সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০০৮

Menu!


ওহ! আজ দুপুরে যা খেলাম! অতুলনীয়!

মেনুটা শুনবেন?

পটলের রোস্ট!

মিষ্টিকুমড়া ভুনা উইথ বরবটি বেকড্‌ ইন এক্সট্রা সল্ট!

ডালের ফ্রাইড অনিয়ন মিক্সড স্যুপ।

এন্ড সিউর্‌লি মিনারেল ট্যাপ ওয়াটার, বয়েল্‌ড!

একেবারে সেইরকম ভোজ!

অফিসে সপ্তাহে একদিন ‘ভেজিটেবল-ডে’ থাকে যে!

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০০৮

সাম্প্রতিক ব্যক্তিগত কড়চা




বয়স হয়েছে। রাখঢাক করে না বললে, বিয়ের বয়স হয়েছে। অন্তত পাড়াপ্রতিবেশি- আত্মীয় স্বজনের এই পোক্ত ধারণা। কারও বাড়ি বেড়াতে গেলে খালা-নানীস্থানীয় মাতৃকুলের টিকা টিপ্পনীতে অস্থির হয়ে যাই। কবে বিয়ে করবি রে বাপ?। ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি দিন এতিম থাকাটা ভালো দেখায়না!

তবে নিজের ধারণাটা অন্য, এই তো সেদিন ফিডার ছাড়লাম। মায়ের কোল থেকে নেমে মাত্রই হাঁটা শিখেছি।

নজরুল সঙ্গীতের প্রতি আমার অপরিসীম আগ্রহ-অনুরাগ। নিজে গাইতে পারিনা। তাই একটু ভালো গলায় কেউ গাইলে, সেটা শুনে সমগ্ররজনী বিনিদ্র কাটিয়ে দিতে পারি। এরই মাঝে অনলাইনে এক আপুর সংগে পরিচয় হলো। একথা সেকথা শেষে তার অযাচিত কৌতুহল পূরণে উগড়ে দিলাম, আমার ফিল-ইন-দ্য-ব্লাংক পোস্টে যিনি আসবেন তাকে নজরুলের গান জানতেই হবে! তিনি সবই গাইতে পারেন এফ.এম রেডিও এর মত। অল ডে, অল হিটস। কিন্তু নজরুলের গান গাওয়ার অনুরোধে তিনি আমার কাছে সসম্মানে মাফ চেয়ে নেন। গলার তারটা নাকি ছিঁড়ে যায় এতে! আমিও তাই বারেবারে তাকে নজরুল সঙ্গীত-ই গাইতে বলি। আর কাচুমাচু গলায় ক্ষমাপ্রার্থনা শুনতে কার না ভালো লাগে!

যাইহোক, বিয়ের চাপাচাপিতে একটা পছন্দ দিতেই হলো। সোনার বরণ কন্যা তোমার, দীঘল কালো চুল... এই ধরণের কিছু না। শরীরের সব অঙগ-প্রত্যঙগ জায়গা মত থাকলেই চলবে। ফুটনোট দিলাম, ডাক্তার হলে মন্দ হয়না। যাক, তাদের কিছুদিন খোঁজাখুঁজির নিমিত্তে দিনকয়েক আরামে কাটিয়ে দিতে পারবো। রাস্তাঘাটে হরহামেশা ডানাকাটা পরী দেখা গেলেও, বিয়ের সময় যে গলাকাটা ও পাওয়া যায়না, সেটা মামার বিয়ে দিতে গিয়েই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কিন্তু পেয়ারা-দোস্ত সিফ বললো, হায়, হায় করছো কী? ডাক্তার তো কমন স্পেসিমেন! খুব সহজেই খুঁজে পাবে তোমার গলায় ফাঁস দেবার জন্য। ফাঁপড়ে পড়ি। ঘটনা সত্য, আসামী নির্দোষ। কিন্তু কথায় আছে না? বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয়। ও-ই আবার সাহায্যের হাত বাড়ায়, পছন্দটা মডিফাই করে ফেলো। সবাইকে বলো, ডাক্তার দিয়ে এখন আর হবেনা। এখন হাইটেক যুগ। বিয়ে করলে Astronaut ই সই। এবং অবশ্যই বাঙালী! আমার অন্ধকারের ভিতর হঠাত করে ফ্লাডলাইট এসে পড়ে! এমন পাত্রী আর ইহজগতে খুঁজে পাবেনা কেউ! আমি ও সিকিউরড্‌! সিফাতকে ফাইভ স্টার হোটেলে খাওয়াতে ইচ্ছা করে। কিন্তু মানিব্যাগটা নিক্তিতে ওজন করে ব্যাপারটা স্থগিত রাখা হলো Astronaut পাত্রী না পাওয়া পর্যন্ত!

ভালোই ছিলাম। কিন্তু দিনের ঠান্ডাজ্বরে নিজের পর্যন্ত মতিভ্রম হলো। কিছুতেই সম্মন্ধীয় জ্বর ছাড়েনা। আবার ডাক্তার থিওরীতেই ব্যাক করার বাস্তবসম্মত চিন্তাভাবনা। আগে জীবন, পরে মহাকাশ ভ্রমন! স্বভাবশিল্পী আপুকে সব কিছুই খুলে বললাম আবার, দেখি কোন সদুপদেশ জোটে কিনা!

সব শুনে তিনি আওড়ালেন, ভাই, তুমি একটা জোস কাজ করতে পারো, একটা Actress বিবাহ করো। তার মধ্যেই সব পাবে! একই অংগে বধুরূপে বহুরুপ!

প্রত্যেক মানুষই চমতকার চিন্তা করতে পারে।

আইডিয়াটা মন্দ নয়!

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০০৮

দিকান্তরে ও আরেকটি প্রলাপ!




বাংলায় দশ দিক।

উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম-ঈশান-নৈঋত-অগ্নি-বায়ু!

আর ঊর্ধ্ব-অধঃ!

ইংরেজীতেও কমবেশি তাই।

আচ্ছা, কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে না? যারা এইসব দিক এর তকমা লাগিয়ে দিগ্বিজয় করছে?

নর্থসাউথ কিংবা ইস্টওয়েস্ট!

কিংবা কেউ কেউ একাই একদিকের মালিক।

নর্দার্ন!

কিংবা কিছু ব্যাংক আছে, যেগুলোর নাম আড়াআড়িভাবে দিকদর্শন ফলো করে!

সাউথইস্ট!

তাই আর দেরি কেন? অন্য দিকগুলো ফুরিয়ে যাবার আগেই সংগ্রহ করি। আছেন কোন ভাই? দিলদরিয়া কোন বোন? খুলে ফেলি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।

আপ-ডাউন ইউনিভার্সিটি

কিংবা ঝকমারী কোন ব্যাংক!

অধঃপতিত ব্যাংক লিমিটেড!

***

পত্রিকা খুললেই বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানীর চটকদার সব বিজ্ঞাপনের জমিদারীএটা করলে এটা লাভএই অফার লুফে নিন এখনিনাহলে পস্তাবেনআরো কত কী! সবচেয়ে বিরক্ত লাগে ওয়েলকাম টিউনের বিজ্ঞাপনযে আপনাকে ফোন করবে সে শুনবে গান! অপ্রয়োজনীয় প্রয়োজনের চূড়ান্ত হাতছানিকালে কালে আর কত কী হবে? কিন্তু দুঃখের কথা এই যে, আমি নিজেও ক’দিন সেটার গ্রাহক বনেছিলামসবকিছুই একটু চেখে দেখতে ইচ্ছে করে যে! কিন্তু বিরক্ত ধরে গেল অচিরেইতাই সসম্মানে বিদায় করে দিয়েছি শিল্পীকেআহা! আমাকে কেউ ফোন করলেই বেচারাকে বেলা-অবেলায় গলা সাধতে হতোবিশ্রাম পেয়ে খুশি হয়েছে বোধহয় খুব

কিন্তু আবার ওয়েলকাম টিউন সেট করার শখ জেগেছে মনে!

টিউন কি দেবো সেটাও ঠিক করে ফেলেছি এখন প্রোভাইডারেরা সাপোর্ট দিলেই হয় আর কি!

নাম না জানা সেই আপার গলায় একটা কথা বেশ ভালো লাগে, “দুঃখিতএই মুহুর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়অনুগ্রহ করে একটু পর আবার চেষ্টা করুনধন্যবাদ

কেমন হয় বলুন তো?

***