সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০০৯

পাখির আত্মহত্যা





"Suicide is man's way of telling God, "You can't fire me - I quit."

বিল মাহেরের এই মন্তব্যটি শুনতে যতই রোমাঞ্চকর মনে হোক না কেন, আদতে তা নয়! যে বস্তু আমাদের হাতে সৃষ্টি হয়নি, তা বিনাশ ঘটানোর অধিকারও নেই আমাদের! সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনবোধ কখনই সেটির অনুমোদন করেনা। প্রচলিত ধর্মসমূহও করেনা।

২.


কী কারণে আত্মহত্যা করে মানুষ? মোটাদাগে আমার ধারণা, কারও মানসিক ‘যুক্তিবোধ’ অন্য কোন আচমকা অনুভূতি যেমন ক্রোধ, লজ্জা, বিষণ্নতা, প্রতিশোধপরায়নতা, অপ্রাপ্তি, বিপদে সম্মান-রক্ষা ইত্যাদির কাছে পরাজিত হলেই মানুষ আত্মহত্যা করে – এককথায় মানসিক ভারসাম্যহীনতায় পৌঁছালে!

তবে পাখিরা কেন আত্মহত্যা করবে? ওদেরও কী সমাজ আছে সেভাবে? সেখানেও কী অনুভূতির সংঘাত ঘটে?

৩.

“As fog comes on a moonless night......
When the wind blows in direction right....

Jatinga turns into an island of search light,
& birds appear like ghosts from nowhere.”


বাংলাদেশ বেতারে সকালের একটা অনুষ্ঠান হতো, সম্ভবত নামটা ছিলো
‘গল্প হলেও সত্যি’। ছোটবেলায় সেখানে অনেক রকম ‘আজগুবী’ খবর শুনতাম। শিহরণ জাগানো ভালো লাগা ছিলো। আমি আর আম্মু সেগুলো শুনতাম আর নিজেদের ভিতরে আলোচনা করতাম এই বিশ্ব-সভ্যতার অদ্ভুত সব বিষয় নিয়ে। অনেক দিন পর কাল আবার কথাপ্রসঙ্গে চলে এলো সেসব। তাই, নেটে সার্চ দিয়ে পেলাম অনেক কিছু। ইশ! তখন যদি নেট থাকতো!

ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটি থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তর কাছাড় জেলার জাটিংগা গ্রামে পাখিরা আত্মহত্যা করে! মৌসুমী মাসগুলোর শেষে এই ঘটনা ঘটতে থাকে।
চন্দ্রবিহীন কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে, ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত, আগে থেকে কোন রকম সতর্কতা না জানিয়েই পাখিরা আছড়ে পড়ে মাটিতে। আঘাত পেয়ে ওগুলো মারা যায়। স্থানীয় ‘জাইনতিয়া’ জনগোষ্ঠীর ধারণা, অশুভ আত্মারা ভর করে তখন এলাকার আকাশে বাতাসে।

৪.

অনেকের ধারণা, মৌসুম শেষে কুয়াশার কারণে পাখিরা দিগভ্রান্ত হয়ে পড়ে। আর, এই সময় গ্রামবাসীরা আলোর ফাঁদ সৃষ্টি করে পাখিদের আকৃষ্ট করে। এতে সহজেই যেন তাদের কে ধরে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যায়। তবে কেন শুধু নির্দিষ্ট ১.৫ কিলো x ২০০ মিটার স্ট্রিপেই প্রায় ৪৪ প্রজাতির পাখি নিজেদের জীবনের শেষ ডেকে আনে? আসলেই কোন রহস্য নেই?

বিখ্যাত পাখি বিশারদ ডঃ সালিম আলি, ডঃ সেনগুপ্তা এ ব্যাপারে অনেক গবেষণা করেছেন। কিন্তু কোন পৃথক গবেষণার ফলাফলই পুরো ব্যাপারটিকে এখনও ব্যখ্যা ক
রতে পারেনি। মূলত বৈরী আবহাওয়ায় গভীর কুয়াশাতে পাখিরা উড়ে যাবার সময় গ্রামবাসীদের আলোর ফাঁদে আকৃষ্ট হয়ে এ কাণ্ড ঘটায়, এটিই সব গবেষণার উপসংহার। এছাড়া ঐ এলাকায় পাখির ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। এ জন্য সংখ্যাগত সাম্যাবস্থা বজায় রাখতে এটি হয়তো প্রকৃতিরই কোন না জানা খেলা!

৫. ট্রিভিয়া-

ক. জাটিংগা-তে শুধুমাত্র স্থানীয় পাখিরাই আত্মহত্যা করে। অতিথী পাখিরা করেনা। আর পাখিরা সবসময়ই উত্তর থেকে উড়ে এসে দক্ষিণের ঢালে আছড়ে পড়ে। এ পাখিদের সামনে তখন কোন খাবার ধরলেও তারা খায়না।

খ. পাখিদের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে বিশ্বখ্যাত চিত্রপরিচালক আলফ্রেড হিচককের একটি চমৎকার একটি চলচ্চিত্রের নাম দি বার্ডস

গ. আমার মত অনেকের প্রিয় লেখক, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে মাথা উড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

ঘ. আত্মহত্যা করার পরিবেশবাদী পদ্ধতি














ঙ। আত্মহত্যা
ঠেকাতে প্রযুক্তির ব্যবহার


তথ্যসুত্রঃ মূলত উইকিপিডিয়া, উত্তর কাছাড় জেলার ওয়েবসাইট। সাম্প্রতিক একটি খবর বলছে, এটি প্রকৃতির কোন খেলা না, বরং এটি স্থানীয় একটি খেলারই নৃশংস ফলাফল!

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০০৯

♫ ♫ ♫ পদ্মার ঢেউরে (নজরুল সঙ্গীত)

পদ্মার ঢেউ রে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...

এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে
আমি হারায়েছি তারে
পদ্মার ঢেউরে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...

মোর পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
বাতাস কাঁদে বাইরে
সে সুগন্ধ নাইরে
মোর রূপেরও সরষিতে, আনন্দ মৌমাছি
রূপেরও সরষিতে, আনন্দ মৌমাছি
নাহি ঝংকারে রে
পদ্মার ঢেউরে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...

ও পদ্মা রে, ঢেউয়ে তো ঢেউ উঠায় যেমন চাঁদের ঐ আলো
মোর বধুয়ার রূপ তেমনি ঝিলমিল করে কৃষ্ণ-কালো

সে প্রেমেরও ঘাটে ঘাটে
বাঁশি বাজায়
যদি দেখিস তারে দিস সে পদ্ম তার পায়

যদি দেখিস তারে দিস সে পদ্ম তার পায়
বলিস কেন বুকে আশার দেয়ালে জ্বালিয়ে
চলে গেলো চির অন্ধকারে

পদ্মার ঢেউরে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...
এই পদ্মে ছিলোরে যার রাঙা পা
এই পদ্মে ছিলোরে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে
আমি হারায়েছি তারে
পদ্মার ঢেউরে...
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
পদ্মার ঢেউরে...


Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০০৯

ফেসবুক স্ট্যাটাস - ২৭ নভেম্বর ২০০৯

একটা পাখিকে সুবিধামত ডালের উপর বসিয়া থাকিতে দেখিলেই শিকারীর ইচ্ছা করে তাহাকে গুলি বসাইয়া দিতে, পাহাড়ের গায়ে প্রস্তর পতনোন্মুখ থাকিতে দেখিলেই বালকের ইচ্ছা করে এক লাথি মারিয়া তাহাকে গড়াইয়া ফেলিতে - যে জিনিষটা প্রতি মুহূর্তে পড়ি-পড়ি করিতেছে, অথচ কোনো একটা কিছুতে সংলগ্ন হইয়া আছে, তাহাকে ফেলিয়া দিলেই তবে যেন তাহার সম্পূর্ণতা সাধন এবং দর্শকের মনে তৃপ্তিলাভ হয়।


||কবিগুরু||

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০০৯

♫ ♫ ♫ বড় একা লাগে

১.

বড় একা লাগে এই আঁধারে
মেঘেরও খেলা আকাশ পারে।।

সারাটি দিনের কাজে
কি জানি কি ভেবে আমি
এমনে ছিলেম ভুলে এই বেদনাকে
কে যে বলে দেবে এই আমাকে

মেঘের খেলা আকাশ পারে।।

এই তো ভালো, ভাবি
একা ভুলে থাকা
থাকনা পড়ে পিছে এই পিছু ডাকা
চেনা অচেনাতে যাক না মিশে

মেঘের খেলা আকাশ পারে।।

২.

শ্রীকান্ত আচার্য্যের গলায় গানখানি শুনছি। তবে, এটি তার মৌলিক গান নয়! মান্না দের গলায় বোধহয় প্রথম গাওয়া। ‘চৌরঙ্গী’ ছবিতে। ছবিতে ছিলেন উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া আর উৎপল দত্ত প্রমূখ।

ব্যস্ত আছি!

০.১

ব্যস্ত আছি!

০.২

দারুণ ব্যস্ততায় কাটছে দিন। ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার হজব্রত পালনে গিয়েছেন। সহকারী ম্যানেজার গত ঈদ থেকে রোগভোগে শয্যাশায়ী। এই ঈদের শেষে তার অসুস্থ্যতার মুক্তি মিলবে বলেই আশাবাদ। তাই বাড়তি দায়িত্বের অংশ হিসাবে, দুই ‘তালকানা’ মিলেই পুরো ডিজাইন ডিপার্টমেন্ট গড়াচ্ছি! ম্যানেজারদের মনের ও শরীরের জ্বালা ক’দিনেই টের পাওয়া যাচ্ছে! আর না! জীবনে কখনও ‘ফুল’ ম্যানেজার হবো না! বরাদ্দকৃত কাজের উটকো প্রাপ্তি- দৌড়াদৌড়ি, বকাঝকা দেয়া ও নেয়ার সাম্যাবস্থা, মোটের উপর পরিশ্রমের একশেষ! মনেও পড়ে প্রভাব। কারোর সঙ্গে দেখা করবার, দু’দণ্ড গল্প জুড়বারও ফুরসত হচ্ছেনা। :((

০.৪

বাসায় বসে, সুমনের চাহিদা মোতাবেক আধঘণ্টার কাজ করতে লাগিয়ে দিলাম দু’সপ্তাহের বেশি। কাজের ব্যাপারে হাসানকেও মনি’র মাধ্যমে ঝুলিয়ে রেখেছি। “প্রবাসী বাঙ্গালী মাত্রেই সজ্জন” – এই মটো মেনে ইশতিয়াক তো দেশ ছেড়েই চলে গেলে। খুব সহজে ভুলে যাবার কথা নয়, হেঁটে হেঁটে অবিরাম ঘণ্টাবিনাশী আড্ডা! সিফাতের স্বেচ্ছায় নেয়া মন খারাপে প্রলেপ দিতে যাওয়ার জন্য ধানমন্ডি যাবার সময় নেই! অদিতির সঙ্গে পড়ন্ত-বিকেল ক্যাফেটেরিয়া’তে আড্ডা দেবার কথা ছিলো, অদেখার আঠারো মাস পর। হলো কই? রাত এলেই কাজের কাজে মন বসেনা আর! এমনিতে জেগে থাকি, নেটে পাহারা দিই। কী পাহারা দিই, কেউ জানেনা, নিজেও না! হয়তো শুধুই নেশা! অন্য কিছুতেই কিছু নেই।

নি-দারুণ ব্যস্ত। /:)

০.৭

ব্যস্ততার কারণে কোন বন্ধুর খোঁজ নেয়া যায়না, এই অযুহাতে আমার বড় মামার কান নেই!

বন্ধুদের বলেন, “শ্লা, দিনে যে কয়বার কমোডে বসিস, তখনও কী ব্যস্ত থাকিস? ঐ সময় একটা এসএমএস তো লিখতে পারিস আমাকে!”

০.৯

ব্যস্ততার কারণে কিছু অনুচ্ছেদ বাদ পড়ে গেলো। লেখা হলোনা। :|

১.০

“ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু॥
এই-যে হিয়া থরোথরো, কাঁপে আজি এমনতরো
এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু॥
এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
পিছন-পানে তাকাই যদি কভু।
দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় শুকায় মালা পূজার থালায়,
সেই ম্লানতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।”

শুনবার লিঙ্কঃ

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০০৯

♫ ♫ ♫ "ভালোবাসা তারপর"- অর্ণব

কষ্টগুলো শিকড় ছড়িয়ে
ঐ ভয়ানক একা চাঁদটার সাথে
স্বপ্নের আলোতে
যাবো বলে
যখন চোখ ভিজে যায় রাতে।

ভালবাসা তারপর দিতে পারে
গত বর্ষার সুবাস,
বহুদিন আগে তারাদের আলো
শূন্য আঁধার আকাশ।

প্রখর রোদে পোড়া পিঠ
আগুনের কুন্ডে শেঁকা হাত
শিশির ছোঁয়ায় পাবে হাসি
অন্ধকারে কেটে যাবে রাত।

দুপুরে...

শরীরের অবস্থা মেঘলা দিনের মত। না ঝরঝরে বৃষ্টি না টকটকে রোদ! পুরাপুরি সুস্থ্যও হচ্ছিনা আবার শয্যাশায়ীও নয়! বিরক্তিকর!

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০০৯

অমলকান্তি ও নিঃসঙ্গতা

১.

অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল !
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরূলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।

আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে,
চা খায়, এটা ওটা গল্প করে, তারপর বলে, উঠি তা হলে'।
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ, সকলেরই ইচ্ছাপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি - রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।।

২.

অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত শোভা, অত স্বাধীনতা!
চেয়েছিল আরো কিছু কম,

আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!

অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!

একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

৩.

কখনোই কবিতাখোর ছিলাম না! বরং ছন্দে মেলানো সরসরে ছড়া পড়তেই ভালো লাগে বেশি। তবুও, হঠাৎ অছন্দিত দুয়েকটি কবিতা খুব বেশি ভালো লেগে যায়! একসঙ্গে সংরক্ষণের তাগিদে শেয়ার করলাম।



প্রথমটির রচয়িতা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

শিরোনাম ‘অমলকান্তি’।

দ্বিতীয়টির আবুল হাসান।

'নিঃসঙ্গতা'।

অবিন্যস্ত পত্র-১


জানো বুবু? এখন এখানে কয়টা বাজে?
রাত দু'টো বত্রিশ
আকাশে অনেক তারা
চাঁদও ঝুলেছে পাশে
চোখে ঘুম
শরীরে ক্লান্তি
স্মৃতিকোষে ধূলোর আস্তর।
তবুও ঘুমাতে ইচ্ছা করছেনা
রাত জাগার আনন্দ
কাল সকালে অফিস
"ন'টায় অফিস যাবার তাড়া
মাথার চুলগুলো সব খাড়া"
আজ যেমন ছিলো
যদিও আজ বিলম্ব ছিলো
ইচ্ছে করেই
মাঝে মাঝেই
এমনিতেই
অফিসে দেরীতে ঢুকি
জীবনের জন্য চাকরী
চাকরীর জন্য জীবন নয়!
এটি বিশ্বাস করি এখনও
জানিনা কতদিন পারবো
প্রতিটি মানুষই অন্যরকম
আমি না হয় তাই ভিন্ন!

ফুলটাকে আমার দারুণ
পছন্দ হলো
একরকমের গ্লাডিওলাস?
হতে পারে
গুগুল মামা যখন দু'হাত ভরে দেয়
শুধু আবদার করতে হয়!
যা হয়ে যা!
হয়ে যায়!

কী লিখি!
আর
ভালো থেকো।
সঙ্গে থেকো, বুবু।
সত্যিকারেই!


তবে তাই হোক!

“ছোট ছোট সুখের
শ্যাওলা দিয়ে ঢাকি
কষ্টের বিশাল দেয়াল।”

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০০৯

পথিক

যেই জন চলে যায়
সময় সিন্ধুর বুকে তার অন্তর্ধান
নিতান্ত রুটিন মাত্র যে যাবে সে যাবে
জন্ম মানে মৃত্যুদণ্ড
আজ কাল কিংবা পরে কার্যকর হবে
বন্ধুর মৃত্যুর জন্য শোক কেন তবে!

-------------------------------------
আহমেদ ছফা
-------------------------------------
বন্ধু অধ্যাপক নরেন বিশ্বাসের প্রয়ানপীড়িত ছফা এই কবিতা-টি লিখেছিলেন, সেদিনই। এটি এতটা-ই ছুঁয়ে গেলো যে, সংকলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম!
-------------------------------------
তথ্যসুত্রঃ http://arts.bdnews24.com/?p=2485

হাসতে হাসতে মরে গেলাম!

১.

এই ব্লগে ‘হা হা প গে’ নামে একটা টার্ম প্রচলিত যার অর্থ কম বেশি হয়তো সবারই জানা! আরও আছে এ ধরণের। যেমন, “হা হা পে ...” ইয়ে আর কি! আচ্ছা? হাসতে হাসতে মরে গেলাম। নেই? আছে। বাস্তবেও আছে। নেটে খোঁচাখুঁচি করেও তা পেলাম।

২.

প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক ক্রায়সিপাস খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে তার গাধাকে ওয়াইন খেতে দেন এবং মাতলামোর ফলশ্রুতিতে সেটি-কে ডুমুর খেতে দেখে হাসতে হাসতে মারা যান! :-/

আরাগনের প্রথম মার্টিন বদহজম ও অনিয়ন্ত্রিত হাসির কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনা খ্রিস্টাব্দ ১৪১০ এর। :|

পিয়েট্রো আরেটিনো ১৫৫৬ সালে দেহ রাখেন। কারণ, বেশি হাসতে গিয়ে তার দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

বার্মার রাজা নন্দ বায়িন ১৫৯৯ সালে ইতালীর এক সওদাগরের কাছ থেকে একটা অদ্ভুত খবর শুনে হাসতে হাসতে মারা যান! খবরটা ছিলো, “ভেনিস একটা স্বাধীন রাস্ট্র, আর সেখান কোন রাজা নেই!” :-*

দ্বিতীয় চার্লস এর সিংহাসন আরোহনের খবর পেয়ে স্কটিশ অভিজাত টমাস আরকুহার্ট হাসতে হাসতেই ইহলীলা সাঙ্গ করেন!

আগের লোকজন নিদারুণ বোকা ছিলো? তাই না?

এ যুগেও পিছিয়ে নেই! দেখা যাক।

১৯৭৫ সালে আলেক্স মিচেল জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল দেখে টানা ২৫ মিনিট হেসে অক্কা পান!

১৯৮৯ সালে ডেনমার্কের ওলে বেন্‌টজেন এর ‘আ ফিস কল্ড ওয়ান্ডা’ দেখতে গিয়ে হার্ট এটাক হয়। এ সময় তার হার্টবিট পৌছে প্রতি মিনিটে ২৫০ থেকে ৫০০! /:)

কে জানে আরও আছে হয়তো উদাহরণ। এত অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম! /:)

(এখানে ব্যবহৃত সকল তথ্যসুত্র উইকিপিডিয়া’র। অন্যগুলো ব্যবহারের ধৈর্য হলোনা! )

৩.

ইদানীং কেন জানি মৃত্যু নিয়ে বেশ পড়াশুনা করতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু সময় পাচ্ছিনা।

"জীবন আমার এত ভালবাসি বলে, হয়েছে প্রত্যয় ... মৃত্যুরে এমনি ভালবাসিব নিশ্চয়!" - - - - কবিগুরু


৪.
একটা অদ্ভুত ছবি পেলাম নেটে। দেখতে পারেন- (দূর্বল হৃদয়ের না হলে)

http://en.wikipedia.org/wiki/Thich_Quang_Duc

১৯৬৩ সালে ভিয়েতনাম সরকার কর্তৃক প্রিস্টদের উপর দমননীতি’র প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। শোনা যায়, সেই সময় উনি একটুও নড়েন নি বা কোন শব্দও করেন নি! :|

৫.
ছোটবেলায় নিজ দায়িত্বে মুখস্ত করা একটি ছড়া--

“সেজ মামী এসে বলে
শোনরে অটল,
কাল রাতে মামা তোর
তুলেছে পটল।

অটু বলে, তার তরে
কাঁদো কেন মামী?
দাও গিয়ে বাজারেতে
বেচে আসি আমি।

বুঝিনা পটল কেন
তোলে মামা রাতে,
সাপ খোপ কামড়িয়ে
দিতে পারে হাতে!”

ছড়াটি কার মনে নেই! :((

৬.

তবুও, বাঁচতে হলে হাসতে হবে!