বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

পথে হলো দেরী ... ইহা রোমান্টিক সিনেমার টাইটেল নহে!

বিসিএস পরীক্ষা ছিলো। সকাল দশটায়। বাসা থেকে বের হয়েছি সাড়ে আটটায়, অন্য দিনের মতই। সাড়ে নয়টার দিকেই অকুস্থলেপৌঁছে যাবার কথা। বিধি-কড়াবাম! বাংলামটরে ট্রাফিক পুলিশে বাস দিলো আটকে। সিগনাল। কাওরান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সব গাড়ি যায়। কিন্তু, মগবাজার থেকে বাংলামটর আসা সম্মুখগামী কোন গাড়ি ছাড়েনা। ছাড়েইনা। এখানেই পৌণে দশটা। জানা গেলো প্রধানমন্ত্রী আসবেন এ পথে। তাই ছাড়া যাবেনা। ছাড়লো অবশেষে। আর, সব মিলিয়ে তেজঁগা কলেজের কেন্দ্রে পৌছাতে ১০ মিনিটের বেশি দেরী।

সিগনালে আটকে, বাসের গেটে ঝুলে যেসব জিনিষ মাথায় আনা যায় ---

০- ট্রাফিককে আচ্ছামত গাল দিতে পারি।
(কার দোষে, জানিনা!)

০- প্রধানমন্ত্রীকে বাপসুদ্ধ গাল দিতে পারি।
(এর মধ্যে আবার বাপ নিয়ে টানাটানি ক্যান?)

০- যানজটে পড়ার জন্য রিকশার বা গাড়ির বাহুল্যকে গালাগাল দিতে পারি।
(নিজের গাড়ি কেনার মুরোদ নাই, তাই না?)

০- গাড়ি ভাঙচুর করতে পারি।
(তৃতীয় কারণ আবার দ্রষ্টব্য)

০- পুরোদস্তুর সাধু হয়ে ভাবতে পারি, “তিনি যা করেন সব ভালোর জন্য করেন। নিজে কিছু না করে খালি চেয়ে চেয়ে দেখো!
(উপায় নাই রে গোলাম হোসেন!)

০- কিংবা ভাবতে পারি, আমার চেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব বেশি, না হয় আমার দুয়েকটা পরীক্ষা মিস হয়েই গেলো। দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম!
(দেশপ্রেম মহৎ গুণ)

০- সহনশীলতা মহৎ গুণ- আগামী কোন চাকরী পরীক্ষায় রচনা এলে নিজেকেই উদাহরণ হিসাবে ভেবে শান্তি পেতে পারি।
(আঁতলামো করার জায়গা পাওনা?)

০- আমার শতকরা আশিভাগ বন্ধু বিদেশ চলে গেছে অনেক আগেই। বাহ্যিক কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সুরসুর করে তাদের পথ অনুসরণ করতে পারি অচিরেই!
(বোধহয় নিয়তি!)

০- অথবা, একটা গান শুনতে পারি। এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!
(আঙ্গুর ফল টক!)

অন্য কারও কোন সৃজনশীলআইডিয়া আছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন