- অফিসে অন্যান্য সিনিয়রদের পেটের ‘সম্মুখগামী স্তরীভুত চর্বির’ অবস্থান দেখে আমার ডিরেক্ট-বস মাঈনুল ভাই ডায়েট কন্ট্রোলে মনোযোগী হবার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন! প্রায়ই সকালের নাস্তা বাদ দেন তিনি! অফিসে এসে, বাকি সবাইকে শর্করা জাতীয় খাবারে ‘নিরুতসাহিতকরণ’ও ইদানিং তার একটা শখ ! সেদিন আবার দেখলাম, নিমগ্নচিত্তে হার্বাল ওষুধের উপর পড়াশুনাও করছেন! আমি সকালে পরোটা-কেক খাই!
“ইস্শিরে! এই সব জাংক ফুড যে মানুষ কেমনে খায়!” তিনি আমাদের অজ্ঞতায় উষ্মা প্রকাশ করেন, “ফ্রুটস খাও!”
“আপনি সকালে কি খেয়েছেন?” সন্দেহ প্রকাশ করতেই হয়, কারণ উপদেশদাতার নিজের অবস্থান জানাটাও অত্যন্ত জরুরী!
“আজ কিছুই খাইনি”, আশ্বস্ত করেন তিনি, “তবে কাল থেকে আঁশযুক্ত ফল খাবো! পেটও ভরবে, আবার স্বাস্থ্যকরও!”
“নারকেলের ছোবড়া খেয়ে দেখতে পারেন! আঁশগুলো মজবুত!”, আমার বুদ্ধিটা বোধহয় তার খুব একটা পছন্দ হয়নি!
***
চাকরী সুবাদে এখন ব্যস্ততা বেড়েছে! আবার উত্তরার মত ‘গ্রামাঞ্চলে’ থাকার কারণে অন্যদের সংগে যোগাযোগ অনেকটাই কমে গেছে! তাই বেশ কিছুদিন পর পর আত্মীয়স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে মোলাকাত হয়!
“হায় হায়! তুমি দেখি শুকিয়ে একেবারে কাঠি হয়ে গেছো!”, আমাকে দেখে সবারই প্রাথমিক প্রতিফলন এরকম!
“কই? না তো? আমার তো মনে হয়, আমি ঠিকই আছি!”, জবাবটাও আমার মুখস্ত!
“না না! তুমি খুব শুকিয়ে গেছো। ওজন কত এখন? কত কমেছে?”, প্রত্যেকেই কেন যেন হুবহু একই প্রশ্ন করে!
“আমার ওজন কমেনি। আগে যা ছিলো তা-ই আছে! এখন ৭২ কেজি”, নির্লিপ্ত গলায় বলার চেষ্টা করি! আর প্রশ্নকর্তাকেও চমকে দিই, “আর, BMI ২৫ এর আশেপাশে! ”
“হায় হায়! তুমি দেখি মোটা হয়ে যাচ্ছো! শীঘ্রই ওজন কমাও!, মিনিটখানেকের মধ্যেই প্রশ্নকর্তার বুঝি ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বাগধারাটা স্মরণে আসে!”
‘মুটিয়ে শুকনো কাঠি’ হয়ে যাচ্ছি আমি!
কি করি উপায়?
শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০০৮
আজকের ব্লগ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন