ড্রাফট ১:
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০।
বিশ বছর আগের এই দিনটা অন্যরকম হলে, আজকের এই শনিবারটাও অন্যরকম হতে পারতো।
হতে পারতো আনন্দময় একটা সন্ধ্যা। যেটা এখন ঢাকা নিজস্ব বিষাদে।
আলংরিক বিষাদ।
ক'টা বাজে এখন? সাতটা বেজে উনপঞ্চাশ।
একটু পরেই রাতের খাবার সময় হবে। আজকের দিনটা অন্যরকম হলেও আজ খাবার সময়টা ঠিকমতই আসতো
আজকের দিনটা কী ভাবে অন্যরকম হতে পারতো? সেদিন অত্যন্ত তরুণ একটা জীবনের পরিসমাপ্তি না হলে, আজ হতে পারতো অন্যরকম।
ঈদানিং যেন কি হয়েছে। অনেক কিছু নিয়ে লেখা শুরু করি। অথচ শেষ করতে পারি খুব অল্পই।
ড্রাফট ২:
ঈদানিং মানে আসলে কি? ড্রাফট ১ এ উল্লেখিত ঈদানিং এর বিস্তৃতি কতটুকু।
একদিন, দুইদিন... এক মাস দুইমাস বা তারচেয়েও বেশি? জানা হলোনা।
শুধু জানি, ১৯৯০ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বরটা অন্যরকম হলে, ব্যাপারটা আলাদা হত।
খুব বেশি ভালো হত কিনা, সেটা এখন বলা যাচ্ছেনা।
হয়ত ভালোই হত।
এখন যেহেতু ভালো নেই তেমন একটা।
ড্রাফট ৩:
দ্বিতীয় ড্রাফট-টা লিখতে একটু সময়ের বিরতি ছিলো। এটিতে নেই।
ড্রাফট ৪:
অস্থিরতা বেড়েছে।
এটা আগেও ছিলো। পার্থক্য হলো, আগের চেয়ে বেড়েছে। ক্রমশ সবকিছু অর্থহীন মনে হচ্ছে।
সাফল্যক্ষুধা বেড়েছে, আবার, একই সঙ্গে কমেছেও।
আচ্ছা, উন্নত বিশ্বে সাইক্রিয়াটিস্টদের এত কদর কেন?
ড্রাফট ৫:
একথা-ওকথা পেড়েই চলেছি। আসল কথায় টরেটপ্পা।
আচ্ছা, আমি এত প্যাচাই কেন?
সবাই যখন বলে, আহ, একা সন্তান হবার কি মজা! তখন কেন দুঃখবোধ আসে!
ড্রাফট ৬:
১৯৯০ সালের এই দিনে আমার একমাত্র সহোদর পৃথিবীতে তার একদিনের জীবন কাটিয়ে আবার ফিরে গিয়েছিলো।
ড্রাফট ৭:
একটি না ফোটা মানুষই জীবনের অন্যতম নিয়ামক হয়ে গেলো!
-- ন'টা পয়ত্রিশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন