সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১০

রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

সেই ডিসেম্বর, এই ডিসেম্বর

সময় কতই না দ্রুত কাটে।

বুড়োদের মুখেও শুনি, এইতো সেদিনের কথা, তোর জন্ম হলো! আমার জন্ম কি আজ হয়েছে? কেটে গেছে বছর ত্রিশের কাছাকাছি কোন একটা সময়। এক এক দুই তিন চার পাঁচ - এভাবে তিনশো পয়ষট্টিও বেশ কবার ঘুরে এসেছে। তবে এবারের মত নয়।

হাড় কাপানো শীতে, এই ডিসেম্বর- ২০১০।
গত ডিসেম্বর ২০০৯? কতটুকুই বা পার্থক্য? অনেক। অনেক বেশি। যেন মেরু থেকে মেরুতে। অবশ্য দু'জায়গাতেই শীত। যেই তিমির সেই তিমির। শুধু বেড়েছে- যাতনা, বিষাদ।

" নেভার রিয়েলাইজড বিফোর দ্যাট, আই অ্যাম সো ফিবল অ্যাট এভরিথিং।"

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

কমেন্টস - ১৬ ডিসেম্বর

অদ্ভুত অনৈচ্ছিক স্ববিরোধিতার খপ্পরে...

কি করি উপায়?

শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১০

সুখের লটারি

কাল বিকেলে হঠাৎ করেই সুমন-চু এর সঙ্গে দেখা। চু- নামটা কিভাবে এলো জানিনা, তবে আন্দাজ করা যায়- ভালো কিছু থেকে না হয়তো। কারও দিনই ভালো যাচ্ছেনা। ও বাইরে যাবে পি-আর নিয়ে।

সুখ বিষয়ে ওর একটা কথা ভালো লেগে গেলো। প্রতিটা মানুষই জীবনের সুখের লটারি পায় একবার করে। কেউ সেই সুখটা ক্রমে ক্রমে খরচ করে শেষ করে ফেলে। আর বুদ্ধিমানেরা সেই সুখ আবার ইনভেস্ট  করে, নতুন সুখের আশায়!

আসলেই, সুখকে একটা গন্তব্য ভাবার চাইতে ভ্রমণ ভাবাটাই শ্রেয়তর।

মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০

পাঠ

১.
অদ্বৈত মল্লবর্মন 'তিতাস একটি নদীর নাম'- উপন্যাসটি লিখেছিলেন। তিনি মৃত্যুর পর বিখ্যাত হয়েছিলেন।
২.
তিনি অনেক বই কিনতেন। যা রোজগার করতেন তার প্রায় সবই বই কিনে-পড়ে চলে যেতো।
৩.
তিনি নিদারুণ অর্থকষ্টে দিন কাটিয়েছেন। এভাবেই মরেছেন।
৪.
তার সময়ে ইন্টারনেট ছিলোনা। 'পাঠ' করতে অনেক কসরত করতে হতো।
৫.
কোথাও দু'টো লাইন দেখতে পড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। যেকোন বিষয়, সর্বভূকের মত।
৬.
লিখতে ইচ্ছে করেনা। পাঠের দায় এড়ানোর চেষ্টা।
৭.
আমি অদ্বৈত মল্লবর্মন নই। আমি তো আমিই।

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১০

ভালো থাকা।


কেউ যখন জিজ্ঞাসা করে, কেমন আছেন- তখন বড্ড বিপদে পড়ে যাই। এ প্রশ্নের সঠিক জবাবটা কি হতে পারে, সেটা কখনই ভেবে বের করতে পারিনা। কিংবা, অনেকে আরো স্পেসিফিক হয়ে পড়ে, ভালো আছো? তখন, ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলতেই হয়- কাটিয়ে যাওয়া যায়না। ‘না’- বলা যায়না। তাহলে কেন ‘না’, সেটার জন্য দস্তুরমত ট্রাইবুনালে পড়তে হয়। হ্যাঁ বলাটা তখন একরকমের মিথ্যে বৈকি!

প্রশ্নগুলো আসে অবধারিতভাবে। ভালো নাই কেন? আদৌ ভালো কি থাকতে চাই? 

কি জানি। আমার এই খারাপ থাকাটাই বোধহয় আমার ভালো থাকা।
সূদীর্ঘকালের খারাপ থাকাটাকেই ভালো লাগে হয়তো। আটপৌরে অভ্যাস!

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১০

হাত কাটার মুহুর্তপর

মাত্র হাত কেটে গেলো। আরও ভালো করে বললে, বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে। এক কোণায়। এক ফিনকি রক্তও পড়েছে। অবাক হয় তাকিয়ে রইলাম সেই ফোটাটার দিকে। অদ্ভুত লাল। এমন লাল? এমন তো নয়, আমি কাজ করি বাইরে, মাঠে ঘাটে। কিংবা রাস্তায়। কিংবা, কায়িক শ্রমের অন্য কোন সম্মানজনক পেশায়।

আমার কাজ দস্তুর মত মাছি মারা কেরানীর মত।

হাত কেটেছে অফসেট কাগজের কোণে লেগে। কাগজ এত শক্ত নাকি আমার ত্বক এত নরম?

দুপুর ৩:২০
১৩-১১-২০১০
বনানী 

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০১০

কোন এক গাঁয়ের বধুর কথা শোনাই শোনো


গনসঙ্গীতশিল্পী কলিম শরাফী গত হয়েছেন ২ নভেম্বর, ২০১০ এ। সত্যি কথা বলতে, তাঁর গানের কথা আমার তেমন জানা নেই। শুধুমাত্র “পথে পথে দিলাম ছড়ায়া... ও আমার চক্ষু নাই” – এটাই শুধু মনে ভাসে। আজ (১১-১১-২০১০) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় তাঁর উপর একটা নিবন্ধ পড়ছিলাম। লিখেছেন কামাল লোহানী। এ ধরণের নিবন্ধ আমাকে খুব টানে। কিছুটা গল্প, কিছু কবিতা, আবার কিছু ইতিহাসের সাথে মিশিয়ে সমাজের রূপবর্ণনার চেষ্টা। যেমন, ভালো লাগে সচলায়নের সিরাত তথা মনোয়ার হোসেনের লেখাগুলি।

গান শুনতে ভালোই লাগে। মূলত ক্লাসিক্যাল গান, পুরনো হলে বেশি ভালো। (এক্ষেত্রে আরও একটি ক্লিশে বিতর্ক চলে আসতে পারে- পুরনো গান ভালো নাকি নতুন গান? আসলে, ভালো পুরনো গানগুলিই টিকে থাকে; মানোত্তীর্ণ নয়- এমন সব হারিয়ে যায় যথানিয়মে।) যদিও আমার গানের জ্ঞান ‘কোমল পানীয় বোতল ফেলে দেয়ার আগে যেটুকু তরল’ অবশিষ্ট থাকে সেটার মত। সলিল চৌধুরীর অনেক গান শুনেছি। চমৎকার সঙ্গীত আয়োজন করতেন। হেমন্ত মুখার্জি’র ‘কোন এক গাঁয়ের বধুর কথা’- গানটা আমার আগে থেকেই ভালো লাগতো। আজ আরও ভালো লেগে গেলো পিছনের গল্পটা শুনে।
সলিল চৌধুরী কলিম শরাফী’র জন্যই গানটি লিখে সুর দিয়েছিলেন। কিন্তু, মাঝে হেমন্তের পছন্দ হওয়ায় কলিম শরাফীর কাছে অনুমতি নিয়ে নিজেই গানখানি করেন! এ নিয়ে সলিল চৌধুরী নাকি খানিকটা অনুতপ্ত ছিলেন! 

***

কোন এক গাঁয়ের বধুর কথা শোনাই শোনো
রূপকথা নয় সে নয়
জীবনের মধুমাসের কুসুম ছিঁড়ে গাঁথা মালা শিশিরভেজা
কাহিনী শোনাই শোনো...
একটুখানি শ্যামল ঘেরা কুটিরে তার স্বপ্ন শত শত
দেখা দিত ধানের শীষের ইশারাতে
দিবাশেষে কিষাণ যখন আসতো ফিরে
ঘি মৌ-মৌ আমকাঠালের পিড়িটিতে বসতো তখন
সবখানি মন উজাড় করে দিতো তারে কিষাণী সেই
কাহিনী শোনাই শোনো ...

ঘুঘুডাকা ছায়ায় ঢাকা গ্রামখানি কোন মায়া ভরে
শ্রান্তজনে হাতছানিতে ডাকতো কাছে আদর করে
নীল শালুকে দোলন দিয়ে রঙ ফানুসে ভেসে
ঘুমপরী সে ঘুম পাড়াতো এসে কখন যাদু করে
ভোমরা যেত গুনগুনিয়ে ফোটা ফুলের পাশে
আকাশে বাতাসে সেথায় ছিলো পাকা ধানের বাসে বাসে সবার নিমন্ত্রণ
সেখানে বারো মাসে তেরো পাবন
আষাঢ় শ্রাবণ কি বৈশাখে গাঁয়ের বধুর শাখের ডাকে
লক্ষী এসে ভরে দিতো গোলা সবার ঘরে ঘরে
হায়রে কখন গেলো শমন অনাহারের বেশে দেশেতে সেই
কাহিনী শোনাই শোনো ...

ডাকিনী-যোগিনী, এলো শতনাগিনী, এলো পিশাচেরা এলো রে
শতপাকে বাঁধিয়া নাচে তাতা-তাধিয়া
কুটিলের মন্ত্রে শোষণের গেলো প্রাণ শত প্রাণ গেলো রে
মায়ার কুটিরে নিলো রস লুটিরে, মরুর রসনা এলোরে
ডাকিনী-যোগিনী, এলো শতনাগিনী, এলো পিশাচেরা এলো রে
হায় সেই মায়াঘেরা সন্ধ্যা
ডেকে যেত কত নিশিগন্ধ্যা
হায় বধু সুন্দরী কোথায় তোমার সেই মধুর জীবন মধুছন্দা  

হায় সেই সোনাভরা প্রান্তর
সোনালি স্বপন ভরা অন্তর
হায় সেই কিষাণের কিষাণীর জীবনের
ব্যাথার পাষাণ আমি বহি রে

আজও যদি তুমি কোন গাঁয়ে দেখো ভাঙা কুটিরেরও সারি।
যেন সেইখানে সে গাঁয়ের বধু আশা স্বপনেরও সমাধি।
***

মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০১০

অন্ধকার সরণি ধরে শেষ হবে এ পথ চলা


অন্ধকার সরণি ধরে শেষ হবে এ পথ চলা
আসবে যেন সেই সকাল জীবনের গল্প বলা।
বারবার পরাজয়, না- শেষ কথা তো নয়
উঠবে সূর্য আসবে দিন, ধীরলয়ে পায় পায়।
স্বপ্নহীন দু’চোখ বুঝি তাই হলো আজ উতলা
আসবে যেন সেই সকাল জীবনের গল্প বলা।

রাত জাগা কোন পাখির বারতা শোনাতে চায়
সূর্যেরও দিনলিপি লেখে আঁধার আকাশ গা-য়।
অন্তহীন প্রতীক্ষা বুকে সুদূরের চন্দ্রকলা
আসবে যেন সেই সকাল জীবনের গল্প বলা।

নচিকেতা'র গান

বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১০

টুকরো পথে

১.
সামাজিক মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবী করিনা। বরং, 'অসামাজিক' হিসাবেই 'গর্ববোধ' করি। তাই মেহমান হিসাবে কারো বাড়ি যাওয়া হয় কালেভদ্রে।

হাইপোথিসিস

অনলাইন বিনোদনের অন্যতম প্রধান অংশ ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাস বা অ্যাক্টিভিটিতে কমেন্ট করা। সেখানে প্রতি-কমেন্ট থাকে। কথার পিঠে কথা সাজানো। মজার অথচ খোঁচানো কমেন্টেই ঝোঁক বেশি আমার।  হয়তো বন্ধু এতে সামান্য রুষ্ট হয়, তবে মনে হয় বেশিরভাগই জিনিষটাকে ফান হিসাবেই দেখে। না হলে তো ডিলিট হতাম বহু আগেই! অবশ্য হয়েছিও দুয়েকবার।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১০

রাত

অনেক দিন পরে একটা রাত কাটছে। যেটাতে ভালো লাগছে। সারাদিন অনেক ধকল গেছে। ২৯ তম বিসিএস এর ভাইভা ছিলো। পারিনি। সত্যিই পারিনি কিছুই। ভাইভাতে সব পারতে নেই। জানি। তারপরও মনে হচ্ছিলো পারবো। আগের রাতে এটা নিয়ে ভেবেছি অনেক, পড়িনি তেমন কিছুই এ'কদিনে অবশ্য।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১০

কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে ...

কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে যেন আমায়
কে ডাকে আয় চলে আয় ...
ছায়ানীল সীমানায়,
ছড়ায় সোনা সূর্য মেঘের গায়ে
ডাকে আয়, আয়রে আয়।

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১০

আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়

আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়
কত জানলায় তার মুখের আদল
কত জানলায় ঝরে অকাল বাদল।

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০১০

আত্মহত্যা।

১।শুনি, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছিলেন। আমি তার জীবনী বা মরণী কোনটা-ই পড়িনি। মূল ঘটনা তা না-ও হতে পারে। ইচ্ছে করলে অন্য ট্যাবে গিয়ে গুগলে খুঁজে নেয়া যায়। কিন্তু, সেটা করতেও ইচ্ছে করছে না। তিনি, আত্মহত্যা করেছিলেন, এটা ভাবলে তেমন আর ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। আরও শুনি, মনে অনেক দুঃখ ছিলো তার। অনেক দুঃখ। কী এত দুঃখ? বাংলা গানে এত সুন্দর সুন্দর সব গীতি দিয়েছেন তিনি। সুন্দরের পুজারী। "তোমার চুল বাঁধা দেখতে দেখতে ভাঙলো কাঁচের আয়না"- ধরণের। তিনি কেন আত্মহত্যা করেছিলেন? তার সেরা সময় ফেলে এসেও তিনি চমৎকার সব গান উপহার দিচ্ছিলেন। কিন্তু সহপথিক-রা দিচ্ছিলেন না। বাংলা গানের এই অবনমনই তার আত্মহত্যার প্রধান কারণ।

২। শারীরিক আত্মহত্যা করলে মানসিক আত্মহত্যা এমনিই ঘটে।

৩। তবে শুধু মানসিক আত্মহত্যা সম্ভব কিনা? অবশ্যই সম্ভব। নিজের অন্তরের ভেতরটাকে বাইরের সবকিছু থেকে দূরে রাখাই একধরণের মানসিক আত্মহত্যা।

৪। কবি নজরুল এর শারীরিক বিয়োগ হয়েছে বেশ পরে। তার আগেই জটিল ব্যাধিতে তার মানসিক মৃত্যু ঘটে প্রায় চল্লিশ বছর বয়সে। এর পরেও বহুকাল তিনি চলৎ-হীন বেঁচে ছিলেন? সন্দেহ হয়, ব্যাপারটার শুরুতে তার নিজস্ব সম্মতি থাকতেও পারে! পৃথিবীতে শারীরিক আত্মহত্যাকে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ বলে গণ্য করা হয়। কারণ, সেটা একবার 'ঘটে' গেলে, সেখান থেকে ফিরে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ ঘটেনা। নজরুল কি মানসিক আত্মহত্যাই করেছিলেন, ফলে তিনি ফিরতে পারেন নি?

৫। অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। - আপ্তবাক্য।

(প্রাইমারি ড্রাফট- সময় সুযোগে পরিবর্ধিত, পরিমার্জিত বা সম্পূর্ণ পরিবর্তিতও হতে পারে! )

এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?

এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে?


(তু রু তু রু রু রু ...... বাঁশি বাজছে... সেতার বাজবে, ডিং ডাডাং ডাডাং ডাডা...! )

দিকে দিকে বাজলো যখন শেকল ভাঙ্গার গান
আমি তখন চোরের মত
হুজুর হুজুর করায় রত
চাচা আপন বলে বাঁচিয়েছি প্রাণ।

আসলে ভাই একা একা বাঁচার নামে আছি মরে।

সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০১০

আমার মনের ময়ুর মহলে

আমার মনের ময়ুর মহলে
এসো আজ প্রেমের আতর ঢেলে দাও। 
বে-গম রাতে তার
গায় তারা ওড়না
দু'চোখে আজ না-হয় ঝাড়বাতি জ্বেলে দাও।।

Run

Why should I run. Or Why should not?
Just let me know.
Then, I am capable of doing many things or allowing many things passed by easily.

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

যে কথা মনের কথা... দ্য গ্রেট কিশোর কুমার গাঙ্গুলি

যে কথা মনের কথা, জানিনা কেন
মুখে এসে থেমে গেলো, বলা গেলো না,
বলা হলো না
যে কথা মনের কথা...

বরষার মেঘ হয়ে আসে ধীরে ধীরে
বিজলীর মত চলে যায় বুক চিরে
উদাসী বাঁশিতে শুধু বেদনা।

ভুলে যাওয়া পথ ধরে যারা যেতে চায়
ঘর থেকে তারা আরও দূরে চলে যায়
ফেরবার পথ আর পাওয়া যাবেনা।
---

দ্বিতীয় স্তবকের প্রথম দুই লাইন খুব বেশি ভালো লাগে।

তুমি তাদের নাম দিলেনা

তোমার জন্য সকাল দুপুর
বাজিয়ে কোন বিষন্ন সুর
সন্ধ্যেবেলায় যত্নে আঁধার
বুকে রাখে যেসব পাহাড়

"কেউ ভোলেনা না, কেউ ভোলে"

কেউ ভোলেনা, কেউ ভোলে।
অতীত দিনের স্মৃতি
কেউ ভোলেনা না, কেউ ভোলে।
কেউ দুঃখ লয়ে কাঁদে, কেউ ভুলিতে গায় গীতি।

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০১০

বিচ্ছিরি - লোপামুদ্রা মিত্র

তোর নাকি একা একা খালি বসে বসে
স্বপ্ন দেখেই কাটে দিন কোনমতে
তোর নাকি নেই কোন কাজের ছিরি
সাড়া পাড়া জেনে গেছে, তুই বিচ্ছিরি।।

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

I-S

No one can make you inferior without your consent.

or

The most superior is the most humble.


কেন বারেবারে ভুলে যাই এই স্বতঃসিদ্ধ কথাগুলো?
কেন কেন কেন!

বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০

... তবে স্নান করে নেবো তোমার চোখের আসন্ন বরষায় [ত্রিমাত্রা]

আমি সুখের বদলে দুঃখ নেবোনা, তোমাকেই পারি নিতে
আমি আমার বদলে আগুন নেবোনা, বৃষ্টির ধরণীতে।

যদি সারাদিন ধরে মেঘ চেয়ে চেয়ে ফিরেই চলে যায়
তবে স্নান করে নেবো তোমার চোখের আসন্ন বরষায়।

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০

“তবুও জানি প্রিয় একদা নিশিথে, মনে পড়ে যাবে আমারে চকিতে।


ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি
ক্ষমিয় সে অপরাধ
অসহায় মনে কেন জেগেছিলো
ভালোবাসিবার সাধ।

রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০

অমুক বাবু এবং সাদা/কালো

অমুক বাবু বাজারে চললেন
বহুদিনের সঙ্গী থলি হাতে ঝোলালেন।

শেষের দিকে পকেট টান
বড্ড ভোগায় মাসটি
এ মাস তো আরও মধুর
আজ জামাই ষষ্টি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

ড্রাফট ১:

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০।
বিশ বছর আগের এই দিনটা অন্যরকম হলে, আজকের এই শনিবারটাও অন্যরকম হতে পারতো।
হতে পারতো আনন্দময় একটা সন্ধ্যা। যেটা এখন ঢাকা নিজস্ব বিষাদে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০

খোলা আকাশ কি অত ভালো লাগতো? যদি...


সকালে অফিস যাওয়াটাও একরকম ঝক্কি। বাসের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে তাড়াতাড়িই ওটা এসে পড়লে ভালো। দেরি হলে অনেক রকম ঝামেলা হয়। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মাইক্রো মাঝে মাঝে এসে দাঁড়িয়ে হাঁক দেয়, "বনানী-গুলশান ২"। ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হলেও উঠে পড়ি। অল্প সময়ে এসির ঠাণ্ডায় অফিসে পৌছানো যায়।

এফএম রেডিও'র ইয়ারকর্ড নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ল্যাপটপ কেনার আগে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ওটাই সঙ্গী থাকত । শুনতাম, কথার ফুলঝুরি। এখন শোনা হয়না। এই মাইক্রোতেই যা শোনা হয়ে ওঠে এখন। আজ অনেক দিন পর একটা গান শুনলাম। রিমেক করা। আসলটা গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জির। কিন্তু, নতুন করে কে গেয়েছে ঠাহর করা হলো দায়।

নেটে খুঁজে কখনই কাজের জিনিষ পাইনা। আজ পেলাম। ইউটিউবে।

খোলা আকাশ কি অত ভালো লাগতো
যদি কিছু কিছু মেঘ নাই ঢাকতো?
বল, জীবন কি সুন্দর হত এমন
যদি একটুও ব্যাথা নাই থাকতো?

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১০

এবি'র গানে নস্টালজিয়া

একটা সময় 'ব্যান্ড' সঙ্গীত বলতে গেলে একরকম 'ব্যান্‌ড' আমাদের ঘরোয়া পরিবেশে। পুরনো গান শুনতে অভ্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে ক্লাস নাইনে বা টেনে উঠে পেলাম সেই সব 'ব্যান্ড' গানের স্বাদ। জেমস, মাকসুদ আর এবি-আইয়ুব বাচ্চু। কী যে ভালো লাগতো শুনতে! ক্যাসেটের ফিতায় বেছে বেছে গান রেকর্ড করিয়েছি। খাতায় লিখে রেখেছি গানের কথা। কার সংগ্রহে কতগুলো গান, কার জানা কত গান। নতুন এলবামের কোন গানটা ভালো। কখনও মনে হতো, এত গান ব্যান্ডের, কোনটা রেখে কোনটা ফিতায় রেকর্ডিং করে আনি। ভবিষ্যতে তো আরও গান গাইবে এই শিল্পীরা। এত ক্যাসেটের ফিতা রাখার জায়গা কোথায় বাসায়? স্তুপ জমে যাবে যে!

মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০

পরে লিখবো

ধরা পড়ে যায় দেহটা শুধু, ধরা পড়বে না মন।
ধরা না পড়ার হাওয়ায় দুলছে সুদূরের শালবন।
...
...
আমার কান্না আগুন জ্বালালে, আমি সন্ত্রাসবাদী।
...
...

শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১০

আবোল তাবোল

১। ঘুমের টাইম হইছে
২। ভূমিকম্প হইলো, বিল্ডিং নাকি কাঁপতেছিলো!
৩। মাথা এমনিতেই ঘুরতেছিলো, টের পাইনাই।
৪। সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার
৫। মশারী টানাইলাম।
৬। রাইতে যদি আবার ভূমিকম্প আসে?
৭। সাবধানের মাইর নাই।

শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

♫♫♫ প্রিয় দেশ আমার বাংলাদেশ


জোনাকি রাতের শেষে আশাবাদী ভোর
দিন শেষে রাত আনে স্বপ্নের ঘোর
এই যে রাতদিন সীমাহীন কত আশা
এ মনে জাগে কী সোহাগে ভালোবাসা
প্রাণে প্রাণে কী আশা…

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

শৈশবের ক্কাসিদা


জাগো জাগো, জাগো রে মুসলমান
খাও সেহেরি রাখো রোজা
কমাও তোমার পাপের বোঝা
আত্মা তোমার করো গো সুন্দর হে মুমিন মুসলমান।

রোজ হাশরে রোজাও তোমার
হবে রে সাথী, করবে রে পার
রোজা হবে সঙ্গেরও সাথী
রোজা হবে গোরেরও বাতি
এলো এলো মাহে রমজান
হে মুমিনও মুসলমান!
জাগো জাগো, জাগো রে মুসলমান!
---
ছোটবেলায় খুলনাতে শোনা রমজানের ক্কাসিদা। সুরটা এখনও কানে বাজে। ভুলেই গিয়েছিলাম এর কথা গুলো। তাই বাল্যবন্ধু সাদেককে ফোন করে জানা।

বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০১০

রাখাল

১.
প্রেরিত পয়গম্বরেরা বেশিরভাগই জীবনের কোন না কোন সময় সময় পশু চড়িয়েছেন- মানে রাখাল আর কি! পয়গম্বরদের জীবনী আগে পড়া থাকলেও এই সুক্ষ্ণ মিলটা চোখ এড়িয়ে গেছিলো আগে। আর, সেটা ‘ডিসকোভার’ করলাম সম্প্রতি। এর কারণ কী?

বেয়াড়া মানব সম্প্রদায়কে যুগে যুগে সুপথে আনার আগে, এই রাখালগিরি ছিলো তাদের জন্য ওয়ার্ম-আপ প্র্যাক্টিশ ম্যাচ বিশেষ!

ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো

ব্যক্তিগত একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটায়, গতকাল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম এরকম...

ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
ছয়মাসের পথ মর্দ ছয়দিনে গেলো...
রিকশায় চড়িয়া মর্দ সুখনিদ্রা গেলো
বারো ঘণ্টা পার করিয়া বারো হাত গেলো...

তারপর, শুরু হলো মনির ভাই ও পল্লব ভাই এর মজার কবিতার লড়াই! সাইডলাইনে বসে বেশ উপভোগ করলাম!

[মনির ভাই]

মর্দকে বিয়ে দাও ধুমধাম করে
ঘোড়াতে চড়লে যাবে এবার সে উড়ে
রিকশা চড়লে পরে থাকবে সজাগ
...ধৈর্যটা শিখে সে যে ভুলে যাবে রাগ :)

[পল্লব ভাই]

বিয়ে করার পরে মর্দ মর্দ না আর থাকে
বাঘের গর্জন নেমে আসে মিউ মিউ ডাকে
তখন সে আর রিকশা নাকি ঘোড়ার পিঠে চড়ে
...সেই খবরে বলো তবে কেয়ার কে আর করে? ;)

[মনির ভাই]


মর্দরা তো মর্দই থাকে মাদীরা হয় বাদী
সে বাঘ হোক আর বেড়ালই হোক, হবার পরে শাদী
ধৈর্য্যটা তার একটু বাড়ে, মেজাজটা যায় কমে
...রিকশা, ঘোড়া! নস্যি থোড়া! লড়তে যে হয় যমে! :)

[পল্লব ভাই]

হি হি হি হি ঠিক বলেছো, এই কথাটা মানি,
বিয়ের পরে মর্দ-যমে চলে টানাটানি।
কিন্তু তবু দিল্লী কা এই লাড্ডু স্বাদের ভারি!
...মর্দ কি আর ডরায় কভু বউয়ের খবরদারী?

মাঝে শান্ত 'র প্রশ্নঃ মর্দ তাহলে কে?

[পল্লব ভাই]

শর্তমতে মর্দ হলেন ঘোড়ায় চড়েন যিনি
বাঘের মতো গর্জনেও সিদ্ধ হবেন তিনি
তার হাকে সব ভয়ে ভয়ে ছিটকে পালায় দূরে
...ঘরে তবুও মর্দ বেড়ান বউয়ের আচঁল ধরে।

[মনির ভাই]

মর্দ যদি সাচ্চা সে হয়, বউয়ের আচল ছাড়ে
খবরদারী থাকলে ভারী, লাড্ডুতে রস বাড়ে
কাজেই যারা খাওনি কভু, খেয়েই নাহয় দেখো
...বদহজমের ভয় করোনা, বুকে সাহস রেখো :)

[পল্লব ভাই]

লাড্ডু আমি খাচ্ছি তো প্রায় বছর দুয়েক ধরে
আরও অনেক রান্না স্বাদের নিত্যই হয় ঘরে
খেয়ে খেয়ে মর্দ আমার বাড়ছে শুধুই ভুড়ি
মর্দের বউ সেই ভুড়িতে দেয় সুখে সুড়সুড়ি।
সুখে সুখে মর্দ নিজেও দু'চোখ বুজে ভাবে
...বউয়ের আদর পেলে সুখেই জীবন কেটে যাবে। ;)


ওয়াহ ওয়াহ মারহাবা!

বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০১০

Zonoiko Arafat in January & February ,2010


২০১০ এর জানুয়ারী আর ফেব্রুয়ারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমার জন্য। অনুভূতি-চিন্তাচেতনাগুলোর অদ্ভুত উঠানামা। তাই ফেসবুকেও তার কতটুকু প্রভাব পড়েছে। সেটা জানার জন্যই লিখে রাখলাম স্ট্যাটাসগুলো। আমার জন্যই।

জানুয়ারী
[1 ]“Finally the Rock has returned to the Madison Square Garden!- অবশেষে পাথর ফিরে এলো পাগলার ছেলের বর্গাকার বাগানে!” [আঙড়েজি শিখতে মঞ্চায় :(]

[3] "I don't see the glass half empty or half full. I see the glass being filled by a poorly trained waiter!" :P

[4] … says, "I will rise but I refuse to shine!" :-S

♫ এই রিমঝিম ঝিম বরষা

এই রিমঝিম ঝিম বরষা
হাওয়া হিম হিম বরষা
তুমি এলে আজ মনে সহসা
পথ চলিতে যে তাই ভরসা

চেয়েছে তোমার কত সাথে যে
হাতখানি রাখি ঐ হাতে যে
মনে এলে ওগো মন হরষা
পথ চলিতে যে তাই ভরসা

হৃদয় আমার আজ বলে তাই
চোখের দেখাতে যদি নাই পাই
বাঁশি শুনেছে যে মন মনষা
পথ চলিতে যে তাই ভরসা

ঝরো ঝরো বরষার ধারাতে
স্বপ্ন যদি গো হয় হারাতে
হৃদয়ের ভরা ক্ষেত সরসা
পথ চলিতে যে তাই ভরসা
----------------------------
কাল রাতের চমৎকার বৃষ্টিতে শোনা গান। সম্ভবত শ্যামল মিত্রের গলা।

সোমবার, ২ আগস্ট, ২০১০

♫ অসাধারণ...

হুমমম...

অসাধারণ...

দখিনা খোলা বাতাসের সবটুকু স্বাধীনতা
...সীমানাহীন সাগরের সবটুকু বিশালতা
অবেলায় ঝরা বৃষ্টির সবটুকু আয়োজন
মিলিয়ে অদ্ভুত যেন তুমি কেউ একজন

বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০১০

কনফিউশন ২৭০৭১০

অফিস থেকে আট টাকা দিলেই বাসায় পৌছানো যায়। খানেকটা পথ পায়ে হেঁটে এরপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বাসে করে এসে। আবার রিকশাতেও আসা যায়। ভেঙ্গে ভেঙ্গে। সেখানে খরচ একুনে আশি টাকা। যাহাই আট, তাহাই আশি।

রিকশাতে করে আসার কারণও আছে বৈকি। প্রতিদিন তো আর এভাবে আসিনা। বাসে ঝুলে-চাপাচাপি করে ফিরতে হবে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগে। সারাদিন অফিস করে যতটা ক্লান্ত হই, তার চেয়ে বেশি ক্লান্ত হই ফিরতি বাসযাত্রায়। বাসায় ফিরে শরীরের প্রতিটা কোষ বিশ্রাম চায়। রিকশাতে এলে বেশ তাড়াতাড়িও ফেরা যায় বটে। জ্যাম-লাগা প্রধান রাস্তার চাইতে গলিঘুপচি দিয়ে তাড়াতাড়ি ফেরা যায়। এছাড়া, রিকশা আমাকে পুরনো অনেক স্মৃতিতে নস্টালজিক করে। সব মিলিয়ে রিকশা- মন্দ নয়।
কালও এভাবে ফিরলাম বাসায়। ভালোই লাগছিলো, নাহ খুব বেশি ভালো লাগছিলো।

তবে,

গুলশান-১ এ অন্ধ ভিক্ষুক দেখে আমার বায়াত্তর টাকার কথা মনে পড়ে গেলো!
আশি মাইনাস আট সমান বায়াত্তর, নিজে একটু কষ্ট করে ঐ টাকাটা তার মত কাউকে দিলে সেটাই বেশি ভালো হত হয়তো!

ভালো লাগাটা অনেক খানি মিইয়ে গেলো।

শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০১০

♫ তোমার মনে কী আছে জানি আমি জানি

তোমার মনে কী আছে জানি আমি জানি
তুমি তো বলোনি
তোমার চোখের ভাষা বলে আশাবরী মন তুমি অভিমানী
.
তোমার নিরবতা তোমাকে মানায়
এই বারতা আমাকে জানায়।
মনে মনে না বলা বাণী
জানি আমি জানি।
.
ছায়া অবসাদ
ঝিঁঝিডাকা রাত
তোমার না বলা চাহনীর সাথ
আমি তো একা বলেছি কথা
তুমি শুধু মৌন আমার মুখরতা
বলে যাই না বলা বাণী
জানি আমি জানি।
------
স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্তা’র এই অসাধারণ গানের মধ্যে ডুবে যেতে কখনই কষ্ট হয়না।

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০১০

Zonoiko Arafat in June,2010

[2] বিচ্ছিন্ন সময়ের সারথী...

[6] "The more discussion, the more confusion."

[7] … is ready to be surprised.

[7] "I am not perfect ... But I am unique! "

[8] "When the world around you is falling apart - take a nap!"

[9] "Don't look back,unless it's a good view!"

[11] চার বছর আগে বিশ্বকাপের এই সময় হলে চুটিয়ে খেলা দেখছি। আমি আর শাওন জঙ্গী মজা করে নিউ এজ পত্রিকায় এসএমএস কুইজ কম্পিটিশনে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইল জিতলাম, সেটি এখনও পাশে। শুরু হইলো খেলা। আরজেন্টিনা বিদায় নিলো। কিঞ্চিত খুশি হলাম, এরপর ব্রাজিল বিদায় নিলো, আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা বিশ্বকাপজয়ের আনন্দের মত মিছিল বের করলো এতে ! ইটাল...ি জিতলো কথামত। কিন্তু এবার?

ব্রাজিল! কিন্তু, ক্যান জানি ইউরোপিয়ান অরেঞ্জদের প্রতিও মন টানতেছে!

[15] একটা গান খুঁজছি...
"ঝরো ঝরো বারি ঝরে না পাওয়ার বেদনায়, বরষা সহসা এলো কাঁদাতে আমায়... "
আছেন কোন জনদরদী ভ্রাতা-ভগিনী??

[17] নিয়মিত লোডশেডিং এর কারণে সামনের বিয়েবাড়ির আলোকসজ্জা ঠিকমত উপভোগ করতে পারছিনা! আফসোস! :-|

[21] তারপর?

[22] ভোরে উঠে ধীরেন বসু'র উদাত্ত গলায় শুনছে নজরুলের গান, "তুমি আমার সকাল বেলার সুর, হৃদয় অলস উদাস করা অশ্রু ধারাতুর....

[22] …is on the way to embrace the heritage i.e Kushtia ...

[23] "Sometimes faith means living without having all the answers."

[24] The strength of a person is determined at the weakest condition.

‎[26] "আমার দুই আঁখি
ওই সুরে
যায় হারিয়ে
সজল ধারায় ওই ছায়াময় দূরে, দূরে ..
ভিজে হাওয়ায় থেকে থেকে
...কোন সাথী মোর যায় যে ডেকে
একলা দিনের বুকের ভিতর ব্যাথার তুফান তোলে, তোলে।"

‎[28] "ভাসছি আহা!... ভাবনা বিলাস, ভাবনা সুখে..."

[29] "প্রচণ্ড অন্ধকার
আকাশসহ প্রতিটি বৃষ্টির দিন সরকারী ছুটি ঘোষিত হোক, সরকারের জানা উচিত এ
জাতির বর্ষা আর বৃষ্টির চেয়ে আনন্দঘন সময় আর নেই" [status message সৌজন্য Isteaque Ahmed ]

[30] ‎"তুমি আমার সকাল বেলার সুর
হৃদয় অলস উদাস করা অশ্রু ধারাতুর
ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়া
ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়া
রাত্রি শেষে চাঁদ তুমি মোর বিদায় বিধুর
... তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল
শিশির নাওয়া শুভ্রশুচি পুজারিণীর ফুল
অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারও চেয়ে
হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদলোকের মেয়ে
তুমি ইন্দ্রসভায় মৌন বীণায় নিরব নিঠুর"

[30] "এক স্ত্রী নিয়ে হলে কারবার...

ঝালিয়ে নিতে হয় দু'চার বার...

প্রত্যহ অপ্সরা দেখিলে হৃদয় টলেনা..."

[ডিএল রায়]

শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে? ভাবনাটা ভুঁইফোড় না। অনেক দিনের। এমন তো না যে, সাফল্য যথেচ্ছ ধরা দিয়েছে জীবনে। বরং মাপতে গেলে ব্যর্থতার পাল্লা-ই নেমে যাবে সমান্তরাল রেখা থেকে। তবুও ভাবি, ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

থামাটা কী জরুরী? গতিশীলতাই নাকি জীবন? থেমে থাকা নাকি অথর্বতা।

মুজতবা আলী’র সুইস নয়রাট সাহেব স্ত্রীকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন তার সময়, খেলায়-হেলাফেলায়। বয়স মধ্য চল্লিশ পার হবার পর। তার আগে গুছিয়ে নিয়েছিলেন অর্থনৈতিক প্রয়োজনের একটা সাবধানী সঞ্চয়। বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে তারিয়ে উপভোগের জন্য। লোভ জাগে এমন জীবনের।

ঢাকা শহরটা ছুটছে। দিনে ও রাতে। দিন ও রাতের সঙ্গম সময়েও। গভীর রাতেও বিরাম নেই। ভুতো গলিরাস্তার রাত্রি জাগা একলা আমিও, ঘরের মধ্যে থেকেও বাইরের ছুটন্ত যানবাহনের শব্দে টের পাই ছুটে চলার তাৎপর্য। ভাবি আবার।

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

দৌড়ুচ্ছি। গতির হিসাব মিলাচ্ছি অন্যদের দেখে। পিছিয়ে পড়ার ভয় প্রতিনিয়ত। আবার তাল হারিয়ে ঝিমিয়ে পড়বার অভিজ্ঞতাও আছে। আবার আলো দেখে উঠেছি। গড়বার আদর্শ বয়স এখন। সেটিও পার হয়ে যায় যায়। সামনে এখন অনেক পথ। একেকটা একেক রঙ্গের। পথের শেষগুলো আন্দাজ করতে পারি, নিশ্চিত হতে পারিনা। তাই ভয় লাগে।

ব্যক্তিগত জীবনেও কোথায় থামতে হবে? বর্তমান সময়ের প্রিয়জনদের সরব উপস্থিতি, অনুভূতির অনন্ত ভাষান্তর। আবার, ভবিষ্যতে নতুন প্রিয়জনদের জন্য প্রস্তুতি। তাদের যত্ন। কতদূর- কী করতে হবে? নানী’র মা বেঁচে আছেন। তাকে দেখেও ভাবি, তিনি থেমেছেন নাকি থামিয়ে দেয়া হয়েছে দৈবপাকে, অদৈবেও?

থামতে কি হবেই? কোথায় থামতে হবে তাহলে? এই থামাটা ইচ্ছের নাকি দৈবের?

রবিবার, ৪ জুলাই, ২০১০

তারা তিনজন অথবা একজন

শান্ত, মাহাবুব বা বিপ্লব।

নাম তিনটা এক সাথে কেন জানি মানায়না।

শেষজন আলাদা। একটু ভালো করে চিনি বলেই তাকে আলাদা মনে হয়। শেষের জন ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি কনফিউজড। স্বচ্ছতার ফ্লুয়েন্সিতে ভেসে আসা সমসাময়িক কনফিউশনে তাকে হয়তো কনফিউজড করা যায়না।

কোন একসময় ‘কনোটেটিভ ওয়ার্ড’ টার্মটা জানার পর থেকেই এটা নিয়ে ভয় বেড়েছে অনেক। মা বলে তার, তোমার ভাষা সংযত করা উচিত। কারণ, সহজ ব্যাপারই অন্যদের বুঝতে সমস্যা হতে পারে। আবার, অনেক সময় এটাই সহজে বুঝিয়ে দেয়।

তারেক, তুমি কিভাবে এত সব সহ্য করো বিপ্লবের খেয়ালী আচরণ।

কী ভাবে? কী আছে তোমার যা অন্যদের নেই?

বিপ্লব ভেবেছিলো, অন্যত একজন মানুষকে কনফিউজড করা যায়না... সেটিও হলো।

তার অসাধারণত্ব সাধারণত্বে নেমে এলো?

বিশুদ্ধতা হারিয়েছো?

প্রতারণা দিয়েছো?

হারিয়েছো ব্যক্তিত্ব?

সব হারিয়েছো। নিজের খেয়ালে।

নাহ!

অনেক অপরাধ করে বটে, কিন্তু এখানে না। দেখছে একজনই।

এটাই ভরসা।

[মুক্তগদ্য]

শনিবার, ৩ জুলাই, ২০১০

Happiness

Life's happiness depends mainly on effective and spontaneous behavioral management of your dearest ones. Though faith can play a lot!

সোমবার, ২৮ জুন, ২০১০

ধন্যবাদ

হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় জনগণকে ধন্যবাদ- সরকারী দল

অথবা

হরতাল সফল করায় জনগণকে ধন্যবাদ- বিরোধী দল

অথবা

প্রদত্ত বাঁশ বুঝিয়া পাওয়ায় সরকারী ও বিরোধী দল উভয়কেই ধন্যবাদ - জনগণ


----

২৭ জুন হরতাল।