রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮

চুক্তি




কোন এক উদ্ভাসিত বিকালে অনিবার্য কারণে মনির মনটা খুবই উল্লসিত।

এইবেলা এই সুযোগে আমিও তাকে আঁকশি দিয়ে আটকালাম, দোস্ত! তোর মনটাতো এখন খুবই ভালো। আয়, সেলিব্রেট করি! ফালুদা খাওয়া!

মনি আবার কোন ব্যাপারেই না করতে পারেনা। মাঝেমাঝে মনে হয়, যদি কখনও বিরাট লাশ কোন আফ্রিকান জাঙ্গল কুইন এসেও স্লাইটলি আবোভ পাঁচফুটি মনিকে পার্মামেন্ট বাহুডোরে থাকার প্রস্তাব দেয় তাহলেও হয়তো ও না করতে পারবেনা!

তবুও মনির মনটা একটু দ্বিধাগ্রস্থ, তুই যদি রিকশাভাড়া দিস, তাহলে খাওয়াবো

মনির হিসাবটা নামতা পড়ার মত খুবই সহজ। আমরা সাধারণঠাঠারিবাজারের হোটেল স্টারেই ফালুদা খেয়ে থাকি। অসাধারণ সুস্বাদু সেই অমৃত ফালুদা! আমার রিকশাভাড়া আপ-ডাউন ৪০ টাকা আর ওর পকেট খালাস দুই বাটি ফালুদা ২২ দুগুনে ৪৪! নেয়ারলি ইকুয়াল ডিস্ট্রিবিউশন অফ মানি!

আমি রাজী।

অলিখিত দ্বিপাক্ষিক পলাশীবাজার চুক্তি সম্পাদিত হলো!

রিকশা নিলাম।

কিন্তু রিকশার ডিরেকশন দিলাম উলটাদিকে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল! হোটেল খুশবু!

আয়েশে আমরা ফালুদা সমাপ্ত করলাম! আর বিল দেবার সময় প্রতিবারের মত আমি কাচের জানালা ভেদ করে প্রকৃতি দর্শনে মনোযোগ দিলাম! ওই কাজটা তাই যথারীতি মনি ই সারলো!

মনির মনটা একটু ভার!

আবার রিকশাযোগেই ব্যাক টু দ্য খোয়াড় মানে বুয়েট!

আপডাউন মিলিয়ে আমার খরচ ৮x২=১৬!

আর ফালুদাতে মনির খরচ ৪০x২=৮০!

পৃথিবীতে খুব কম চুক্তিই ঠিক মত সম্পাদিত হয়। কিন্তু...

এই চুক্তিটা সফল হলো।

(হাততালি প্লিজ!)

(ইহা একটি বুয়েটস্য স্মৃতিগদ্য বিশেষ!)

***

অপ্রাসংগিক প্রশ্ন... আদেশ আর নির্দেশ এর মধ্যে পার্থক্য কি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন