বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১০

টুকরো পথে

১.
সামাজিক মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবী করিনা। বরং, 'অসামাজিক' হিসাবেই 'গর্ববোধ' করি। তাই মেহমান হিসাবে কারো বাড়ি যাওয়া হয় কালেভদ্রে।

হাইপোথিসিস

অনলাইন বিনোদনের অন্যতম প্রধান অংশ ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাস বা অ্যাক্টিভিটিতে কমেন্ট করা। সেখানে প্রতি-কমেন্ট থাকে। কথার পিঠে কথা সাজানো। মজার অথচ খোঁচানো কমেন্টেই ঝোঁক বেশি আমার।  হয়তো বন্ধু এতে সামান্য রুষ্ট হয়, তবে মনে হয় বেশিরভাগই জিনিষটাকে ফান হিসাবেই দেখে। না হলে তো ডিলিট হতাম বহু আগেই! অবশ্য হয়েছিও দুয়েকবার।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১০

রাত

অনেক দিন পরে একটা রাত কাটছে। যেটাতে ভালো লাগছে। সারাদিন অনেক ধকল গেছে। ২৯ তম বিসিএস এর ভাইভা ছিলো। পারিনি। সত্যিই পারিনি কিছুই। ভাইভাতে সব পারতে নেই। জানি। তারপরও মনে হচ্ছিলো পারবো। আগের রাতে এটা নিয়ে ভেবেছি অনেক, পড়িনি তেমন কিছুই এ'কদিনে অবশ্য।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১০

কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে ...

কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে যেন আমায়
কে ডাকে আয় চলে আয় ...
ছায়ানীল সীমানায়,
ছড়ায় সোনা সূর্য মেঘের গায়ে
ডাকে আয়, আয়রে আয়।

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১০

আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়

আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়
কত জানলায় তার মুখের আদল
কত জানলায় ঝরে অকাল বাদল।

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০১০

আত্মহত্যা।

১।শুনি, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছিলেন। আমি তার জীবনী বা মরণী কোনটা-ই পড়িনি। মূল ঘটনা তা না-ও হতে পারে। ইচ্ছে করলে অন্য ট্যাবে গিয়ে গুগলে খুঁজে নেয়া যায়। কিন্তু, সেটা করতেও ইচ্ছে করছে না। তিনি, আত্মহত্যা করেছিলেন, এটা ভাবলে তেমন আর ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। আরও শুনি, মনে অনেক দুঃখ ছিলো তার। অনেক দুঃখ। কী এত দুঃখ? বাংলা গানে এত সুন্দর সুন্দর সব গীতি দিয়েছেন তিনি। সুন্দরের পুজারী। "তোমার চুল বাঁধা দেখতে দেখতে ভাঙলো কাঁচের আয়না"- ধরণের। তিনি কেন আত্মহত্যা করেছিলেন? তার সেরা সময় ফেলে এসেও তিনি চমৎকার সব গান উপহার দিচ্ছিলেন। কিন্তু সহপথিক-রা দিচ্ছিলেন না। বাংলা গানের এই অবনমনই তার আত্মহত্যার প্রধান কারণ।

২। শারীরিক আত্মহত্যা করলে মানসিক আত্মহত্যা এমনিই ঘটে।

৩। তবে শুধু মানসিক আত্মহত্যা সম্ভব কিনা? অবশ্যই সম্ভব। নিজের অন্তরের ভেতরটাকে বাইরের সবকিছু থেকে দূরে রাখাই একধরণের মানসিক আত্মহত্যা।

৪। কবি নজরুল এর শারীরিক বিয়োগ হয়েছে বেশ পরে। তার আগেই জটিল ব্যাধিতে তার মানসিক মৃত্যু ঘটে প্রায় চল্লিশ বছর বয়সে। এর পরেও বহুকাল তিনি চলৎ-হীন বেঁচে ছিলেন? সন্দেহ হয়, ব্যাপারটার শুরুতে তার নিজস্ব সম্মতি থাকতেও পারে! পৃথিবীতে শারীরিক আত্মহত্যাকে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ বলে গণ্য করা হয়। কারণ, সেটা একবার 'ঘটে' গেলে, সেখান থেকে ফিরে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ ঘটেনা। নজরুল কি মানসিক আত্মহত্যাই করেছিলেন, ফলে তিনি ফিরতে পারেন নি?

৫। অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। - আপ্তবাক্য।

(প্রাইমারি ড্রাফট- সময় সুযোগে পরিবর্ধিত, পরিমার্জিত বা সম্পূর্ণ পরিবর্তিতও হতে পারে! )

এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?

এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?


(তু রু তু রু রু রু ...... বাঁশি বাজছে... সেতার বাজবে, ডিং ডাডাং ডাডাং ডাডা...! )

দিকে দিকে বাজলো যখন শেকল ভাঙ্গার গান
আমি তখন চোরের মত
হুজুর হুজুর করায় রত
চাচা আপন বলে বাঁচিয়েছি প্রাণ।

আসলে ভাই একা একা বাঁচার নামে আছি মরে।

সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০১০

আমার মনের ময়ুর মহলে

আমার মনের ময়ুর মহলে
এসো আজ প্রেমের আতর ঢেলে দাও। 
বে-গম রাতে তার
গায় তারা ওড়না
দু'চোখে আজ না-হয় ঝাড়বাতি জ্বেলে দাও।।

Run

Why should I run. Or Why should not?
Just let me know.
Then, I am capable of doing many things or allowing many things passed by easily.

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

যে কথা মনের কথা... দ্য গ্রেট কিশোর কুমার গাঙ্গুলি

যে কথা মনের কথা, জানিনা কেন
মুখে এসে থেমে গেলো, বলা গেলো না,
বলা হলো না
যে কথা মনের কথা...

বরষার মেঘ হয়ে আসে ধীরে ধীরে
বিজলীর মত চলে যায় বুক চিরে
উদাসী বাঁশিতে শুধু বেদনা।

ভুলে যাওয়া পথ ধরে যারা যেতে চায়
ঘর থেকে তারা আরও দূরে চলে যায়
ফেরবার পথ আর পাওয়া যাবেনা।
---

দ্বিতীয় স্তবকের প্রথম দুই লাইন খুব বেশি ভালো লাগে।

তুমি তাদের নাম দিলেনা

তোমার জন্য সকাল দুপুর
বাজিয়ে কোন বিষন্ন সুর
সন্ধ্যেবেলায় যত্নে আঁধার
বুকে রাখে যেসব পাহাড়

"কেউ ভোলেনা না, কেউ ভোলে"

কেউ ভোলেনা, কেউ ভোলে।
অতীত দিনের স্মৃতি
কেউ ভোলেনা না, কেউ ভোলে।
কেউ দুঃখ লয়ে কাঁদে, কেউ ভুলিতে গায় গীতি।

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০১০

বিচ্ছিরি - লোপামুদ্রা মিত্র

তোর নাকি একা একা খালি বসে বসে
স্বপ্ন দেখেই কাটে দিন কোনমতে
তোর নাকি নেই কোন কাজের ছিরি
সাড়া পাড়া জেনে গেছে, তুই বিচ্ছিরি।।