বুধবার, ৯ জুন, ২০১০

ভাইব্রেশন-অন-রেস্ট

আমি নাকি রেস্টলেস।

আমি নাকি ভাইব্রেশনলেস!

দু’টোই ভাববার বিষয়। কোনটা ঠিক?

এই গরমে, কালরাতে অনেক বার কারেন্ট গেছে। মা চার্জার ফ্যান নিয়ে ঘুমায়। আমি খুবই আস্তে চলা ফ্যান নিতাম, এখন রুম পরিবর্তনে অন্য ফ্যানে জোর পাওয়া যায়। তারপরও, সকালে দেখি, তার চেহারায় উস্কভুস্ক ভাব। আমি রাতে ঘুমানোর পর কিছুই টের পাইনি। কিছুই না। বালিশ শুধু ঘামে ভিজেছে। ঘুম ভাঙ্গেনি। খুব কম সময়ই ভাঙ্গে এভাবে। সকালে উঠেই ভাবছিলাম, শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম, গতকাল সারাদিন কী করেছি।

... সকালে ঘুমভাঙ্গা থেকে শুরু করে...। উঠলাম, খেলাম, অফিসে রওয়ানা দিলাম... কী খেয়েছিলাম? খিচুড়ি নাকি ভাত ভাজি? তারপর.... আচ্ছা, বিশ্বকাপে কোন ব্রাজিল সত্যি পারবে তো? নাকি হল্যান্ড-ই হবে ডার্কহর্স? ... তারপর, আচ্ছা অফিসে গিয়ে মাঈনুল ভাইকে বলতে হবে, ‘প্রাণ’ এর ক্রেন সিস্টেম আজকেই ছাড়তে হবে কিনা। হাসান স্যারের সঙ্গে এটা নিয়ে বসতে হবে, নাহলে নিজ বুদ্ধিতে ছেড়ে পরে কোন ভুল হলে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লাগবে। ... বিকালে কী মনির কে ফোন দেবো? নাকি রিন্টু ভাই? মনির কে ফোন দেয়া রিস্কি। মানসিক বৈকল্যের কথা শোনা যায়। মোটাসোটা মানুষটা শুকিয়ে গেছে আমার চেয়েও। নাকের নিচের গোঁফটা যে কী অদ্ভুত দেখা যাচ্ছে, যদি সে জানতো! ... দুপুরে খেলাম, রুইমাছ ভাল লাগে খেতে, কিন্তু কোন কোন পিসে তিতা ভাব থাকে। কাল পড়লো তিতা। বিকালের নাস্তা অফ করে দেবে অফিসে। বিরক্তিকর। যেভাবে আছি, খারাপ লাগেনা। কিন্তু মাঝে মাঝে এসব ঘটলেই মনে হয় সরকারী জবের প্রতি ‘হার্ট এন্ড সোল’ চেষ্টা করি। কিংবা বিদেশ। ওহ! ইশতিয়াকের ব্যাপার নিয়ে ছোটমামার সঙ্গে কথা বলতে হবে। বলতে পারলাম না কাল। তাকে সময় দেয়ার উছিলায় নিজেই ফোন করতে দেরি করছি... শুনি, পাচঁ বছর পর কী হবে সেটা ভাবতে। মনে হয়, আগামী পাঁচ বছর ইরেজার দিয়ে মুছে দেই। ...

মা ডাকছে, আজ আবার অফিস।

কী ভাবছিলাম, সেটা ভাবা হলোনা। কখনই হয়না। রেস্টলেস মাইন্ড।

‘মাইন্ড’ সম্পর্কে বলতে গেলেই মনে পড়ে, জিম ক্যারি আর কেট উইন্সলেটের ‘ইটারন্যাল সানশাইন অব আ স্পটলেস মাইন্ড... ’ ওরকম হলেও মন্দ বোধহয় হতোনা...

ভিবি।

২টি মন্তব্য: