ব্যক্তিগত একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটায়, গতকাল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম এরকম...
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
ছয়মাসের পথ মর্দ ছয়দিনে গেলো...
রিকশায় চড়িয়া মর্দ সুখনিদ্রা গেলো
বারো ঘণ্টা পার করিয়া বারো হাত গেলো...
তারপর, শুরু হলো মনির ভাই ও পল্লব ভাই এর মজার কবিতার লড়াই! সাইডলাইনে বসে বেশ উপভোগ করলাম!
[মনির ভাই]
মর্দকে বিয়ে দাও ধুমধাম করে
ঘোড়াতে চড়লে যাবে এবার সে উড়ে
রিকশা চড়লে পরে থাকবে সজাগ
...ধৈর্যটা শিখে সে যে ভুলে যাবে রাগ :)
[পল্লব ভাই]
বিয়ে করার পরে মর্দ মর্দ না আর থাকে
বাঘের গর্জন নেমে আসে মিউ মিউ ডাকে
তখন সে আর রিকশা নাকি ঘোড়ার পিঠে চড়ে
...সেই খবরে বলো তবে কেয়ার কে আর করে? ;)
[মনির ভাই]
মর্দরা তো মর্দই থাকে মাদীরা হয় বাদী
সে বাঘ হোক আর বেড়ালই হোক, হবার পরে শাদী
ধৈর্য্যটা তার একটু বাড়ে, মেজাজটা যায় কমে
...রিকশা, ঘোড়া! নস্যি থোড়া! লড়তে যে হয় যমে! :)
[পল্লব ভাই]
হি হি হি হি ঠিক বলেছো, এই কথাটা মানি,
বিয়ের পরে মর্দ-যমে চলে টানাটানি।
কিন্তু তবু দিল্লী কা এই লাড্ডু স্বাদের ভারি!
...মর্দ কি আর ডরায় কভু বউয়ের খবরদারী?
মাঝে শান্ত 'র প্রশ্নঃ মর্দ তাহলে কে?
[পল্লব ভাই]
শর্তমতে মর্দ হলেন ঘোড়ায় চড়েন যিনি
বাঘের মতো গর্জনেও সিদ্ধ হবেন তিনি
তার হাকে সব ভয়ে ভয়ে ছিটকে পালায় দূরে
...ঘরে তবুও মর্দ বেড়ান বউয়ের আচঁল ধরে।
[মনির ভাই]
মর্দ যদি সাচ্চা সে হয়, বউয়ের আচল ছাড়ে
খবরদারী থাকলে ভারী, লাড্ডুতে রস বাড়ে
কাজেই যারা খাওনি কভু, খেয়েই নাহয় দেখো
...বদহজমের ভয় করোনা, বুকে সাহস রেখো :)
[পল্লব ভাই]
লাড্ডু আমি খাচ্ছি তো প্রায় বছর দুয়েক ধরে
আরও অনেক রান্না স্বাদের নিত্যই হয় ঘরে
খেয়ে খেয়ে মর্দ আমার বাড়ছে শুধুই ভুড়ি
মর্দের বউ সেই ভুড়িতে দেয় সুখে সুড়সুড়ি।
সুখে সুখে মর্দ নিজেও দু'চোখ বুজে ভাবে
...বউয়ের আদর পেলে সুখেই জীবন কেটে যাবে। ;)
ওয়াহ ওয়াহ মারহাবা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন