস্যা, লেন্সের উপরে পানি পড়ে সেটাও ঝাপসা হয়ে যায়! ফলাফল একই ... বিফল!

তাই গত কয়েকদিন ধরেই ইন্টারনেটেল্যাসিক-চিকিৎসানিয়ে পড়াশুনা করলো সে। এইবার না হোক, অদূর ভবিষ্যতে পানি নিক্ষেপকারিণীকে হাতেনাতে পাকড়েপাণিপ্রার্থনা করতে পারবে সে!

***

লোকাল বাসের বদলে কাউন্টার সার্ভিস বাসগুলো এসেছে অল্প কদিন হলো... টিকিট কিনে লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা বাসে উঠি। ব্যপারটা রেশনিং লাইনের মতই পুরনো।

কিন্তু ব্যস্ত পৃথিবীর অন্য জগতে ঘটনা একটু অন্যরকম। বাসের গেটেকার্ড-রিডারমেশিনের নির্ধারিত স্লটে পাঞ্চ কার্ড ঢুকালেই টাকা অটোমেটিকনাইহয়ে যায়! তবুও কাজটা নাকি ইফিসিয়েন্ট হয়না। পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করতে হয়... সেখান থেকে পাঞ্চ কার্ড... কার্ডটা আবার যন্ত্রের পাকস্থলিতে পুরতে হয়...বদহজমশেষে কার্ডটা বের হয়ে আসলে আবার রিভার্স প্রোসেস! যে সময় প্রতি মিনিটে অর্থ প্রসব করে, সেই মূল্যবান সময়ের বাড়তি অপচয়!

চাই আরো আধুনিক ব্যবস্থা!

সেজন্যসময়ের-সঞ্চয়প্রচেষ্টায় এমন এক যন্ত্রের অবতরণ ঘটলো, যেটার সেন্সরের সামনেকার্ড-হজম্‌ডমানিব্যাগটা ধরলেই চলে। ব্যালান্স অটো রিডিউসড!

কিন্তু আমজনতা যুগের চেয়েও আধুনিক।

তারা মানিব্যাগ এগিয়ে দেয় ঠিকই... তবে প্যান্টের পকেট থেকে সেটা বের না করেই!

***

আমরা তো দুই ধরণের মুরগী খাই। কারো পছন্দহাড়-কটকটেদেশী মুরগী আবার কারো বাক্ষীণজন্মা ফার্মের মুরগি। বাজারে ফার্মের মুরগী যেমন সুপ্রাপ্য, তেমন দেশি মুরগীও।

আচ্ছা, দেশি মুরগী কি ফার্মে হয়না? নাহলে এত বেশি সরবরাহ হয় কিভাবে?http://us.i1.yimg.com/us.yimg.com/i/mesg/emoticons7/7.gif

***

১। উপজাতি/আদিবাসী শন্দ দুইটার ব্যাপারে আমার প্রায়োগিক আপত্তি আছে! তাই যথাযোগ্য শব্দ হিসাবেসম্প্রদায়ব্যবহার করলাম!

২. ক্ষীণজীবী বললাম, শোনা যায়... পরিবহনকালে অনাকাংখিত ভাবে বাসের টায়ার ফাটলেই গোটাকয়েক ফার্মের মুরগীর নাকি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকাল প্রয়ান ঘটে!

Top of Form

Bottom of Form

Tuesday April 15, 2008 - 10:23am (BDT)