শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০০৯

শিষ্টতার গল্প

সকাল থেকে চলে আসা শিক্ষায় দান-গ্রহণের পর গুরু-শিষ্য দু’জনেই ক্লান্ত। ঘরের বাইরে বেরিয়েই গনগনে রোদ মাথার উপর। গাছের ছায়া বসে গুরুর ইচ্ছা জাগে ডাবের পানি পান করবার।

- বাবা, আমি তৃষ্ণার্ত। তুমি গাছে উঠে আমার জন্য ডাব পেড়ে আনো।
- গুরু, আমার বেয়াদবী মাফ করবেন। এটা আমি করতে পারবো না।
- আমার আদেশ পালনে তোমার বেয়াদবী কোথায়?
- গাছে ঊঠলে আমি উপরে আর আপনি নিচে থাকবেন। গুরুর উপরে শিষ্য থাকবে, এটা হতেই পারেনা। নির্ভেজাল বেয়াদবী!
- তাই? ঠিক আছে, গাছে আমিই উঠছি। তুমি বাড়ির ভেতর থেকে একটা দা নিয়ে এসো।

গুরু গাছ থেকে ডাব পেড়ে আনলেন। ইতোমধ্যে শিষ্য দা নিয়ে হাজির।

- নাও, এবার ডাবগুলো কেটে ফেলো।
- গুরু, এতো বেয়াদবী আমাকে দিয়ে হবেনা!
- মানে? এতে আবার বেয়াদবী কিসের?
- আপনার সামনে ‘কোপাকুপি’ করাটা কী ঠিক?
- আচ্ছা, ঠিক আছে। আমিই কাটছি।

আপ্রাণ কসরত করে ডাব কেটে, নিজে একটা নিয়ে, শিষ্যের দিকে আরেকটি ডাব এগিয়ে দিলেন গুরু।

- নাও, খাও।
- আদেশ না মেনে আপনার সঙ্গে আজ অনেক বেয়াদবী করছি। আর বেয়াদবী করবোনা। এখুনি খেয়ে নিচ্ছি।

ঢক! ঢক!! ঢক!!! :D

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন