সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০০৯

হঠাৎ করিয়া বিবাহের শখ জাগিলো, যেই কারণে...

অবশেষে সাড়ম্বরে বান্ধবী ‘ত’ এর বিয়ে সম্পন্ন হলো। বন্ধু ‘স’ এর সঙ্গে। উপস্থিত ছিলাম।

বিয়ে বাড়িতে যেতে ভালো লাগেনা। সবাই হেসে-কুঁদে কত কী করে। আমি হাঁদারাম, চুপচাপ চেয়ার টেনে এক কোনায় বসে থাকি! বরের মুখে একরাজ্যের চিন্তার রেখা গুনি আর কণের মুখের খলখলিয়ে উঠা হাসির উজ্জ্বলতা মাপি! আর খাওয়ার দাওয়ার পর হেলেদুলে প্যাভেলিয়নে ফিরি। তাই, পারলেই ‘না’ বলে দিই। কিন্তু 'ত' বললো যেতেই হবে, “খুব বেশি ছেলেকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। তোমাদের মত খুব কাছের ক’জন বন্ধুকে!”। প্রস্তাবটা রোমাঞ্চকর না অপমানের সেটাই বুঝতে সময় লাগলো! এক দঙ্গল ‘হাওয়া’র মাঝে খুচরো ক’জন ‘আদম’! সংখ্যালঘু সমাচার!:((

তবুও যাওয়া হলো! বন্ধু ‘র’ এর সঙ্গে! ভোজটাও ছিলো ‘একটু’ অন্যরকম! পুরোটাই ‘চিকেনায়িত’! প্রথমে এলো চিকেন কাচ্চি - সঙ্গে চিকেন রোস্ট! পরে গলাগলি করে এলো, চিকেন কারী আর চিকেন কাবাব! পাশে বসা গোল চশমাধারী ‘র’ এর চোখ আরও গোল হয়ে উঠে! ওকে আশ্বস্ত করি, ‘আমি মেরিডিয়ান চিকেন ফ্লেভার চিপস ও আশা করছি!’

মনে হয়, আমাদের দোয়া-আশির্বাদে বিয়ে ভালোভাবেই সম্পন্ন হলো। দে লিভ হ্যাপিলি এভার আফটার!B-)

বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন পড়লো জুনে! প্রতিবারের মতই উইশ ভাসাই এসএমএস এ, “শুভ জন্মদিন... ইত্যাদি ইত্যাদি...”
জবাব এলো, “থ্যাঙ্ক ইউ ফর ইয়োর উইশ। ‘স’ এখন অফিসে!”

দু’দিন পর মেসেঞ্জারে পেয়ে জিজ্ঞাসা করি, “কী খবর কেমন আছো ‘ত’?”
বেশ খানেকক্ষণ পর মেসেঞ্জারের রঙ পালটায়, “আমি ভালো আছি। ‘স’ এখন অফিসে দারুন ব্যস্ত ... !”

আবার গত সপ্তাহে, “শরীর ভালো তো, ‘ত’?”
“এই তো আছি মোটামুটি। ওর শরীরটাও ভালো। ‘স’ আগামী সপ্তাহে মালয়েশিয়া যাচ্ছে! ...”

অল রোডস লিড টু রোম!X((

মনে কী সাধ আহ্লাদ জাগেনা? নাহয় আমি ‘আবিবাহ-চিরকুমার’! নেই কী কোন অ-আ-ক-খ-প-ফ-ব-ভ-ম-বিসর্গ-অনুস্বার? যে বলবে, ‘আ’ সবসময়ই অফিসে!:P

তবুও, ভয় লাগে! কারণ, একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না!:((