বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮

কোনটা??




অফিসে এখন একটা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে!

মোস্তফা ভাই কোথা থেকে যেন শুনে এসেছেন, বিয়ের সময় মেয়েরা নাকি কবুল বলেনা!

তারা নাকি বলে, আলহামদুলিল্লাহ!

ততক্ষণাত দ্বিমত-ত্রিমত হাজির! মধ্যমতের লোক ও ছিলো...!

বিয়ে বাড়িতে যাবার অভিজ্ঞতা আমার কম! তাই জ্ঞানীর ভান ধরে চুপ থাকি!

বিতর্কটা হচ্ছিলো এমন দিনে, যেদিন মোস্তফা ভাই বিগতদিনের দাওয়াত পাওয়া বিয়েবাড়ির ভুরিভোজনের ওজন দিচ্ছিলেন আর সুরাইয়া আপা আচমকা অনুপস্থিত থেকে ফোনে জানিয়ে দিলেন, আজ আমার বিয়ে, তাই আমি অফিসে আসতে পারবোনা!

মোস্তফা ভাইয়ের মতে, মেয়েরা আলহামদুলিল্লাহ বললেই নাকি ছেলেরা কবুল বলে!

আর... আরো আশার বাণী তার ব্যাচেলর মুখ থেকে নিঃসৃত হয়, হাঁচি দেয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। তাই, কোন অপরুপা যদি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তখনই সঙ্গে সঙ্গে কবুল বলা উচিত! তাহলেই... ইয়াহ-হু...কেল্লা ফতে!

(আমাদের মত অনেক ব্যাচেলরই তখন মোলায়েম পাখির পালক কেনার কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে! নাকের নিচে পাখির পালক দিয়ে আলতো ছোঁয়া দিলে নাকি হাঁচি ত্বরান্বিত হয়!)

কিন্তু দ্বিমত এলো...নাটক সিনেমায় নায়িকারা চোখের পানিতে নতুন শাড়ি নষ্ট করে কবুলই বলে... তার অপোজিশন মাঈনুল ভাই ও শক্ত পার্টি!

ধুর মিয়া, সিনেমায় কত কিছু হয়! নায়ক নায়িকার মধ্যে ইশকু-ইশকু ঘটলেই আশেপাশে জ্বীন-ভুতের দল বাদ্যবাজনা বাজায় আর তারা গোলাপডালের পাশে নাচতে থাকে! যতসব আজগুবী!

বিতর্কের বিষয়বস্তু অন্যদিকে মোড় নেয়।

আমি তখনও চুপ!

কোথায় যেন পড়েছিলাম, বোকারা তর্ক করে আর জ্ঞানীরা প্রশ্ন করে!

তাই, অনলাইনে প্রাণোচ্ছল এক বালিকাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম,

কেন? কবুল বলে তো!,মেয়েটার জ্ঞানের গভীরতা প্রকাশ পায়!

তুমি নিজে কি বলেছিলে?, আরো স্পেসিফিক হই!

আমার তো বলার সুযোগ আসেনি এখনও, মেয়েটার আফসোস হৃদয় ছুঁয়ে যাবার মত!

আহা! তোমার প্রাণভোমরা যখন তোমাকে সম্মোহনী প্রস্তাব দিলো, তখন কি বলেছিলে?,জানার কোন শেষ নাই!

তখন? তখন একটু অন্যভাবে হেসেছিলাম! যার যা বোঝার, বুঝে নিলো। আহা! প্রতিদিন কতইনা নতুন জ্ঞান বাড়তে থাকে আমার!

পরেরদিন অফিসে সুরাইয়া আপাকেই প্রশ্ন কামান দাগালাম, আপনি কি বলেছিলেন, আপু?

আলহামদুলিল্লাহ, কবুল!

***


জানার আছে অনেক কিছু ...

বাংলা সিনেমায় নায়ক আর সাব-নায়করা অবারিত গুলি খেয়েও না মরে, নিজেরাই পুরা গুন্ডাদলকে নাস্তানাবুদ করার পর আখেরি পোচ দেবার ঠিক আগে শেষদৃশ্যে পুলিশ কেন বলে, আইনের হাত অনেক লম্বা, তাই আইন নিজের হাতে তুলে নেবেননা? পুলিশ কেন কখনই আগে আসেনা?

কারণ, আইনের হাত অনেক বড় হলেও পা একটু ছোট! তাই আসতে একটু দেরী হয়ে যায়!

তাহলে লম্বা হাতে অপরাধীদের আটকালেও তারা প্রায়ই ছাড়া পেয়ে আবার অপকর্মে নিয়োজিত হয় কেন?

কারণ, কোন জিনিষ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি লম্বা হলে তার শক্তি খানেকটা কমে যায়! তাই মাঝে মাঝে হাতছাড়া হয়ে যায়!

***

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন