সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০০৯

“আমার বিয়াত না আইলে ভাবুম, তুমি আমার প্রতি দূর্বল ছিলা!”

মরশুম খারাপ। বয়স খারাপ। চিনাজানা আশেপাশের পুলাপান খালি বিয়া করতেছে! :(( (প্রত্যেকে কিন্তু একটা কইরাই করতেছে, আবার ভুল ধইরেন না।) প্রতিমাসেই একাধিক বিয়ার দাওয়াত। বিয়া জিনিসটা খারাপ না। খারাপ হইলো সেইখানে গিয়া আমার কুনো কাজকাম থাকেনা, এইটা আগেই কইছি। গিফট কিনতে ম্যালা হ্যাপা পোহাইতে হই। কমদামী না বেশি দামী হইলো? নিজের পকেটের সংগে সঙ্গতি পাইলো কিনা! ম্যালা কনসিডারেশনস। /:) তাই, পারলে বিচিত্র দোহাই দিয়া পিছাইয়া যাই! নামাযে বইসা দুআফাই কইরা দিই। অশেষ নেকি হাসিল হয়! B-)

কিন্তু সবসময় এক দাওয়াই কামে লাগেনা।

মেলাদিন বান্ধবীরে ফুনাইনাই। কাল দুপুরে ফুনাইলাম। ফুন ধইরাই কইলো, “তোমার লগে আমার জরুরী বাতচিত আছে!” :-*
টাশকিত হইলাম! কইলাম, “কী?”
“ধানমন্ডি ২৭ আসতে পারবা? জরুরী কাজ আছে!”, তাড়াতাড়ি কইয়া ফেললো!

খাওয়াইবো মনে হয়! কিন্তু আমার আইজকা রাতে গুরুত্বপূর্ণ কামআছে! একখান ডিজাইন কম্লিট করন লাগবো! টাইম নাই! কইলাম, “কও কী কাজ? মোবাইলে কইরা দেওন যায় কিনা। কুনো ব্যাপারে ইনফু লাগবো?”
“উঁহু! আসতেই হইবে”!
“ক্যালা?”
“আমার বিয়া! তুমারে কার্ড দিমু! কী খুশি!” :D
“ওহ! এই কথা? আর-রে মিয়া তুমি ডিজিটাল যুগে এনালগ হইয়াই থাকলা। ইমেইলে কার্ডের ছবি পাঠায়া দিও! আর, আমি গর্দভ ফুন কইরা তুমার বিয়ার দাওয়াত নিতাছি? এইডা হইবোনা। রাতে নিজে ফুন দিয়া আবার দাওয়াত দিবা!” আমি বাগড়া দিই!
“ওক্কে, বস রাইতে ফুনামুনে!” :)

রাইতে ফুন আইলো! কেতাবী ভাষায় অর্ডার দিলো, “আমার বিয়া। আইবা!”

ম্যালা ভুজুং-ভাজুং দিলাম। ম্যালা কাজ। ম্যালা প্রব্লেম! আইতে পারুমনা!

শেষকালে মোক্ষম অস্ত্র ছাড়লো সে! “আসছে শুক্কুরবার, আমার বিয়াত না আইলে ভাবুম, তুমি আমার প্রতি দূর্বল ছিলা! ছ্যাঁকা খাইছো! সবাইরে কইয়া দিমু!”:-/

এইবার কী করি? মাফ চাই, দু’আ-ও চাই! :((

মাথাও চুলকাই! কুনো বুদ্ধি দিতে পারেন? কী গিফট কিনুম?

অর্ধ-প্রাসঙ্গিক কাহানী: আগের অফিসের মালিক মাইনে প্রেসিডেন্টের বউ ছিলো কুম্পানীর সিইও! তাই বিয়েত্তা ভাইগো খেপাইতাম, “ভাই, আপনের সিইও কেমতে আছে?”

এই বান্ধবী পাশ কইরা দুস্তের কুম্পানীতে সিইও হিসাবে জয়েন দিছিলো একখানে। তারেও খেপাইছিলাম!

কিন্তু, বিয়া নাকি সেই মালিক-কাম-দুস্তের লগে!?

তাই ভাবতাছি, টিয়া পাখি আর লাল-সুতা নিয়া সুলেমানি পাথ্‌থরের বিজনিসে নামুম নাকি? কওয়া ভবিষ্যৎ তো 'ঝড়ে বক মারা ফকিরের' মত লাইগা যায়!!

হক মৌলা! :P

(পরিবর্ধিত অংশঃ ২২ নম্বরে রোবোট ভাইয়ের কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে! )

তয় আমি তারে কী কইছিলাম সেইটা মূল ব্লগে পরথমে দেইনাই।

কইছিলাম, "ম্যালা লুকই তো তুমার বিয়াত আইবোনা! তাইলে সব্বাইরে তুমি ছ্যাকা দিছো! ছি ছি ছি, তুমি এত খারাপ! এত্তো পুরুষের সঙ্গে তুমার সম্পর্ক! "

এইবার তার মাপ চাওনের পালা! হে হে হে!
শেষ কথাঃ তার বিয়াত আমি যাইতে পারিনাই। সে আমারে দূর্বল করিতে না পারিলেও, আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর! টানা ৪ জ্বরে ভুগিয়া শয্যাশায়ী হইয়াই গুজরান করিয়াছি সেই দিন! :|


[অনটেস্টঃ ব্লগীয় ইয়ো বাতচিতে প্রথুম পুস্ট!] :|

শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০০৯

টনক

সন্ধ্যাবেলায় মায়ের সাথে গল্প করছিলাম। সাম্প্রতিক পড়া বা শোনা কোন হালকা চালের গল্প কিংবা অন্য কোন চমকপ্রদ ঘটনার সাথে মায়ের ঘর গেরস্থালীর ‘সাজানো-গোছানো’ গল্পগুলো বেশ ভালোই মিশ খায়। বরাবর যেটা করি, কৌতুকপূর্ণ কাহিনীর প্রাধান্য টানি আড্ডায়। সবধরণের শ্রোতার হাসি সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়। :) ক্ষেপাতেও মন্দ লাগেনা। :P ‘সর্দারজী’ আমার বেশ প্রিয়। আজও ঘোর লাগা সন্ধ্যায় তাকেই স্মরণ করছিলাম। প্রচলিত একটি ম্যাগাজিনের ঈদ সংখ্যায় তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি কৌতুকপূর্ণ গল্প ছাপা হয়েছে।

মানুষের ‘মৃত্যু’ বা বড় ধরণের কোন ‘ক্ষতি’ সংক্রান্ত কৌতুকগুলোকে বলে ‘সিক জোকস’। গভীর হিউমারে পরিপূর্ণ সেরকম-ই একটা আওড়াই,

জাহাজ ডুবছে। যাত্রীরা সব ছোটাছুটি করছে, কাঁদছে, চিৎকার করছে, স্রষ্টার নাম নিচ্ছে।

এমন সময়, নিস্পৃহভাবে সর্দারজীকে বাদাম চিবুতে দেখে এই ইউরোপিয়ান যাত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করলো, “এখান থেকে মাটি কতদূর?”

সর্দারজী বললেন, “দুইমাইল”।

ইউরোপিয়ান অবাক হয়ে বললেন, “মাত্র দু’মাইল? তার জন্য এত হইচই কেন? দু’মাইল তো সাঁতরেও যাওয়া যায়। যতসব আহাম্মক ভ্রমণকারী! আমি তো টানা পাঁচ মাইল সাঁতার কেটেছি।”

সর্দারজী বললেন, “তাহলে তো কথাই নেই।”

সর্দারজী বাদাম হাতে করে রেলিং পর্যন্ত গেলেন। আর সাঁতারু ডাইভ দিলেন মহাসাগরে।

একডুব দিয়ে তার মনে হলো, ডিরেকশনটা তো নেয়া হয়নি। তিনি চেঁচিয়ে সর্দারজীকে জিজ্ঞেস করলেন, “দু’মাইল এখান থেকে কোনদিকে?”

নির্বিকার সর্দারজী বললেন, “নিচের দিকে!”


মা’দের মন নরম। হেসে ওঠার পাশাপাশি তলিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য মন খারাপ করে ফেলে। অথচ, আমরা আধুনিক মানুষেরা এ সবে মজা পাই! ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করা মানবমৃত্যুর ‘লাইভ’ দৃশ্য ‘উপভোগ’ করি। শরীরের বেশিরভাগ অংশ উড়ে যাওয়া আত্মঘাতি মানুষটির বিভৎস ছবি দেখে ‘পুলকিত’ হই। মৌখিক স্বীকারোক্তি-তে অসম্ভব রকমের দ্বিধা থাকলেও, এক ধরণের অনির্বচনীয় আনন্দ উপভোগ করি প্রায় সবাই। খবরের কাগজের প্রধান শিরোনামে ‘এইগুলো’ বড় ‘ফন্ট’ পায়। সংবাদপাঠক এগুলোকেই সবার আগে বলে। চাহিদা আর যোগান এর মহাজাগতিক সম্পর্কটা যেন সবাই জানে!

“মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, কেউ এমন শান্তভাবে কথা বলতে পারে?” মা কৌতুকটার ব্যবচ্ছেদ করে।

কে যেন বলেছিলো, “রসিকতা হলো সিরিয়াস কিছু বলার সবচেয়ে ভালো উপায়!” কৌতুকের কাটাছেঁড়ায় তাই বেরিয়ে পড়ে অনেক সময় অদ্ভুত সব সত্য!

“পারে তো,” – আমি বলি, “আমরা নিজেরা-ই তো তাই ...”

“মানে কী?”... মা আমার কথা বিশ্বাস করতে পারেনা।

“এই যে, ভূমিকম্পের ভয়াবহ আশঙ্কার মুখে দাঁড়িয়েও আমরা নির্বিকার রয়েছি। আড্ডা দিচ্ছি। একটা কৌতুকও বললাম তোমাকে। তুমিও হাসলে...” আমার দুইপয়সার তত্ত্বকথার ঝনঝনানি ভালোই বাজে।

মা অবাক হয়েও, আমার কথা মেনে নেয়!


ভূমিকম্পে সব নড়ে। বাড়ি-ঘর-গাড়ি-রাস্তা সব নড়ে। এমনকি পুকুরও নড়ে!

নড়েনা শুধু আমাদের ‘টনক’!


স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ও দূর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিয়ে তেমন কোন গা নেই কারও। আমারও।



পুনশ্চঃ

১. আমাদের দেশের পটভূমিতে, ভূমিকম্প ও তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি স্বাস্থকর আলোচনা আছে এখানে।
http://www.sachalayatan.com/tanveer/17193

২. অভিধান না দেখে বলুন তো, ‘টনক’ মানে কী?

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

উল্টা ভাবনা

আস্তে আস্তে মানসিক রোগীতে পরিনত হচ্ছিনা তো?

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাস

"শরৎ আসে যায়, মেঘের ফাকে নীল ... এই শহরটায় অতিথী গাঙচিল"

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কর্মবিরতির ঈদ (~শুভেচ্ছা-সহ~)

নিজেদের ‘অতিমানব’ মতান্তরে ‘অমানুষ’ প্রমাণ করতেই বোধহয় টানা ১৯ দিন অফিস করতে হলো, শুক্রবার সহ! উদ্দেশ্য খুব সরল সোজা। ঈদের সময় টানা বাড়তি সময়ের ছুটির ‘বোঝা’ টানা। ছুটি এখন একটা ‘বোঝা’ বটে! লম্বা ছুটি পেলে কর্মজীবীদের বেশির ভাগেরই নাকি এ রকম মনে হয়! কার্যদিবসের একরাশ বিরক্তি, ক্লান্তি আর অধৈর্যের লাগাম ছিঁড়ে যখন আমার কলিগ তথা বন্ধু আরিফ যখন অজান্তেই জোর গলায় হামদ খানি গেয়ে ওঠে, “দে পানাহ দে, ইয়া ইলাহি!” – সেটি ধর্মীয় গুণাগুণ গৌণ হয়ে যায়! ছেলেটা খাটাখাটনি করতে পারে খুব। ব্যবস্থাপক ও মালিক মহলে ওর প্রশস্তি চুঁইয়ে পড়ে অন্যদের স্বাভাবিক কাজের নিপূণতার উপরও – “আরিফের মত হও।” অফিসের সারাটা সময়ের পর বাসায় ফিরে নিজের ইচ্ছায় রাত তিনটা পর্যন্ত অফিসের কাজ করে আবার সকাল নয়টায় অফিসে ফেরে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও চরম উদাসীন। ‘বাসায় ফেরা’র চেয়ে ‘অফিসে ফেরা’র প্রবাদটাই বেশি ভালো খাটে ওর জন্য। ছেলেটা প্রাণবন্ত, খুবই বন্ধুবৎসল আর পরোপকারী। সবাই ওকে পছন্দ করি। তাই প্রায়ই ওকে বলি, “দোস্ত, নিজের যত্ন নে!” হেসে বলে, কাজ করতে ভালো লাগে, নেশার মত লাগে। ঈদের আগের সপ্তাহে, একদিন সকালে মুখটা দেখেই ওর শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করতে পারি, “কী হইছে? শরীর খুব খারাপ?” বরাবরের মতই হেসে জবাব দেয়, “পেটে ব্যাথা, সেহরীর পর কয়েকবার বমি করছি!”

“তাইলে অফিসে আইছিস কেন? বাসায় যা, ঘুমা।” নিজের যত্ন নেবার কথা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিই।

“এই ডিজাইনটা আজকেই দিতে হবে। স্যার কইছে।” ও আত্মরক্ষা করে।

“যা ভাগ। ” মেজাজ খারাপটা চরমে ওঠে।

একটু পরেই শরীর খুব খারাপ করছে বলে ও বাসায় ফিরে যায়। ব্যাচেলর মানুষ। এটাকে বাসা না বলে মেস বাড়ি বলা-ই উত্তম। সবাই অফিসে থাকায় দিনের বেলা ফাঁকা পড়ে থাকে। মেডিক্যাল পরিভাষায় কী বলে জানিনা, আমরা আমজনতা যেটা জানি, বিকালে খবর পাই, অবহেলায় ওর ‘এপেন্ডিসাইটিস ব্লাস্ট’ করেছে! এমনিতে ‘এপেন্ডিসাইটিস’ এর ব্যাথা নিরাময় ছোট্ট একটা অপারেশনের মাধ্যমেই করা যায়। কিন্তু সেটি ব্লাস্ট করলে তার ফলাফল মারাত্বক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি মৃত্যুও!

নাহ, ও মরেনি। প্রতিদিন এত বেশি মানুষ অপঘাতে মরে যে, এখন এসবে আর গায়ের একটা লোমও উন্থিত হয়না। আর, এক্ষেত্রে? ও তো মরেইনি। যদিও অন্ত্র, ফুসফুস আর কিডনীর ভয়াবহ জটিলতার আশঙ্কা নিয়ে হাসপাতালের বেডে ‘কর্মহীন’ সময় কাটাচ্ছে!

ঈদ-টা এবার হাসপাতালেই কাটবে ওর! অফিসের ম্যানেজমেন্ট উপদেশ দিয়েছে, অবস্থা বেশি খারাপ হলে ব্যাঙ্কক নিয়ে যেতে। খরচটা অবশ্য আরিফ-কেই বহন করতে হবে!

*** বাঙ্গালী অলস বলে তার দূর্নাম রয়েছে, প্রমাণ-ও যথেচ্ছ দেয়া যায় হয়তো। কিন্তু, আমাদের মধ্যেও এরকম ‘কাজপাগলা’ লোক আছে। নিজেদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পূঙ্খানুপুঙ্খ পালন করাই এক অর্থে মানবিকতা। সঠিক পথে চলা। কিন্তু নিজের উপর বাড়তি চাপ দিয়ে অসুস্থতা ডেকে আনা তো মারাত্বক ক্ষতির কারণ তো বটেই। সুদুরপ্রসারী ভাবনায়, ক্ষতিটা অফিসেরও, সমাজেরও। তাই, নিজের ও নিজেদের নিরাপত্তা-ই সবচে’ আগে!

****


‘দাড়ি স্বাধীনতায়’ বিশ্বাসী হয়ে অফিস ডিকোরামের থোড়াই কেয়ার করে রোজার শুরু থেকে কয়েকদিন ইচ্ছেমত চললাম! সবার মধ্যে ইতিউতি- তালেবান না দেবদাস? সবাইকেই নিরাশ করি। আসল কথা হলো, শাওয়ার রুমের আর্দ্র পরিবেশের একঘেয়ে পরিবেশে থাকা শেভিং ফোমের ক্যানে মরিচা-বিদ্রোহে সব চুঁইয়ে পড়ে শেষ! আলসের একশেষ আমি। নতুন কেনা হয়নি।
বিকালে তাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম- 'ঈদ' !!! ~ শেভিং ফোম নাই - স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেছে - মোবাইলের ব্যালান্স তলানীতে- বিকাল সাড়ে তিনটায় ঘুম ভেঙ্গে... এবার একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা যাক!-- 'মোবারক' সাহেব কই?

গা ঝাড়া দিয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি, পাকাচুলো মুরুব্বীরা-ও সালাম দেয় আমাকে দেখে। বুঝলাম, মুন্ডনকাল সমাগত! দলাই-মলাইয়ের ও!

হ্যাপি ঈদ!

হ্যাপি ব্লগিং!

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০০৯

শিষ্টতার গল্প

সকাল থেকে চলে আসা শিক্ষায় দান-গ্রহণের পর গুরু-শিষ্য দু’জনেই ক্লান্ত। ঘরের বাইরে বেরিয়েই গনগনে রোদ মাথার উপর। গাছের ছায়া বসে গুরুর ইচ্ছা জাগে ডাবের পানি পান করবার।

- বাবা, আমি তৃষ্ণার্ত। তুমি গাছে উঠে আমার জন্য ডাব পেড়ে আনো।
- গুরু, আমার বেয়াদবী মাফ করবেন। এটা আমি করতে পারবো না।
- আমার আদেশ পালনে তোমার বেয়াদবী কোথায়?
- গাছে ঊঠলে আমি উপরে আর আপনি নিচে থাকবেন। গুরুর উপরে শিষ্য থাকবে, এটা হতেই পারেনা। নির্ভেজাল বেয়াদবী!
- তাই? ঠিক আছে, গাছে আমিই উঠছি। তুমি বাড়ির ভেতর থেকে একটা দা নিয়ে এসো।

গুরু গাছ থেকে ডাব পেড়ে আনলেন। ইতোমধ্যে শিষ্য দা নিয়ে হাজির।

- নাও, এবার ডাবগুলো কেটে ফেলো।
- গুরু, এতো বেয়াদবী আমাকে দিয়ে হবেনা!
- মানে? এতে আবার বেয়াদবী কিসের?
- আপনার সামনে ‘কোপাকুপি’ করাটা কী ঠিক?
- আচ্ছা, ঠিক আছে। আমিই কাটছি।

আপ্রাণ কসরত করে ডাব কেটে, নিজে একটা নিয়ে, শিষ্যের দিকে আরেকটি ডাব এগিয়ে দিলেন গুরু।

- নাও, খাও।
- আদেশ না মেনে আপনার সঙ্গে আজ অনেক বেয়াদবী করছি। আর বেয়াদবী করবোনা। এখুনি খেয়ে নিচ্ছি।

ঢক! ঢক!! ঢক!!! :D

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০০৯

ফাটকাবাজির অণু-কথোপকথন...

ক’দিন আগের মোহাম্মদপুর। সারারাতের বৃষ্টিবিধৌত সকাল। অফিসে যাওয়ার জোর প্রস্তুতির সময়ে রাস্তায়।

-- এই সিএনজিওয়ালা ভাই, যাবা?
-- কই?
-- বনানী।
-- যামুনা।
-- ক্যান?
-- ঐ দিক পানি উঠছে। ইঞ্জিন নষ্ট হইয়া যাইবো।
-- আরে চলো। বাড়ায়া দিমুনে।
-- তাইলে ২৫০ টাকা দিয়েন।
-- ঠিকাছে। তবে এতোক্ষণে পানি নাইম্যা যাবার কথা। ওইখানে যাইয়া যদি দেখি পানি নাইমা গেছে, তাইল কত নিবা?
-- তাইলে যামুনা!

:-&