শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০০৯

স্মৃতির ছড়া

প্রাইমারী স্কুলের ‘প্রায়-মারামারি’র সময় পরস্পরকে নানারকম ছড়া কেটে ভেংচি কাটতাম। আজ হঠাৎ করে ভরদুপুরে, অফিসের কাজের ফাঁকে কলীগের রসালো ছড়ার সাথে পাল্লা দিতেই বোধহয় ফিরে এলো, নিজের স্মৃতিকোঠায়, ভুলে যাওয়া সেসব ছড়ার কয়েকটি। ফিরে এলো একসাথে, অনেকগুলো সাদাকালো স্মৃতি। ‘হাফপ্যান্ট-যুগে’র বন্ধুদের কথা মনে পড়লো... কচি, মঈন, বুলি, পরান, পপা, রব্বানী, ইব্রাহিম... অনেকগুলো ভুলে যাওয়া নাম। ফেসবুকে হাইস্কুলকে অনেকটা পেয়েছি, কিন্তু এদের পাবোনা বোধহয় কখনই আর ... কতদিন দেখিনি, শুনিনি ও অনেক কাল হলো ... দেখলেও আজ চেনার সুযোগ কম।


শার্লক হোমসে পড়েছিলাম, মানুষের মস্তিষ্ক অনেকটা সাজানো ঘরের মত...খুলিটা একটা ঘর, ব্রেইনসেলগুলো আসবাবপত্রের মত! ঝকঝকে নতুন আসবাবকে জায়গা দিতে পুরনোগুলোর ঠাঁই মেলে জঞ্জাল ঘরে, পুরনো দোকানে পেরেক ঠুকে নতুন হবার ভয় কিংবা ভাগ্য আরো খারাপ হলে নিখাঁদ লাকড়ি! সেভাবেই নতুন জ্ঞানে, নতুন স্মৃতির থরে থরে সাজানোর মহাপরিকল্পনায় পুরনোগুলোর ঠাঁই মেলে বিস্মৃতির আস্তাকুড়ে। কিন্তু সেগুলোও হঠাৎ করে চমকে দেয়। আজ যেমন দিলো!

এমন একটা ছড়া ছড়িয়ে দিলাম সে সুযোগে।

“অমুক মিয়া দারোগা
ডিম পাড়িছে* বারোডা,
একটা ডিম নষ্ট,
অমুকের বউয়ের কষ্ট!”

‘অমুক’ নামটার বদলে যেকোন একটা নাম বসিয়ে নিলেই।
তখন এসব শুনলেই সারা শরীর রাগে-ক্ষোভে জ্বলতো! এখন হাসি পাচ্ছে!

আমার নামটা বসাতে ইচ্ছে হয়? মন্দ কী?
ছেলেবেলাটা না হয় অন্যভাবেই ফিরে এলো!

* আঞ্চলিক ভাষায়, ‘পেড়েছে’ >> ‘পাড়িছে’ আর বারোটা>>বারোডা!

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০০৯

মূর্খ

উচ্চশিক্ষার ভারী ভারী সার্টিফিকেট কারো কারো মূর্খতার পূর্ণতা দান করে।

দেখে শুনে জেনে বুঝে আমি খানিকটা হতাশ।

হয়তো তোমাকেই বলছি।

কিংবা নিজেই দাঁড়িয়ে আছি আয়নার সামনে!