বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০১০

কনফিউশন ২৭০৭১০

অফিস থেকে আট টাকা দিলেই বাসায় পৌছানো যায়। খানেকটা পথ পায়ে হেঁটে এরপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বাসে করে এসে। আবার রিকশাতেও আসা যায়। ভেঙ্গে ভেঙ্গে। সেখানে খরচ একুনে আশি টাকা। যাহাই আট, তাহাই আশি।

রিকশাতে করে আসার কারণও আছে বৈকি। প্রতিদিন তো আর এভাবে আসিনা। বাসে ঝুলে-চাপাচাপি করে ফিরতে হবে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগে। সারাদিন অফিস করে যতটা ক্লান্ত হই, তার চেয়ে বেশি ক্লান্ত হই ফিরতি বাসযাত্রায়। বাসায় ফিরে শরীরের প্রতিটা কোষ বিশ্রাম চায়। রিকশাতে এলে বেশ তাড়াতাড়িও ফেরা যায় বটে। জ্যাম-লাগা প্রধান রাস্তার চাইতে গলিঘুপচি দিয়ে তাড়াতাড়ি ফেরা যায়। এছাড়া, রিকশা আমাকে পুরনো অনেক স্মৃতিতে নস্টালজিক করে। সব মিলিয়ে রিকশা- মন্দ নয়।
কালও এভাবে ফিরলাম বাসায়। ভালোই লাগছিলো, নাহ খুব বেশি ভালো লাগছিলো।

তবে,

গুলশান-১ এ অন্ধ ভিক্ষুক দেখে আমার বায়াত্তর টাকার কথা মনে পড়ে গেলো!
আশি মাইনাস আট সমান বায়াত্তর, নিজে একটু কষ্ট করে ঐ টাকাটা তার মত কাউকে দিলে সেটাই বেশি ভালো হত হয়তো!

ভালো লাগাটা অনেক খানি মিইয়ে গেলো।

শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০১০

♫ তোমার মনে কী আছে জানি আমি জানি

তোমার মনে কী আছে জানি আমি জানি
তুমি তো বলোনি
তোমার চোখের ভাষা বলে আশাবরী মন তুমি অভিমানী
.
তোমার নিরবতা তোমাকে মানায়
এই বারতা আমাকে জানায়।
মনে মনে না বলা বাণী
জানি আমি জানি।
.
ছায়া অবসাদ
ঝিঁঝিডাকা রাত
তোমার না বলা চাহনীর সাথ
আমি তো একা বলেছি কথা
তুমি শুধু মৌন আমার মুখরতা
বলে যাই না বলা বাণী
জানি আমি জানি।
------
স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্তা’র এই অসাধারণ গানের মধ্যে ডুবে যেতে কখনই কষ্ট হয়না।

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০১০

Zonoiko Arafat in June,2010

[2] বিচ্ছিন্ন সময়ের সারথী...

[6] "The more discussion, the more confusion."

[7] … is ready to be surprised.

[7] "I am not perfect ... But I am unique! "

[8] "When the world around you is falling apart - take a nap!"

[9] "Don't look back,unless it's a good view!"

[11] চার বছর আগে বিশ্বকাপের এই সময় হলে চুটিয়ে খেলা দেখছি। আমি আর শাওন জঙ্গী মজা করে নিউ এজ পত্রিকায় এসএমএস কুইজ কম্পিটিশনে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইল জিতলাম, সেটি এখনও পাশে। শুরু হইলো খেলা। আরজেন্টিনা বিদায় নিলো। কিঞ্চিত খুশি হলাম, এরপর ব্রাজিল বিদায় নিলো, আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা বিশ্বকাপজয়ের আনন্দের মত মিছিল বের করলো এতে ! ইটাল...ি জিতলো কথামত। কিন্তু এবার?

ব্রাজিল! কিন্তু, ক্যান জানি ইউরোপিয়ান অরেঞ্জদের প্রতিও মন টানতেছে!

[15] একটা গান খুঁজছি...
"ঝরো ঝরো বারি ঝরে না পাওয়ার বেদনায়, বরষা সহসা এলো কাঁদাতে আমায়... "
আছেন কোন জনদরদী ভ্রাতা-ভগিনী??

[17] নিয়মিত লোডশেডিং এর কারণে সামনের বিয়েবাড়ির আলোকসজ্জা ঠিকমত উপভোগ করতে পারছিনা! আফসোস! :-|

[21] তারপর?

[22] ভোরে উঠে ধীরেন বসু'র উদাত্ত গলায় শুনছে নজরুলের গান, "তুমি আমার সকাল বেলার সুর, হৃদয় অলস উদাস করা অশ্রু ধারাতুর....

[22] …is on the way to embrace the heritage i.e Kushtia ...

[23] "Sometimes faith means living without having all the answers."

[24] The strength of a person is determined at the weakest condition.

‎[26] "আমার দুই আঁখি
ওই সুরে
যায় হারিয়ে
সজল ধারায় ওই ছায়াময় দূরে, দূরে ..
ভিজে হাওয়ায় থেকে থেকে
...কোন সাথী মোর যায় যে ডেকে
একলা দিনের বুকের ভিতর ব্যাথার তুফান তোলে, তোলে।"

‎[28] "ভাসছি আহা!... ভাবনা বিলাস, ভাবনা সুখে..."

[29] "প্রচণ্ড অন্ধকার
আকাশসহ প্রতিটি বৃষ্টির দিন সরকারী ছুটি ঘোষিত হোক, সরকারের জানা উচিত এ
জাতির বর্ষা আর বৃষ্টির চেয়ে আনন্দঘন সময় আর নেই" [status message সৌজন্য Isteaque Ahmed ]

[30] ‎"তুমি আমার সকাল বেলার সুর
হৃদয় অলস উদাস করা অশ্রু ধারাতুর
ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়া
ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়া
রাত্রি শেষে চাঁদ তুমি মোর বিদায় বিধুর
... তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল
শিশির নাওয়া শুভ্রশুচি পুজারিণীর ফুল
অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারও চেয়ে
হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদলোকের মেয়ে
তুমি ইন্দ্রসভায় মৌন বীণায় নিরব নিঠুর"

[30] "এক স্ত্রী নিয়ে হলে কারবার...

ঝালিয়ে নিতে হয় দু'চার বার...

প্রত্যহ অপ্সরা দেখিলে হৃদয় টলেনা..."

[ডিএল রায়]

শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে? ভাবনাটা ভুঁইফোড় না। অনেক দিনের। এমন তো না যে, সাফল্য যথেচ্ছ ধরা দিয়েছে জীবনে। বরং মাপতে গেলে ব্যর্থতার পাল্লা-ই নেমে যাবে সমান্তরাল রেখা থেকে। তবুও ভাবি, ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

থামাটা কী জরুরী? গতিশীলতাই নাকি জীবন? থেমে থাকা নাকি অথর্বতা।

মুজতবা আলী’র সুইস নয়রাট সাহেব স্ত্রীকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন তার সময়, খেলায়-হেলাফেলায়। বয়স মধ্য চল্লিশ পার হবার পর। তার আগে গুছিয়ে নিয়েছিলেন অর্থনৈতিক প্রয়োজনের একটা সাবধানী সঞ্চয়। বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে তারিয়ে উপভোগের জন্য। লোভ জাগে এমন জীবনের।

ঢাকা শহরটা ছুটছে। দিনে ও রাতে। দিন ও রাতের সঙ্গম সময়েও। গভীর রাতেও বিরাম নেই। ভুতো গলিরাস্তার রাত্রি জাগা একলা আমিও, ঘরের মধ্যে থেকেও বাইরের ছুটন্ত যানবাহনের শব্দে টের পাই ছুটে চলার তাৎপর্য। ভাবি আবার।

ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে?

দৌড়ুচ্ছি। গতির হিসাব মিলাচ্ছি অন্যদের দেখে। পিছিয়ে পড়ার ভয় প্রতিনিয়ত। আবার তাল হারিয়ে ঝিমিয়ে পড়বার অভিজ্ঞতাও আছে। আবার আলো দেখে উঠেছি। গড়বার আদর্শ বয়স এখন। সেটিও পার হয়ে যায় যায়। সামনে এখন অনেক পথ। একেকটা একেক রঙ্গের। পথের শেষগুলো আন্দাজ করতে পারি, নিশ্চিত হতে পারিনা। তাই ভয় লাগে।

ব্যক্তিগত জীবনেও কোথায় থামতে হবে? বর্তমান সময়ের প্রিয়জনদের সরব উপস্থিতি, অনুভূতির অনন্ত ভাষান্তর। আবার, ভবিষ্যতে নতুন প্রিয়জনদের জন্য প্রস্তুতি। তাদের যত্ন। কতদূর- কী করতে হবে? নানী’র মা বেঁচে আছেন। তাকে দেখেও ভাবি, তিনি থেমেছেন নাকি থামিয়ে দেয়া হয়েছে দৈবপাকে, অদৈবেও?

থামতে কি হবেই? কোথায় থামতে হবে তাহলে? এই থামাটা ইচ্ছের নাকি দৈবের?

রবিবার, ৪ জুলাই, ২০১০

তারা তিনজন অথবা একজন

শান্ত, মাহাবুব বা বিপ্লব।

নাম তিনটা এক সাথে কেন জানি মানায়না।

শেষজন আলাদা। একটু ভালো করে চিনি বলেই তাকে আলাদা মনে হয়। শেষের জন ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি কনফিউজড। স্বচ্ছতার ফ্লুয়েন্সিতে ভেসে আসা সমসাময়িক কনফিউশনে তাকে হয়তো কনফিউজড করা যায়না।

কোন একসময় ‘কনোটেটিভ ওয়ার্ড’ টার্মটা জানার পর থেকেই এটা নিয়ে ভয় বেড়েছে অনেক। মা বলে তার, তোমার ভাষা সংযত করা উচিত। কারণ, সহজ ব্যাপারই অন্যদের বুঝতে সমস্যা হতে পারে। আবার, অনেক সময় এটাই সহজে বুঝিয়ে দেয়।

তারেক, তুমি কিভাবে এত সব সহ্য করো বিপ্লবের খেয়ালী আচরণ।

কী ভাবে? কী আছে তোমার যা অন্যদের নেই?

বিপ্লব ভেবেছিলো, অন্যত একজন মানুষকে কনফিউজড করা যায়না... সেটিও হলো।

তার অসাধারণত্ব সাধারণত্বে নেমে এলো?

বিশুদ্ধতা হারিয়েছো?

প্রতারণা দিয়েছো?

হারিয়েছো ব্যক্তিত্ব?

সব হারিয়েছো। নিজের খেয়ালে।

নাহ!

অনেক অপরাধ করে বটে, কিন্তু এখানে না। দেখছে একজনই।

এটাই ভরসা।

[মুক্তগদ্য]

শনিবার, ৩ জুলাই, ২০১০

Happiness

Life's happiness depends mainly on effective and spontaneous behavioral management of your dearest ones. Though faith can play a lot!