শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০০৯

অতঃপর ... আবারও বি.সি.এস এর শামুক!

সরকারী বিজ্ঞান কলেজ এক আজব জায়গা। অন্ততঃ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে! বিগত ২৮-তম এর লিখিত’র সিটপ্ল্যান অনুযায়ী রুমে প্রবেশ মাত্রই চোখের সামনে সাদা ইউনিফর্ম বিস্ফোরণে মূর্ছা যাই। এইচ.এস.সি এর কচিকাঁচারা আগে থেকেই ওখানে বসে! একই জায়গায় ওদের সিট! ওরা আমাদের কোলে বসে একসঙ্গেই পরীক্ষা দেবে কিনা, কর্তৃপক্ষের এ আয়োজনের ভাবনাও মনে এলো! :-/

সারা কলেজ দৌড়ে, কোথাও ‘তাল’ ধারণের জায়গা না পেয়ে অবশেষে এক স্যারকে বলি, “মহামহিম! দয়াপরবশ হউন, আপনার কামরায় এই অধমের স্থান সংকুলান করুন!” তিনি ইচ্ছে করলেন- কৃতার্থ হলাম।

বিজ্ঞানের ন্যাড়া বলেই কি বিজ্ঞান কলেজের বেলতলায় যেতে হবে বারেবার? কে জানে! দেশে এত মতবাদ, এত দল-উপদল- খালি প্রভেদ-বিভেদ! সিটপ্ল্যানেও জোড় বিজ়োড়ের দেশভাগ! বিশ্বদরবারে নিজ স্থান খুঁজে পাওয়া দায় আবারো! রাখিস মা আমারে রসে বশে!

পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন ভালো কথা নয়! পাশের জনকে বাজাইলাম, সাহায্য পাবার সুযোগ পেতে পারি কী? ভদ্রমহিলা কৃষিবিদ। বললেন, ‘সৎ’ ভাবে সাহায্য করলে তো ভালোই!

সদ্য ব্রাশ করা ভাঙ্গা দাঁত দেখিয়ে দিই- হক কথা! 'সৎ' ভাবে অসদুপায়ের দোষত্রুটি ক্ষমার্হ! :P

প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই মন খারাপ! X( অন্তত ৭৫ না পেলে এই পরীক্ষায় আশার গুড়ে কিং ব্রান্ড সিমেন্ট! এত্তো সহজ! ইউনিভার্সিটির দুঃসহ স্মৃতি মনে পড়ে যায় এক লহমায়! বিভিন্ন কুইজে প্রশ্ন সহজ হলে, মন বাজাতো কৃষ্ণের বিরহী বাঁশি--- সহজ কিংবা কঠিন- কিছুই তো পারিনা। বরং, প্রশ্নের কঠিন দাওয়াই এলে বেশ ভালো লাগে- অন্তত আমার মত ‘না-পারা’র দলটা একটু ভারী হয়ে ওঠে বৈকি! ১০০ কেজি ‘অপমান’ তখন ৩ জনের ভিতর ভাগ না হয়ে ১৫ জনের উপর পড়ে! গায়ে ওটার ‘চাপ’ কম লাগে!

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, আনন্দের সাথে শিক্ষালাভ করতে! পরীক্ষার খাতায় নিজের পরিচয় দেখলে কার না আনন্দ লাগে! :D

প্রশ্ন ৪৩ : ‘জনৈক’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ -

(ক) জন+ইক
(খ) জন+ এক
(গ) জনৈ+এক
(ঘ) জন+ঈক

কেউ কোন দিন আমাকে কিছু উৎসর্গ করলোনা। ‘পিএসসি’ই বুঝলো আমারে! আহা!

“এতো সুখ সইবো কেমন করে-
সুখেও কান্না আসে দু’চোখ ভরে!” :((

পুনশ্চঃ পুরো ‘বিসিএস’ নিয়োগ কার্যক্রম এমনই শ্লথগতির যে, ‘শামুক’ ও এ ব্যাপারে লজ্জা পেতে পারে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন