রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

ফেসবুক স্ট্যাটাস ২০১০-০২-২৮

সেসব ব্যাপার পারিনা, জানিনা যতটা মনোকষ্ট দেয়; যেসব ব্যাপার পারি, জানি ততটা প্রশান্তি দেয়না কেন?

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

অছন্দিত গদ্য - ১

নানার মৃত্যুটা বেশ আকস্মিক ছিলো। শক্ত সমর্থ মানুষটা যখন বিনা নোটিশে কোন রোগ ভোগ না করে, কোন অ্যাক্সিডেন্ট না করেই অন্য জগতে চলে গেলো, তখন খানেকটা আশ্চর্যই হয়েছিলাম। শোকবোধ ততটা ছিলোনা। তখন পড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম শুরুর বছরে।

সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরবার কথা ভাবছি। এমন সময় টেলিফোনে শুনি – তিনি নেই। নাহ, কাঁদিনি! ঘটনার বিহবলতা নাড়া দিয়েছিলো বটে। তখন রামপুরাতে ঢাকার বাসায় আব্বা থাকতো। আমাদের ফ্যামিলিতে যখন তখন চোখের পানি ফেলা ফ্যাশনের মত। আমি পারিনা তবু। মনে হয়, অশ্রু ফোটার অনেক দাম। সময় অসময়ে ব্যবহার করতে নেই।

বাসায় ফিরতেই আব্বা আমাকে দেখে কয়েক দফা দমকে কেঁদে নিলেন। হালকা হলেন আবারও। আমি পারলাম না। কাঁদতে পারলাম না।

শুনলাম, নানাবাড়িতে বড়মামা ছাড়া সবাই উপস্থিত। সে যে কোথায় থাকে কেউ জানেনা। অফিসের কাজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া নিত্যকার কাজ তখন। বাসায় কেন খোঁজ দাওনা? – এই প্রশ্নের জবাবে বলতো, ফোন না করা মানেই বুঝবে, ভালো আছি!

বাসে করে যখন কুষ্টিয়াতে ফিরি গভীর রাত তখন। আরিচা ফেরিঘাটে কোত্থেকে যেন বড়মামা এসে হাজির। খবর সেও পেয়েছে কিভাবে যেন! তার চোখেও পানি নেই। হৃদয়ে তো ছিলোই!

নানাবাড়ি যখন পৌছে যাই, গভীর রাত তখনও। সকাল হয়নি। সারা বাড়ি তখনও জাগা। প্রায় প্রত্যেকেরই পছন্দের মানুষটার জন্য শোক সবার শরীরে, চোখে! মা আমাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। মায়ের কান্না আমি সইতে পারিনা। কেঁদে ফেললাম! নানার জন্য শোকে নয়!

পরদিনের জানাযা হলো তার। তাকে যখন মাটিতে শুইয়ে চাটাই দিয়ে আড়াল করে ফেলা হলো, তখনই দমকে থাকা কান্না উথলে উঠলো মনে। চোখের শ্রাবণ ধারা জানান দিলো –প্রিয় এক বন্ধুকে চিরতরে হারালাম!

বন্ধু হারাবার শোক আসলেই অনেক বড়!

আবার এক বন্ধুকে হারাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবার মৃত্যু নয়। নিয়তি।

হয়তো!

হয়তো না!

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

আসুন সপ্তাহে দিনের নামগুলোও পরিবর্তন করে ফেলি!

নামকরণ নিয়ে যে খেলা চলছে তা নিয়ে আর না বলি। সব্বাই জানে। মাশা-আল্লাহ। এই সরকার যদি আগামী বার না আসে, তাহলে আবার সবকিছু আবার পরিবর্তন হবে। আসলে একই থাকবে। কিন্তু একসময় পরিবর্তন হবেই। এটাকেই বোধহয় গতিশীলতা বলে। শুধু আমরা ম্যাঙ্গো-পিপল কামড়াকামড়ি করেই কাটাবো। সময় হলেই আবার সব ভুলে যাবো। সাধু!


আসুন সপ্তাহে দিনের নামগুলোও পরিবর্তন করে ফেলি!

রবিবার মুজিব বার
সোমবার জিয়া বার
মঙ্গলবার হাসিনা বার
বুধবার খালেদা বার
বৃহস্পতিবার জয় বার
শুক্রবার তারেক বার
শনিবার শনিবার-ই থাকলো। জনগণের কপালে শনিবহাল থাকলো!

----------------------------------------------------------------------------

সরকার নাম পরিবর্তন করে দেশের উন্নতি সাধন করছে!

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

পথে হলো দেরী ... ইহা রোমান্টিক সিনেমার টাইটেল নহে!

বিসিএস পরীক্ষা ছিলো। সকাল দশটায়। বাসা থেকে বের হয়েছি সাড়ে আটটায়, অন্য দিনের মতই। সাড়ে নয়টার দিকেই অকুস্থলেপৌঁছে যাবার কথা। বিধি-কড়াবাম! বাংলামটরে ট্রাফিক পুলিশে বাস দিলো আটকে। সিগনাল। কাওরান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সব গাড়ি যায়। কিন্তু, মগবাজার থেকে বাংলামটর আসা সম্মুখগামী কোন গাড়ি ছাড়েনা। ছাড়েইনা। এখানেই পৌণে দশটা। জানা গেলো প্রধানমন্ত্রী আসবেন এ পথে। তাই ছাড়া যাবেনা। ছাড়লো অবশেষে। আর, সব মিলিয়ে তেজঁগা কলেজের কেন্দ্রে পৌছাতে ১০ মিনিটের বেশি দেরী।

সিগনালে আটকে, বাসের গেটে ঝুলে যেসব জিনিষ মাথায় আনা যায় ---

০- ট্রাফিককে আচ্ছামত গাল দিতে পারি।
(কার দোষে, জানিনা!)

০- প্রধানমন্ত্রীকে বাপসুদ্ধ গাল দিতে পারি।
(এর মধ্যে আবার বাপ নিয়ে টানাটানি ক্যান?)

০- যানজটে পড়ার জন্য রিকশার বা গাড়ির বাহুল্যকে গালাগাল দিতে পারি।
(নিজের গাড়ি কেনার মুরোদ নাই, তাই না?)

০- গাড়ি ভাঙচুর করতে পারি।
(তৃতীয় কারণ আবার দ্রষ্টব্য)

০- পুরোদস্তুর সাধু হয়ে ভাবতে পারি, “তিনি যা করেন সব ভালোর জন্য করেন। নিজে কিছু না করে খালি চেয়ে চেয়ে দেখো!
(উপায় নাই রে গোলাম হোসেন!)

০- কিংবা ভাবতে পারি, আমার চেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব বেশি, না হয় আমার দুয়েকটা পরীক্ষা মিস হয়েই গেলো। দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম!
(দেশপ্রেম মহৎ গুণ)

০- সহনশীলতা মহৎ গুণ- আগামী কোন চাকরী পরীক্ষায় রচনা এলে নিজেকেই উদাহরণ হিসাবে ভেবে শান্তি পেতে পারি।
(আঁতলামো করার জায়গা পাওনা?)

০- আমার শতকরা আশিভাগ বন্ধু বিদেশ চলে গেছে অনেক আগেই। বাহ্যিক কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সুরসুর করে তাদের পথ অনুসরণ করতে পারি অচিরেই!
(বোধহয় নিয়তি!)

০- অথবা, একটা গান শুনতে পারি। এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!
(আঙ্গুর ফল টক!)

অন্য কারও কোন সৃজনশীলআইডিয়া আছে?

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

♫ ♫ ♫ 311 - Love Song

50 FIRST DATES - 311 / Love Song .mp3
Found at bee mp3 search engine

Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am home again
Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am whole again

Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am young again
Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am fun again

However far away, I will always love you
However long I stay, I will always love you
Whatever words I say, I will always love you
I will always love you

Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am free again
Whenever I'm alone with you
You make me feel like I am clean again

However far away, I will always love you
However long I stay, I will always love you
Whatever words I say, I will always love you
I will always love you