বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আমি ডান দিকে রইনা, আমি বাম দিকে রইনা



আমি ডান দিকে রইনা, আমি বাম দিকে রইনা
আমি দুই দিকেতেই রই পরান জলাঞ্জলি দিয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে কবিতা করি, আঁকিবুঁকি করি
আমি কেমনে মানুষ হই?
আমার মহান হবার সাধই জাগে
মহান হতে পারিনে
আমি যে সাধ আহ্লাদ ছাড়িনে!
মহা চিন্তায় আছি বন্ধুরে, আমি চলে গেলে কী পড়ে রবে?
বন্ধুরে...

আমি আগার দিকে যাইনা, আমি গোড়ার দিকে যাইনা
আমি দুই দিকেতেই রই কিছু থুইয়া, কিছু খুইয়া রে
আমি কেমনে মানুষ হই?
আমার দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিশে ছেড়ে যায় আমারে
না জানি কিসের অভিমানে!
মহা চিন্তায় আছি বন্ধুরে, আমি চলে গেলে কী পড়ে রবে?
বন্ধুরে...

আমি উপর দিকে যাইনা, আমি নিচের যাইনা
আমি মাঝপথে ঘুরি কিছু দিয়া কিছু নিয়া রে!
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে কবিতা করি, আঁকিবুঁকি করি...
আমি ডান দিকে রইনা, আমি বাম দিকে রইনা
আমি দুই দিকেতেই রই পরান জলাঞ্জলি দিয়া রে
[মহীনের ঘোড়াগুলি]


শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১২

ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী?

ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী?
ভালোবাসা হলো নিঃশ্বাস এ দেহে,
নিঃশ্বাস বিনা মানুষ কখনও বাঁচে কী?

যেভাবেই হোক তাই
ভালোবাসা পেতে চাই

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১২

আমি সাগরেরও নীল নয়নে মেখেছি



আমি সাগরেরও নীল নয়নে মেখেছি
এই চৈতালি রাতে ফুল কঙ্কণও পরেছি
দখিনও হাতে...

বনলতা দিয়ে দোলনা বেঁধেছি আর
কণ্ঠে পরেছিই গানের অলংকার
অঙ্গে ভরেছি তোমার প্রেমেরও অপরূপ তঙ্কারে

এ মধু প্রহরে আকাশ বাসরে
দু’টি নীল তারা জ্বলছে
হয়তোবা তারা তোমার আমার স্বপ্নের কথা বলছে

তাই ভেবে আমি প্রদীপ জ্বালিয়ে আর
সরায়ে দিয়েছি মায়াবী অন্ধকার
তোমার আমার এই সুরভিত বেদনার মোহনাতে
আমি সাগরেরও নীল নয়নে মেখেছি

***
কথাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল
শিল্পীঃ ফেরদৌসী রহমান

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

বন্ধুত্ব- গান - 'নিয়ন আলোয় স্বাগতম' থেকে


বন্ধুত্ব হলো বদ্ধ জানালায়
হঠাৎ আছড়ে পড়া ঝলক বাতাস
শত না বলার কথার মাঝে
বুঝে নেয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা

ক্রমাগত যন্ত্রের যান্ত্রিকতায়
পিষ্ট নগরবাসী পা বাড়ায়
অবাক হতে ভুলে যাওয়া মানুষের
বদ্ধ দরজায় মুক্তির গান

কোন কিশোরীর অবাক চাহনী
অথবা সলজ্জ চোখের জল
গ্রীষ্মের দুপুরের ঠাণ্ডা জলে
আনমনে ভিজিয়েছো শাড়ির আঁচল

অশান্ত পৃথিবীর বুকের শান্তির বাণী
মানুষে মানুষে এক অচিন টান
শত বাধার মুখেও টিকে আছে
চলবে প্রজন্মের এই সংগ্রাম।

শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

ঝিক ঝিক ...

গেরিলা আক্রমণে সম্পূর্ণ যুদ্ধজয় করা যায়না।
অভিশাপ দিয়ে নিজেরই ক্ষতি
ঈশ্বর কেন বিভিন্ন রূপে আসে নানালোকের কাছে?

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

গত পাঁচ তারিখ রাতে কী খেয়েছিলেন?

ছয় তারিখে _ নির্দোষ প্রশ্ন।

গত পাঁচ তারিখ রাতে কী খেয়েছিলেন?
- কেন? ভাত, মুরগীর তরকারী আর... আর... ডাল ছিলো মসুরের... লেবু নিয়েছিলাম। এই তো। পানি তো ছিলোই।

সাত তারিখে _ নির্দোষ প্রশ্ন।

গত পাঁচ তারিখ রাতে কী খেয়েছিলেন?
- কেন? ভাত, মুরগীর, মসুরের. ডাল.. লেবু, পানি। এইসব।

নয় তারিখে _ নির্দোষ প্রশ্ন।

গত পাঁচ তারিখ রাতে কী খেয়েছিলেন?
-মুরগী দিয়ে ভাত, ডাল, লেবু।

বুধবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পলায়নপর

ছোটবেলা থেকেই যখন যেটা করবার কথা সেটা করতে ভালো লাগতো না। তবে করেছি। বড় হবার সাথে সাথে সেটা করতে পারছি কম। বুয়েটে থাকার সময় যখন যেদিন যে পরীক্ষা থাকতো, তার আগের দিন অন্য বিষয় পড়তে ভালো লাগতো। এতে পরীক্ষা খারাপ হতো। এখন, যখন যে কাজ তখন সেটা না করে অন্যটা করতে ভালো লাগে। তবে করি। এতে বোধহয় কাজের মান কমে যায়। তবে কাজ হয়। তবে এ থেকে নিস্তার চাই। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।

সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আব্দুল কুদ্দুস ভালো লোক ছিলো

তা অবশ্য আমরা সবাই জানতাম। জানতাম, আব্দুল কুদ্দুস পরোপকারী, লাস্যমান (লাস্যময়ীর পুরুষবাচক আর কি)!
কিন্তু আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে কারো যে দহরম মহরম ছিলো, সেটা কেউ বলতে পারবে না। দেখা হবার প্রথম দু'মাসের পর আমার তাকে নিয়ে যে ধারণা ছিলো- সে একজন ডোন্ট মাইন্ড ধরণের মানুষ। আমি মানুষ চিনতে খুব কম ভুল করি।
আব্দুল কুদ্দুসকে নিজের বন্ধু হিসাবে নিতে চেয়েছিলাম... এমন একটা মানুষকে বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!
ব্যাপারটা আসলে অন্যরা জানেনা। যখনই আব্দুল কুদ্দুস এর সঙ্গে আরো বেশি মেলামেশা করতে শুরু করলাম, দেখলাম সে মদ-গাঁজা খেয়ে টাল থাকে- অবশ্য সেটা সে বাইরে কাউকে দেখায় না। মদ-গাঁজা খাওয়া অবশ্য অনেকেই খারাপ চোখে দেখেনা। আব্দুল কুদ্দুসকে নিচু মানসিকতার পরিচয় লোক হিসাবে ধরে নিলাম! ভিতরে ভিতরে আব্দুল কুদ্দুস এত খারাপ হলেও যেহেতু সে বাইরে কিছু প্রকাশ করেনা, তাই তাকে এখন আমি একধরণের মোনাফিক হিসাবে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস করা আমার অধিকার।
আব্দুল কুদ্দুস বড় ভালো লোক ছিলো, আমার সঙ্গে পরিচয় হবার আগে।

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

টোটকা

রোগ হলে ঔষধ গিলতে হয়, কে না জানে! আমিও জানি।

শরীরের রোগ হলে যেমন পথ্য লাগে, মনের রোগ হলেও লাগে? আচ্ছা, যদি মনের রোগ না হয়ে যদি মন খারাপ হয়? মন খারাপ কী রোগ? না! তবে একটুতেই মন খারাপ করা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলেও হতে পারে! (একটু মানে কী?) একটা সময়ের কথা মনে পড়ে, তখন কোন মানুষের মন খারাপ হলে আমাকে ফোন দিত- আমি কিভাবে যেন হাসিয়ে ফেলতাম! আমার নিজের মন খারাপ হলে ঘরের কোণে তখনও অহেতুক চুপ - কিংবা রাস্তায় অপরিচিত লোকের মাঝে হাঁটা! কিন্তু, খুব কম সময়ই অন্য কেউ এটাকে ঠিক করতে পেরেছে...

মজার ব্যাপার হলো, অন্য কারো কারণে মন খারাপ হলে সেটার মধ্যে রাগ ও ক্ষোভ থাকে অনেক! সেই রাগ ও ক্ষোভ দূর করলেই মন খারাপ কমে আসতে পারতো! - শুধু পারতো বললে ভুল হবে- মন খারাপ কমতে বাধ্য!
সেই কারণে মন খারাপ দূর করবার গোপন টোটকা তো আমি জানিই! কিন্তু কোন মানুষের সঙ্গে সেটা শেয়ার করলে কার্যকারিতা, তা চলে যেতে পারে!
তবে কেন সেটা ব্যাবহার করছিনা? আমার মন কেন খারাপ হলে ভালো করছিনা?

এই ইচ্ছাটা আনার টোটকাই বোধহয় আগে লাগবে!

পৃথিবীটা জ্ঞানী জ্ঞানী লোকজন দিয়ে ভর্তি! 

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

না সাজানো গল্প

অন্য সব কথার মত এটাও আবিষ্কার করেছিলাম...
ভাবতে শিখেছি, ভাবনাগুলো সাজাতে শিখিনি।
কালই ভাবছিলাম, ত্রিশ ছুঁই ছুঁই বয়স।
আর কত? এবার সাজাতেই হবে।
জীবন যে পূর্ণতায় এলো! 

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

দি চকোলেট টুইস্ট -১

বেশ ভালো একটা বেতনের লোভ ছেড়ে সরকারী চাকরীতে যোগদান করতে হচ্ছে। বিসিএস -এর এখনও একটু আধটু সম্মান আছে বলেই হয়তো। সরকারী চাকরীতে বেতন কম!
লোকের মত... ও ঘুষ খাবেন, বেতনের দরকার কী?
তাই বলি, দেখি যেয়ে কী হয়, তারপরে "দেখবোনে।"

তবে চকোলেট টুইস্টটা কোথায়?
এসএমএস পাওয়ার পর যখন শুনলে সরকারী চাকরীতে মাত্র ১৮০০০ হাজার টাকার বেতন, তখন?
-সে তো ভুল বলেনি!
-আর আমি জানি, সেই বেতন ওভারকাম করার ক্ষমতা আছে তোমার ও দোয়াও করি যাতে তা থাকে।

মাত্র ১৮০০০ হাজার টাকায় চলতে না পারলে বা নিজের অন্য কাজ করে চলতে পারলে... যেটাই হোকনা কেন? দুইটা কথার যেকোন একটা তো ফলবেই! আমি ঠিক একটা মনোবৃত্তি গজাবেই! এভাবেই।

একদম সহি!
মিস্টি মুখে তাই চকোলেট টুইস্ট!

রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

যদি আমাকে জানতে সাধ হয়



যদি আমাকে জানতে সাধ হয়
বাংলার মুখ তুমি দেখে নিও
যদি আমাকে বুঝতে মন চায়
এ মাটির শ্যামলিমায় এসো প্রিয়।

এখানে বৃষ্টি ঝরে রিমঝিম শ্রাবণের সেতারে
তোমারই নদীর বুক কেঁপে ওঠে প্রণয়ের জোয়ারে
যদি কখনও দেখতে মন চায় আমার মনের চঞ্চলতা
তবে বরষার কোন নদী দেখে নিও।

শাপলা ফোটে যখন ঝিলের জলে
পাখিরা কুজন করে বনতলে
মনে করো সে আমার হাসি
সে আমার গান।

এখানে ঝরনা যেন যেতে চায় সুদূরে হারিয়ে
পাহাড়ি সবুজ মায়া ডাক দেয় দু’টি হাত বাড়িয়ে
যদি কখনও পৌছতে মন চায় আমায় হারাবার ঠিকানায়
তবে নিজের হৃদয়ে তুমি দেখে নিও।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১২

জানি একদিন আমার জীবনী লেখা হবে [সতিনাথ মুখার্জি]


জানি একদিন আমার জীবনী লেখা হবে
সে জীবনী লিখে রেখো, তোমাদের গানের খাতায়

যেদিন রবো না আর তোমাদের মাঝে
যদি এই তানপুরা আর নাহি বাজে
তখন হঠাৎ যদি মনে পড়ে মোরে
গেয়ো শুধু মোর গান
যতটুকু লেখা থাকে তোমাদের স্মৃতির পাতায়।
জানি একদিন...