বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০০৯

ব্যস্ত আছি!

০.১

ব্যস্ত আছি!

০.২

দারুণ ব্যস্ততায় কাটছে দিন। ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার হজব্রত পালনে গিয়েছেন। সহকারী ম্যানেজার গত ঈদ থেকে রোগভোগে শয্যাশায়ী। এই ঈদের শেষে তার অসুস্থ্যতার মুক্তি মিলবে বলেই আশাবাদ। তাই বাড়তি দায়িত্বের অংশ হিসাবে, দুই ‘তালকানা’ মিলেই পুরো ডিজাইন ডিপার্টমেন্ট গড়াচ্ছি! ম্যানেজারদের মনের ও শরীরের জ্বালা ক’দিনেই টের পাওয়া যাচ্ছে! আর না! জীবনে কখনও ‘ফুল’ ম্যানেজার হবো না! বরাদ্দকৃত কাজের উটকো প্রাপ্তি- দৌড়াদৌড়ি, বকাঝকা দেয়া ও নেয়ার সাম্যাবস্থা, মোটের উপর পরিশ্রমের একশেষ! মনেও পড়ে প্রভাব। কারোর সঙ্গে দেখা করবার, দু’দণ্ড গল্প জুড়বারও ফুরসত হচ্ছেনা। :((

০.৪

বাসায় বসে, সুমনের চাহিদা মোতাবেক আধঘণ্টার কাজ করতে লাগিয়ে দিলাম দু’সপ্তাহের বেশি। কাজের ব্যাপারে হাসানকেও মনি’র মাধ্যমে ঝুলিয়ে রেখেছি। “প্রবাসী বাঙ্গালী মাত্রেই সজ্জন” – এই মটো মেনে ইশতিয়াক তো দেশ ছেড়েই চলে গেলে। খুব সহজে ভুলে যাবার কথা নয়, হেঁটে হেঁটে অবিরাম ঘণ্টাবিনাশী আড্ডা! সিফাতের স্বেচ্ছায় নেয়া মন খারাপে প্রলেপ দিতে যাওয়ার জন্য ধানমন্ডি যাবার সময় নেই! অদিতির সঙ্গে পড়ন্ত-বিকেল ক্যাফেটেরিয়া’তে আড্ডা দেবার কথা ছিলো, অদেখার আঠারো মাস পর। হলো কই? রাত এলেই কাজের কাজে মন বসেনা আর! এমনিতে জেগে থাকি, নেটে পাহারা দিই। কী পাহারা দিই, কেউ জানেনা, নিজেও না! হয়তো শুধুই নেশা! অন্য কিছুতেই কিছু নেই।

নি-দারুণ ব্যস্ত। /:)

০.৭

ব্যস্ততার কারণে কোন বন্ধুর খোঁজ নেয়া যায়না, এই অযুহাতে আমার বড় মামার কান নেই!

বন্ধুদের বলেন, “শ্লা, দিনে যে কয়বার কমোডে বসিস, তখনও কী ব্যস্ত থাকিস? ঐ সময় একটা এসএমএস তো লিখতে পারিস আমাকে!”

০.৯

ব্যস্ততার কারণে কিছু অনুচ্ছেদ বাদ পড়ে গেলো। লেখা হলোনা। :|

১.০

“ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু॥
এই-যে হিয়া থরোথরো, কাঁপে আজি এমনতরো
এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু॥
এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
পিছন-পানে তাকাই যদি কভু।
দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় শুকায় মালা পূজার থালায়,
সেই ম্লানতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।”

শুনবার লিঙ্কঃ

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন